কবি : রাজন্য রুহানি
ডুমুর আমার সখা
ও ডুমুর, বসন্তের খাতায় তোমার নাম কাটা গেছে।
ফুল ও পাখির প্রেমে বেহুদা ম্যাজিক রিয়েলিজম বলে যে বিদুষী আঁচল উড়ালো, যে কৌমার্য ডিঙি ছেড়ে চলে গেল স্বর্গীয় উজানে আর যারা নিজেদের মাংস নিজেরাই ভাগ করে খেলো, বলে দিও তাদের হে বায়ব্য লিরিক, আত্মবৃক্ষের ফুলেই নিবেদিত পৃথিবীর সফল ফাগুন।
ডুমুরের কাছে হাঁটু গেড়ে বসি— বলো সখা, কত জন্ম ঝরে গেলে আঁকতে পারবে একটি পুষ্পনন্দিত খোঁপা কিংবা আত্মরতির বাগান? ডুমুরেরা বলে— ফুল, প্রকাশিত অনুবাদ মাত্র, পরিবেশ ও পরিস্থিতির।
ফাগুনের কানে কানে আবেগ ও প্রলোভন ভেঙে দেখি— ডুমুরের আত্মায় ঈশ্বর জেগে আছে সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের হাত ধরে।
মৃতসঞ্জীবনী
কত আয়ু খসে গেল শিমুলের তুলোর মতন
বাতাসের ডানা নিয়ে তবু পাখিদের মৃত্তিকাবিহার
ঘুড়িও আকাশে উড়ে উড়ে
মেঘের অধরে চুমো খায়
বিদ্রোহী প্রেমিক যেন ভুলে যায় নাটাইয়ের টান
গৃহমায়া নিভে গেলে পায়ের বসন্তে
পথগুলো ফুল হয়ে ফোটে
এমন বিস্ময়দিনে রোদেরা রোদের সখাসখি
উপেক্ষিত অন্ধকারে জোনাকিরা জানে
বাগানে বাদাড়ে কতখানি মধু কতটা গরল
করতল পেতে রাখা নাদান পৃথিবী
জেনেছে অধরা অনুভবে
তোমার সঙ্গই দীপ্ত মৃতসঞ্জীবনী
অমর হবার সাধে আমি যতবার করি তোমার জিকির
উত্তরশিথান মুছে ততবার মুখ ঘষে চাষীর কলম
যে কালিতে জেগে ওঠে আলোর নহর
অন্তরবন্দরে
কব্জা ও কব্জির খেলা
সংঘ থেকে হারিয়েছে সংজ্ঞারাম।
হাঁড়ি থেকে দুধ।
যে বিড়াল ইঁদুর মারে সেও চুরি করে
বাঘের মাসি থেকে বাঘ বনে যায়
ছোটো ছোটো রাজ্যে।
যোগ-বিয়োগ খেলায় কেউবা এগিয়ে দেয়
তৈলাক্ত বাঁশের অংক,
তখন থেকেই বানর মাথায় উঠেছে।
বুকের ওড়না উড়ে গেলে
সংঘের শরীরে ভিনদেশি পর্যটক
বাসা বোনে, তারপর
আস্তেধীরে পেট ফুলে ওঠে।