শারমিন রহমান, ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি:
রিপন, আমার ছোট বোনের বন্ধু। বয়স ২৫। বাবা মার একমাত্র ছেলে বলে সব দাবি মেনে নিয়ে পছন্দের মেয়ের সাথেই বিয়ে দেয়া হয় রিপনের।ছোট ছোট দুটি সন্তান রিপনের। দেখতে সুদর্শন ছিল। ছিলবলছি কারন ও আর পৃথিবীতে নেই। কয়েকদিন আগে বাইক দূর্ঘটনায় মারা গেছে রিপন। হেলমেট না পরার কারনে মাথায় প্রচন্ড আঘাত পায় ও। রক্তক্ষরণ হতে থাকে, হাসপাতালে নেয়ার আগেই মারা যায় রিপন। ওর বাবা, মা, স্ত্রী ওকে ছাড়া কিভাবে জীবন কাটাবে তা দেখার উর্ধ্বে রিপন এখন। ছোট ছেলেমেয়ে দুটো, বাবা কি তা বোঝার আগেই রিপন হারিয়ে গেল পৃথিবী থেকে। এমন অনেক রিপন হারিয়ে যায়, হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের মাঝ থেকে। শুধুমাত্র সচেতনতার অভাবে আর নিয়ম মেনে না চলার জন্য। একটু ভুলের কারনে তার পরিবারের প্রত্যেকটি মানুষ আহাজারি করতে থাকে সারাজীবন।
বর্তমানে বিশ্বে বাইকের দুর্ঘটনারসংখ্যা কমশ বেড়েই চলেছে। এই দুর্ঘটনায় কেউ কেউ যেমন আহত হচ্ছেন ঠিক তেমনইমৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ছেন অনেকেই। বিশেষজ্ঞদের মতে, এর অধিকাংশ কারণ হেলমেটমাথায় না পরে, ট্রাফিক রুলস না মেনে জোরে বাইক চালানো। এরকমই একটি ঘটনারউপর কেন্দ্র করে তৈরী হয়ছে অনিমেষ মুখার্জি পরিচালিত হিন্দি শর্ট ফিল্ম "অনমোল জীবন"।
লিখেছেন গৌতম গুপ্ত ,তিনি অভিনয় ও করেছেন।
এছাড়া ও আছেন বিখ্যাতকবি ও চলচিত্র অভিনেতা দিব্যেন্দু শেখর দাস। আছেন সুমনও।
এখানে দেখানো হয়েছে বাইক দূর্ঘটনায় সন্তান হারানো এক বাবার যন্ত্রনা! সেইযন্ত্রনা থেকে সন্তানতুল্য একজনের জীবন বাঁচানোর আাকুতি! শর্ট ফিল্মটি দেখে আমার মনে হয়েছে, প্রত্যেকের বিশেষ করে এই প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের শর্টফিল্মটি দেখা অত্যন্ত জরুরী। শুধু দেখা নয়, দেখে নিজেদের সচেতনতা বাড়ানো উচিত। একটু ভুলের জন্য, একটু সচেতনতার অভাবে আর যেন ঝরে না যায় কোন তাজা প্রাণ। সচেতনামূলক এমন শর্টফিল্ম আমাদের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন, যা দেখে সচেতন হবে আমাদের প্রজন্মের ছেলে মেয়েরা। বেঁচে যাবে অনেক জীবন, কমিয়ে আনা যাবে মায়ের চোখের অশ্রুধারা...স্বজনের আহাজারি।