শামীম আহমদ এর তিনটি কবিতা
শামীম আহমদ এর তিনটি কবিতা
ক্ষুধার্ত প্রহরে ...

কবিতা লিখেই কবিতা গিলে খাই
প্রচণ্ড ক্ষিধে পেলে মধ্যরাতের মাতাল তারাকেও ,
সাপ যেমন নিজের শরীর খেয়ে ফেলে ক্ষুধার্ত প্রহরে !
চোখ থেকে দৃষ্টি পড়ে ভেঙে গেলে কী আসে যায়
অন্তর যখন দূরবীণ তাক করে রাখে মহালোকের শেষ প্রান্তে ।
সুদূরের মাকামে মানুষ প্রশান্তি খোঁজে
বরই পাতার মতো হৃৎপিণ্ডে গজিয়েছে পাতা
ত্রি-ডি অক্ষরের মতো ,
আমিও প্রকাণ্ড হয়ে উঠি তেরছা আলোয়
কামরাঙ্গা গাছের স্নিগ্ধতা এখনও ব্যাকুল করে তনুমন
কৃষ্ণচুড়ার লালে এখনও কবিতার ঠোঁট রাঙা হয় ফাল্গুনে …
এখনও কবিতা লিখি
খুব ক্ষিধে পেলে নিজেকে খেয়ে ক্ষুধা মেটাই ।

মানুষ আর ধর্ম …

ধর্মতো অবহেলার নয়
ধর্ম চলেছে সজারুর পিঠে
তাই মানবতার চরম অবক্ষয় ।
ধর্মে ধর্মে হানাহানি করে
ঝরে যায় কোটি প্রাণ
মৃতভারে হয়েছে পৃথিবী কুঁজো
হু হু করে কাঁদে শ্মশান আর গুরুস্থান ।
বোবার মতো অবাক বিস্ময়ে ফ্যালফ্যাল করে চাই
মানুষে মানুষে এত ভেদাভেদ কোন শাস্ত্রেতো লেখা নাই ।
তবুও মানুষ কেনো শাণ দিয়ে চলে ধর্ম -যজ্ঞের ছুরি
ভাই ভাইয়ের কাটে জীবনশিরা,দেখে লজ্জায় রোজ মরি ।

ইনফিনিটি ...

উড়ে যায় পাখি
আমি বলি না ,বাতাস উড়ে
পাখি শুধু ডানা ঝাপটায়...
দা ভিঞ্চির মতো
এই বিমূর্ত ধারণা আমার স্বপ্নিল ক্যানভাস ।
লিওনার্দো দা ভিঞ্চি চিত্রকর
মোনালিসার হাসি যাঁর তুলির আচড় ।
রহস্যময় হাসি যেনো বিখ্যাত এক কবিতা ,
তাই লিওনার্দো কবি ।
অন্তহীন রঙের বুক বিদীর্ণ করা অসীমের স্বপ্ন বিলাস
সীমার উর্ধ্বে উঠে অনন্ত সাধনার নাম ,
ইনফিনিটিও বলতে পারেন , ভুল হবেনা !
ভূগল ,গণিত ,কিংবা ইতিহাস ,যাই বলেন
সব যেনো মিশে আছে অক্ষরের গহিনে ,
শব্দহীন তরঙ্গের মতো
কাল হতে মহাকাল ব্যাপিয়া
জাইগান্টিক স্রোতধারা ;
জ্ঞানের মানমন্দির এই কবিতা
দুর্বোধ্য অগনিত কক্ষপথ যার
গাণিতিক সংখ্যার পরিমাপ কিংবা ভৌগোলিক -
কাঠামোতে কখনও হয়না বিলিন ।
সময় নিয়ে যায় অদৃশ্যের পথে
যে পথে পৃথিবীর জরায়ু ফেটে জন্ম নেয়
কোটি কোটি মৃত্যুহীন প্রাণ ।


সাবস্ক্রাইব করুন! মেইল দ্বারা নিউজ আপডেট পান