শুভ জন্মদিন কবি মুজিব ইরম
কবি মুজিব ইরম বাংলা কাব্যধারায় নতুন নির্মাণ কৌশলই শুধু সংযোজন করেননি, তিনি ঘরে ফেরার এক নতুন বার্তাও পাঠক সমাজকে দিতে পেরেছেন।
এক নজরে কবি মুজিব ইরম
- মুজিব ইরম-এর জন্ম বাংলাদেশের মৌলভীবাজার জেলার নালিহুরী গ্রামে, পারিবারিক সূত্র মতে ১৯৬৯, সনদ পত্রে ১৯৭১। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাসাহিত্যে স্নাতক সম্মান সহ এমএ।
- এ পর্যন্ত প্রকাশিত হয়েছে তার ১৩টি কাব্যগ্রন্থ:
- মুজিব ইরম ভনে শোনে কাব্যবান ১৯৯৬, ইরমকথা ১৯৯৯, ইরমকথার পরের কথা ২০০১, ইতা আমি লিখে রাখি ২০০৫, উত্তরবিরহচরিত ২০০৬, সাং নালিহুরী ২০০৭, শ্রী ২০০৮, আদিপুস্তক ২০১০, লালবই ২০১১, নির্ণয় ন জানি ২০১২, কবিবংশ ২০১৪, শ্রীহট্টকীর্তন ২০১৬, চম্পূকাব্য ২০১৭। উপন্যাস/আউটবই: বারকি ২০১১, মায়াপীর ২০০৯, বাগিচাবাজার ২০১৫। গল্পগ্রন্থ: বাওফোটা ২০১৫। শিশুসাহিত্য: এক যে ছিলো শীত ও অন্যান্য গপ ২০১৬।
- এছাড়া প্রকাশিত হয়েছে ধ্রুবপদ থেকে মুজিব ইরম প্রণীত কবিতাসংগ্রহ: ইরমসংহিতা ২০১৩, বাংলা একাডেমি থেকে নির্বাচিত কবিতার বই: ভাইবে মুজিব ইরম বলে ২০১৩, Antivirus Publications, Liverpool, England থেকে নির্বাচিত কবিতার অনুবাদ গ্রন্থ: Poems of Mujib Erom 2014, ধ্রুবপদ থেকে উপন্যাসসমগ্র: মুজিব ইরম প্রণীত আউটবই সংগ্রহ ২০১৬। ## পুরস্কার: মুজিব ইরম ভনে শোনে কাব্যবান-এর জন্য পেয়েছেন বাংলা একাডেমি তরুণ লেখক প্রকল্প পুরস্কার ১৯৯৬।
- বাংলা কবিতায় সার্বিক অবদানের জন্য পেয়েছেন সংহতি সাহিত্য পদক ২০০৯, কবি দিলওয়ার সাহিত্য পুরস্কার ২০১৪। কবিবংশ কাব্যগ্রন্থের জন্য পেয়েছেন ব্র্যাক ব্যাংক-সমকাল সাহিত্য পুরস্কার ২০১৪। শ্রীহট্টকীর্তন কাব্যগ্রন্থের জন্য পেয়েছেন সিটি-আনন্দ আলো সাহিত্য পুরস্কার ২০১৬, বাংলা একাডেমি সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ পুরস্কার-২০১৭।
- সবেশেষে মুক্তিযুদ্ধের উপন্যাস ‘জয় বাংলা’র জন্য এম নুরুল কাদের শিশুসাহিত্য পুরস্কার-২০১৭ পেয়েছেন কবি মুজিব ইরম। ২০১৭ সালের বইমেলায় ‘বেহুলা বাংলা’ প্রকাশনী বইটি প্রকাশ করে। প্রচ্ছদ করেছিলেন দেওয়ান আতিকুর রহমান।
লোকনিন্দা
বারণ করো না
আমাকে গাইতে দাও
এই সব হাহাকার
এই সব কাকুতি মিনতি
এই সব ঔষধি আমার...
আমারে না-হয় তুমি কবি না ডাকিও
আমারে না-হয় তুমি হারিয়ে যাওয়া পরিন্দা ডাকিও।
বাড়ি
আমিও ফিরেছি বাড়ি
তুমিও রেঁধেছো কচু
মানকচু
বনআলু
টুনিমানকুনির পাতা
শৈশব সোয়াদে
সিলট্যা নিয়মে...
আমারে বাঁধিয়া রাখো
বৈদেশে আমারে যেন বাঁধিতে না পারে।
লেখালেখি
আমি দুঃখ দুঃখ লিখি
আমি বাড়িছাড়া লিখি
আমি তবে কোন দুঃখে
এমন পদ্য লিখি!
আহা
কেউ তো বলেনি এসে
দুঃখ না পাইও
তুমি বৈদেশে না যাইও।