কবি : সকাল রয়
পৃথিবীর পথে পরমেশ্বর
পাতা উল্টিয়ে একটা শব্দ লিখলাম, নাম দিলাম-অপেক্ষা!
রাজপ্রাসাদের চূঁড়োয় ঝুলিয়ে দিলাম তাকে।
নিচে খঞ্জনী বাজছিলো, গাইছিলো গান পরমেশ্বর
উনি প্রতক্ষ্যদর্শী হতে এসেছেন,
এসেই পথে বসেছেন।
পথেই তো অপেক্ষার অপেক্ষামান দেখা মেলে
চানাওয়ালা ডাকছিলো হাক পেড়ে, একবার খেয়েই দেখুন- অমৃত!
হতচকিত হয়ে উঠে দাঁড়ালেন পরমেশ্বর
বলে কী!
পথেই অমৃত!
তবে কেন সাগর মন্থন হয়েছিলো?
সব প্রপঞ্চনা।
একটু হেঁটে সামনেই, অল্প কিছু দূর
থেমে দাঁড়ালেন পরমেশ্বর।
হুড়মুড় করে ঢুকছে পুরুষপাল দঙ্গল
এটা রেড লাইট এরিয়া, পরমেশ্বর জানতেন
তবুও উৎসুক! এতো রমনী; কী হয় এখানে?
মন্দাকিনী হেসে বললো, এটা স্বর্গ আর আমরা সবাই তিলোত্তমা।
চোখে বজ্রপাত নিয়ে থমকে গেলেন পরমেশ্বর, বলে কী!
মহাপ্রভু তাহলে কোন স্বর্গে থাকেন?
সব প্রপঞ্চনা।
হঠাৎ শঙ্খধ্বণ্নী হলো,
খঞ্জনী হাতে পরমেশ্বর চললেন
পেছনে পড়ে রইলো অপেক্ষা।
পাপবোধ
বয়সটা ছোট হতে হতে, পাপবোধ কমে আসছে।
এখন আলো বিরক্ত লাগে
সেলফোনের ওপাশে বিব্রত নাটক অনূভূত হয়।
দৃশ্যায়ন হয় না, অদৃশ্য হওয়া যতো ভালো মানুষী।
খারাপ মানুষী মাথাচাঁড়া দিয়ে উঠে-
তাতে আমরা কেউ কেউ আগুন ঠুকে দেই;
ভালো লাগে দিতে।
অসভ্য শিল্প যান্ত্রিক জীবনে প্রতীয়মান,
দায়িত্ববোধ নিশ্চুপ বৃক্ষের ভান করেছে
জিতেও হেরে যাচ্ছি-
এখন আলো বিরক্ত লাগে-
কেন না তাতে পাপ ধরা পড়ে যায়।