সপ্তবর্ণা সোমা'র চারটি কবিতা
সপ্তবর্ণা সোমা'র চারটি কবিতা

কবি: সপ্তবর্ণা সোমা

নিঃসঙ্গতায়, আমির দর্শন

নিঃসঙ্গতা-নিঃসঙ্গতা বলে, সারাবেলা করো— হাহাকার!
দুনিয়া মাঝে বল?কে আছে গো— কার?
বিশাল গগনমাঝে বিরাট নিঃসঙ্গতা, চেয়ে দ্যাখো— বিরাজমান।
ও মুখ ভারি করে রাখে গগন—
একাকীত্ব সারাক্ষণ করে বিচরণ— রঙের বৈচিত্র্যতাই প্রমাণ!
নিজে নিজে বর্ষণে, শান্ত- পরিবেশ
একাই সে—বিশাল
আবার সেই তো বিশেষ!

পাহারের বুক চিঁড়ে কান্নার স্রোতধারা,
পাহাড় কী একা নয়? সঙ্গ-হীন বলেই—ঝর্ণারধারা!
সঙ্গে- রঙ্গ বাড়ে
বাড়ে কোলাহল।
নিবিড় ছোঁয়া পায় নিঃসঙ্গ জীবন!
নিগূঢ় রহস্য, করতে উদঘাটন, একাকীত্বে হয় গো আমির দর্শন!

অপ্রয়োজনে অতৃপ্তি

ভাবনায় কতকিছুই আসে, তাই বলে ভাবনাগুলো কী আর পাত্তা দিলে —জীবন চলে?
জীবন তো বড় কঠিন পথ— পাড়ি দিতে হলে সমর- সজ্জায় আগুয়ান হতে হয়!
প্রেম দিয়ে গড়া যায় সব — তবে প্রেমের মাঝেই যত—যন্ত্রণা!
সাহস দিয়েই শক্তি করতে হয় সঞ্চয় তবে, শক্তির যোগান দেয় খাদ্য!
খাদ্যের জন্য ক্ষুধা জরুরি — এটাও ভুললে চলে না!
পিপাসা না থাকলে যেমন, গঙ্গার পাশে বসত করলেও জলের প্রয়োজনীয়তা ম্লান— তেমনি, হাজার সুখের ছড়া- ছড়িতেও —সুখ বোঝা যায় না—
উপলব্ধি পরিধি ক্ষীণ হলে!
আপক্ষিক কোন কিছুর পরিমাপ হয় না যেমন— তেমনি অপেক্ষা ছাড়া মূল্যবান বস্তুর মূল্য বোঝা যায় না!
সব কিছুতেই কারণ লাগে— অকারণে ভালোবাসলেও প্রশ্নবিদ্ধ হয় সেই প্রেম!
সম্পর্কের মূল্যও বোঝে তখন — যখন, তা প্রয়োজনে মেলে!
অপ্রয়োজনে অতৃপ্তি সবকিছুকেই বলে!

ভয়ঙ্কর ভাঙ্গন

হিংসার জগতে প্রেম যেনো সব স্বার্থের নাম!
পিছুটান বিহীন সকল সম্পর্কের মাঝে মোহ আছে কিন্তু মায়া বিরল!
নিরাপদ নই কারোরই কাছে মনোভাব ব্যক্ত করার প্রয়াস রিস্কি!

অর্থের কাছে ভালোবাসা অনর্থবোধক!
সকল সম্পর্ক স্বার্থান্বেষী!

হৃদয়ের আহ্বান শোনে না পাথরের যুগে!
আর ধর্মান্ধতা তার মাঝে এক গোপন বিদ্রোহসৃষ্টিকারী!

তুমুল ঝড়ের আশংঙ্কায় আছি বৈপ্লবিক
বিশ্বায়নে,যদিও প্রতিনিয়ত হৃদয় আর সম্পর্কগুলো ভেঙ্গে যাচ্ছে এক অভিনব
স্বার্থের কায়দায়!
এক অলৌকিক ইশায় ভাঙ্গন ধরছে প্রতিনিয়ত মানুষের সভ্যতার!

হযবরল

নিয়তির স্বীকৃতি কারো হাতে নেই,
প্রতিনিয়ত প্রতীক্ষায় প্রহর গোনা ছাড়া,
বারবারে যন্ত্রণার অনলে পুড়তে হয়।

পাখি সে তো প্রাণ, খাঁচার মালিকানা তবে কার?
বুঝতে হবে। সেই মহাজন নিয়তির নিয়ন্তা।

এত সুস্পষ্ট খেলার নিয়মটাও শিখা হয়ে ওঠে নি আজো! তবে বোঝো কেমন অকর্মা, মহাজনের কাছে?
শুধু তার কাছেই নয়, বিবেক নামক পার্সোনাল সেক্রেটারির কাছেও বটে!

বেশ-ভূষা লেকচারে যে পটুতা লক্ষনীয়
তা চালের ক্ষেত্রে কাজে না লাগলে,
নিয়তির মহাজনের কলমের কী দোষ??


সাবস্ক্রাইব করুন! মেইল দ্বারা নিউজ আপডেট পান