ঘুনপোকা
ঘুনপোকা ভালোই আছো।
গোপনে খাচ্ছো ভেতরের ভূগোল
ইতিহাসের পাতায় খাচ্ছো মুঘল সম্রাটদের সিংহাসন
খাচ্ছো- আমাকেও।
তোমাকে চাকরি করতে হয়না,
অং মারমার মতো জাতীস্বত্ত্বার সংকট নেই
বাজেটে আরেক দফা দাম বাড়লেও ভাবতে হয়না।
জীবনের আড়ালে বসে
বিনা পয়সায় খাচ্ছো আর্মি-রেশন!
ঘুনপোকা ভালোই আছো,
যতটা ভালো থাকা যায়, তার চেয়েও বেশি
আমপোকার মতো খাচ্ছো শাস, সুন্দর।
উইয়ের আদর্শ নিয়ে তৈরি করছো সর্বনাশ!
মানুষের কত চিন্তা, কত কাজ, সমস্যা, সংসার
তুমি অমানুষ, খাচ্ছো আর ঘুমাচ্ছো আর খাচ্ছো!
মি টু /১
স্বগোত্রীয় নই; অমানুষ।
তবু শিখতে হলো মানুষের বর্ণমালাহীন ভাওয়েল, ভাষা-
প্রভুর জন্য শিখতে হলো সঙ্গম-সঙ্গীত!
‘কামরাঙ্গা গাছ রাজি ছিলো না’।
তবু রেব হলো প্রচুর আনন্দ, আনন্দধারা!
বিকল্পধারার বিরক্ত।
আরবীয় মেষপালক শাদা বালির মরুভূমিতে
একই অনৈতিক ফুল ফুটাতো!
আজ শাদা বরফের দেশেও আমাদের অবিবাহিত সহবাস!
স্বদেশ বিরোধী
মাতৃভূমি বিরোধী এক মা তার স্বামীর চেয়ে ভালোবাসে
নায়গ্রা নদী।
মেয়েকে বুঝাচ্ছে, Fuck বাঙালি ছেলে রাখ;
বেছে নাও বিদেশি পোলা,
যারা ভালোবাসে বরফের দেশ, মেপল লিপ
তোমার পেটে বাচ্চা এলে তারা নারীকে সন্মান করে বলবে:
‘উই আর প্যাগনেন্ট’।
.
‘এদেশে শ্যামল রঙ রমণীর সুনাম শুনেছি’
কি অদ্ভুত বাজে বাক্য!
শাড়ি-ব্লাউজ-পেটিকোট প্রাগৈতিহাসিক হ্যালুইনের গল্প।
ভাতের ভূগোল ছাড়ো; রাইস খাও
উহ্ম, বাংলা ভাষার ভেতর চেপাশুটকির গন্ধ।
মেয়েটি থ মেরে টাশকি খেয়ে রবীন্দ্র সজ্ঞীতে মিশে যেতে যেতে
বাবার জন্য চুপচাপ চোখ মুছলো! কাঁদলো।
আমাদের অবিবাহিত জীবন
জীবনকে সীমিত এবং সীমাবদ্ধ করে দেয় বিবাহ,
বন্ধন!
অস্থির গাছের স্থির গ্রন্থিত শেকড়।
পাখিদের অবিবাহিত জীবন
ঈর্ষার; বন্ধনহীন আনন্দের!
রেডক্লিফ দম্পতির বিছানায় তৈরি করে সীমান্ত
কাঁটাতার!
তারপর পুড়িয়ে ফেলা নোট ও নকশা;
আর অমিমাংসিত কুমারী কাশ্মীর!
বিবাহমুক্ত বিশ্বে কেনো কাঁটাতার নেই!