মনসিজ স্বাক্ষর
কান্নার ইতিহাস হাতে দিলে
তোমার হাত পুড়ে যাবে।
এক বিন্দু অশ্রু হয়ে উঠবে এক একটি উপন্যাস।
সাগরের ফেনিল ঢেউ তিরস্কার করবে আর কত?
সুখের নুড়ি পাথর কখনও ভাসেনি সে জলের তীথির বার্তায়।
বালুকাবেলায় কামড়ে পড়েছিল শামুক ঝিনুক, চোখ মেলে দেখেনি আমিও যে নীলাভ হই।
সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলে অসহায়ের মত আমিও খুঁজি দূরপাল্লার কোন নাবিকের আসা যাওয়া।
দূরবীনের আলোয় ঝলকে উঠি।
তখন ঢেউ আবৃত্তি করে, কোন কবিতার
বিশালতাকে ছাড়িয়ে আমি আমায় ছুঁই;
চন্দ্র তারকারাজির আলোক সজ্জায় আমার ঢেউ হয় তখন বর্ণিল ।
ভুলে যাই আমার খরস্রোতা হয়ে বয়ে যাবার কথা।
টুকরো টুকরো হয়ে সৈকতে তখন পা ভিজাই।
জলের স্পর্শে আমি হই শকুন্তলা,
তিরস্কারে হই কালো মেঘের ঘনঘটা
অপমানে অবহেলায় প্রকাণ্ড থাবায় করি লণ্ডভণ্ড।
নতুন সূর্য উঠে -
নিস্তেজ হয়ে পড়ে থাকা আমার গায়ে লেগে থাকে শাপমুক্তির উপঢৌকন।
প্রাণ ফিরে পেয়ে বয়ে চলি পেরিয়ে বিস্তীর্ণ জনপদ।
আমি কখনোই হতে পারিনি আমার ।
নি:সঙ্গ প্রাচুর্যপূর্ণ বিশালতার মাইলফলকে শুধু স্বাক্ষর রেখে গেলাম।
পরিণয়
হাতে রাখো হাত,
সাক্ষি থাক গত হয়ে যাওয়া বিরহী রাত।
মন্ত্র হোক ভালোবাসার রোজনামচা
বিশ্বাসের সুতোয় হোক গাটবন্ধন।
সিথির সিঁদুর হোক আস্থার পরম আশ্রয়।
মঙ্গলসূত্রে লিপিবদ্ধ থাক গন্তব্যের শেষ ঠিকানা।
উলুধ্বনিতে বাজুক তোমার আর্তনাদের শেষ বিদায়ী ঘন্টা।
হোক বধূবরন।
একটি হাসির বিনিময়ে দিও এক একটি কাব্য।
সমর্পণের গালিচা বিছিয়ে দিও
আমি হেঁটে যাবো বাসর শয্যায়।
পালংকে ছিটিয়ে দিও কোমল অনুরাগ।
আদিম উন্মাদনার তুলিতে আঁকবো নদীমুখী এক জলের স্রোত।
নীল নদের পাড়ে তখন নতুন ইতিহাস হবে রচিত;
ক্লিওপেট্রা জুলিয়াস সিজারের কাছে হবে পরাজিত।
নতুন ইতিহাস উন্মোচনে আমার হাতটি প্রিয় ধরো।