কবি : সৈয়দা রতনা
শ্বেত পাথরের মর্মর মূর্তি
.দেখে ভ্রম হয়?
মনে হয় শ্বেতপাথরের মর্মর মূর্তি
শিল্পীর নিপুণ হাতে পূর্ণ অবয়বে সম্পূর্ণ হবে।।
কাজ শেষে শহরের বিশেষ কোনো উল্লেখযোগ্য স্থানে দাড় করিয়ে দিলে অগণিত পথচারী দর্শক বাহবা দিবে?
তোমরা বাহবা দাও।।
তোমাদের কর্মের দায়ে রাফি আজ মর্মর মূর্তি হবে।।
কি কি সব ক্ল্যাসিক আছে না?
ভেনেসীয় , রেঁনেসা বা মহেঞ্জোদারো হরপ্পা।।
নারী শরীর আজ অমর হবে।।
একদিন যখন কোনো নারী আর থাকবে না
সেদিন লালসা মিটাতে পাথরের মূর্তির গায়ে আগুন চড়াবে।।
.একদিন কারো বোন থাকবে না।।
ক্লান্তি নিয়ে বাড়ি ফিরে ছোট্ট বোনটির সাথে খুনসুটিতে প্রাঞ্জল হবেনা।।
রাস্তার মোড়ে মূর্তিটিকে ফুল দিয়ে ঘরে ফিরবে।।
মা ভাবী কি খালা!!
কারো প্রেমিকা আর বেদনার মতো কবিতার গাঁথা হয়ে অশ্রু জলে করবে না অভিমান।।
এক পশলা বৃষ্টিতে দন্ডায়ময়ান মূর্তিটি ধূয়ে যাবে ঋতুবর্তী পরম্পরা! !
সেদিনও কি তোমাদের এই শরীর শরীর খেলা থামবে না?
তোমরা কি তখনো লেহনে চর্বনে চোষ্যে কেবল একটি শরীর কেবল শরীরই খুঁজবে?