কবি - সৈয়দা রুখসানা জামান শানু
পৈতা লাগে
পৈতা লাগে
চেনা বামনে
যেমন লাগে
অনুষ্ঠানের ব্যানারে।
ইউনির্ফম লাগে
ছাত্র পরিচয়ে
আরো লাগে
রামদা চাকু বটিরে।
মান-মর্যাদা লাগে
বংশ পরিচয়ে
আরো লাগে
ঐতিয্যবাহী লাঠি খেলারে।
স্বার্থবাহী অসুরে
অর্চনা লাগে
আরো লাগে
ধর্মের টুপির ব্যবসায়ে।
আঁধার তাড়াতে
আলো লাগে
থাপ্পড় লাগে
বরবাদী ঠেকাতে।
প্রতিটি নিশ্বাসের জন্য ঋণী
আমি পূণরায় জীবিত হয় রোজ সকালে
রোজকার মত ছুটে চলি ক্লান্তি ঝেড়ে
ব্যস্ত হয়ে পড়ি এ-কাজ সে-কাজ নিয়ে
মাটিতে থাকি অথচ সূর্যের আলো চাই
অহংকারের ডানা মেলে উড়ে বেড়াই
শীতল পরশে মৌসুমী বায়ুর বয়ে যাওয়া
আরো চাই জোছনা ভরা চাঁদের মুখখানা!
জীবনের চাওয়া পাওয়ার হিসাবে
গভীর থেকে গভীরতরও বিভোরে
সময়ের ভাঁজে আকাশ মাটি সবখানে
এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে
ছুটে চলায় কত ডাক সুনাম যে
বিভোর সারাদিনমান সে সুনামে
তোমার সকল গুণগান যায় ভুলে।
হে রাব্বুল আলেমিন তোমার কাছে আমি
প্রতিদিনের প্রতিটি নিশ্বাসের জন্য ঋণী
অজানা পাপিষ্ট অতি নগন্য বান্দা
করূণা দিয়ে আমায় তুমি করো ক্ষমা
যেমন তুমি আমায় প্রতি রাতের পর
উপহার দাও ঝলমলে এক সকালের
আর পথ দেখাও নতুন এক জীবনের।
দেখবে যুগের কনিষ্ঠা
নতুন প্রজন্মের সকল জাতি! শোনো
অতীত হয়ে যাওয়া সকল যুগ! শোনো
বেড়ে গেছে পাপাচারের মাত্রা
কেঁদে কেঁদে বলছে বসুন্ধরা
ঢেকে গেছে সুখতারা অনাচারের চাদরে
গোধুলির আনমনা আকাশ বলছে সম্ভ্রম ডিঙিয়ে !
জাহেলাতের পরিবেশে দুঃখীরা আজ অন্ধ
নতুন আলোর জন্য দিশেহারা চোখ তৃর্ষ্ণাত
স্বচ্ছতা আর জবাবদিহিতার দিনকাল আসবে যখন
কবরে গিয়েও লুকিয়ে থাকা মুশকিল হবে তখন
শুরু হবে একে একে সঠিক বিচারের ধারা
তখন পাপাচারীর সত্য-মিথ্যা দেখবে যুগের কনিষ্ঠা।
পলকে জড়িয়ে
কত আশা আর কত রঙিন ভালোবাসায়
সিক্ত হয়ে হেঁটেছিলাম দূর্গম পথসমূহ দুজনে
জয় করেছিলাম কত দুর্ভিক্ষ একসাথে
জানিনা তুমি এখন কোন্ রক্তবীজে
না কোনো অজানা চিরুনী অভিযানে
ক্রুশবিদ্ধ নাকী কথিত বন্দুক যুদ্ধে
বন্ধন ছিঁড়ে চলে গেছ না ফেরার দেশে
কে করবে কার কাছে কৈফিয়ত
কার আছে এ হেন হিম্মত?
সেদিনের কথা বারে বারে পড়ে মনে
এক সন্ধ্যায় বেরিয়ে পড় স্বপ্ন রঙ্গীনের পথে
তখন খুশির বন্যা ঝরেছিল গালের দু’ধারে
অপেক্ষায় যে কতকাল পেরিয়ে গেল বন্ধু
পলকে জড়িয়ে পেরেশান আছে শিশির বিন্দু ।