প্রণব মজুমদার : সাহিত্য তখনই ঋদ্ধ হয়, যখন চলে লেখালেখিতে ভালমন্দের পারস্পরিক আলোচনা।
এই আলোচনাকে আমরা আড্ডাই বলেই আসছি । যদিও আড্ডার সংজ্ঞা ভিন্ন! একসময় আড্ডাকে মানুষ ইতিবাচ ক বলে গ্রহণ করতেন না ! সাহিত্যের এ আড্ডা থেকে অনেক শিল্প ও সাহিত্য কর্ম সৃষ্টি হয়েছে ! রাজধানীর পুরানা ঢাকার বিউটি বোর্ডিং এর সাহিত্য আড্ডা থেকে দেশের বিখ্যাত উপন্যাস, গল্প, নাটক এবং কাব্য সৃষ্টি হয়েছে।
সাহিত্য আড্ডার গুরুত্বের কথা ভেবে কথাশিল্পী মনি হায়দারের প্রস্তাবকে মাথায় রেখে এর বাস্তবায়নের কথা প্রথম ভাবেন কবি ও সম্পাদক আনোয়ার কামাল !তিনি আলোচনা করেন কবি বাবুল আনোয়ার ও প্রণব মজুমদারের সঙ্গে ! তারপর আমরা তিনজন কয়েকজনকে নিয়ে শুরু করি হাতিরঝিলে সাহিত্য আড্ডা ! মহানগরীর রামপুরা, মহানগর, মগবাজার, হাতিরঝিল, বাড্ডা, আফতাবনগর, বনশ্রী, মালিবাগ, মৌচাক, সিদ্ধেশ্বরী, শান্তিনগর এলাকায় বসবাসকারী লেখকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ পরিলক্ষিত হয় ।
গত ৫ অক্টোবর বিকেলে রাজধানীর রামপুরা সংলগ্ন হাতিরঝিলের ফুড কোর্টে প্রায় তিন ঘন্টার সে দ্বিতীয় সাহিত্য আড্ডায় তার স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেলো ! দ্বিতীয় আড্ডাটি হলো শুধু কবিতা দিয়ে নয় কথাসাহিত্য ও সংস্কৃতির শাখা প্রশাখার উপাদান দিয়ে ! কবিতা, ছড়া, আবৃত্তি, গান, সাহিত্যের নানা প্রাসঙ্গিকতা, সমালোচনা এবং লেখালেখির বর্তমান বাস্তবতা ইত্যাদি নিয়ে ছিলো প্রাণবন্ত আলোচনা ! কবি জাহাঙ্গীর ফিরোজ ও কথাশিল্পী আফরোজা অদিতি ছিলেন আড্ডার সভাপতি ।
কবি আনোয়ার কামালের সঞ্চালনায় আলোচনা করেন প্রাবন্ধিক, অনুবাদক ও সমালোচক আবুল কাইয়ুম, কথাশিল্পী ও সাংবাদিক আবু সাঈদ জুবেরী, কবি কামরুজ্জামান, কথাশিল্পী মনি হায়দার, প্রণব মজুমদার, কবি বাবুল আনোয়ার, কবি মিজান খান, কবি ও গল্গকার নূরকামরুন নাহার, গল্পকার শামীম আহমদ, কবি মাহবুবুল হক, কবি ও প্রাবন্ধিক আলী রেজা, আঞ্জুমান কামাল, কবি মুসতাক মুকুল, মিরন মহিউদ্দিন, ছড়াকার জাকির মজুমদার প্রমুখ ।
প্রণব মজুমদারের দুইটি কবিতা আবৃত্তি করেন বিশিষ্ট বাচিক শিল্পী ও কবিতা প্রেমিক বদরুল আহসান খান ।
হাতিরঝিল এলাকায় এ ধরনের সাহিত্য আড্ডা মাসে একবার অনুষ্ঠিত এবং এর কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রকাশনা হবে সে প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয় হাতিরঝিলের সেই জমজমাট সাহিত্য আড্ডায় ।
# লেখক সাহিত্যিক ও সাংবাদিক
reporterpranab@gmail.com