মনকেমনের রূপসী স্বপ্নরা
বুকের কাছে শান্ত নদীটির হুড়মুড়
দেয়ালে পিকাসো, অচেনা ফুলের গন্ধ
রাত্রির অন্ধকার মুছে
মনোমুগ্ধকর পিয়ানোর সুর এখন
কী ভয়ানক অর্থহীন, বলো করোনা।
চাঁদ এবং পাখিদের গল্প এখন দিশাহারা
উপায় খুঁজতে খুঁজতে ক্ষীণ হয়ে আসছে
আমাদের চোখের দৃষ্টি।
মিথ্যা অস্তিত্বের সকাল মরে সরে যাচ্ছে
স্বেচ্ছা-অন্তরীণ গৃহে ঢুকে যাচ্ছে দিঘি,
ভাঙাঘাটের সিঁড়ি
দূরে দুঃখে মুখ ঢাকছে তৃষ্ণার্ত চাতক।
জানি না আরও কতদিন লুকিয়ে রাখতে হবে
উপুড় হয়ে থাকা
অভিমানের কফি মগের ব্যঞ্জনা
এখন এক পা দু'পা করে পিছু হেঁটে যাচ্ছে
মনকেমনের রূপসী স্বপ্নরা।
মৌনব্রতী অন্ধকারে
ভেতরে ভেতরে জমতে থাকা অজস্র সুতোয় বাঁধা গুমরানো পিপাসা নিয়ে খাপ খুলে
চাঁদ নেমেছিল অন্য শান্ত জলাশয়ে---
ঘরে শুয়ে কাৎরায় তার অসুস্থ বউ
তবু আপেল সেদ্ধ করার নিয়ম শিখতে
সে নামে অন্য জলাশয়ে।
এইসব রূপকথা তুমি হেসে উড়িয়ে দিলে
আমার ভুলগুলো নিয়ে রোপন করা
দোপাটির চারার গায়ে মিশিয়ে দিই
আমার নিজের দু'একটা পোষা হা-হুতাশ।
তোমার দু'হাতেই সাপ
তবু ছোবলের সঙ্গে কতদিন থেকে যেতে পারি ভেবে
হাত বাড়িয়ে দাঁড়িয়ে আছি
মৌনব্রতী অন্ধকারে----
এবার আমাকে ছোঁও... ..
এবার ছুটি পেলে পাহাড়ে যাব
মেহগনি গাছের নিচে পেতে রাখব
চায়ের সরঞ্জাম।
তুমি না চাইলেও অধিকাংশ পাতা
হয়ে যাবে গান,
তোমার সবুজ শাড়িকে ঘিরে
তখন নিলামে উঠবে দরদামের ফিসফাস।
নীল আর সবুজের চমৎকার কম্বিনেশন
শেখাবে মারমা মেয়ে।
গেস্ট হাউসের বিছানার উপর ভাসবে
হেমন্তের ঝড়
আস্তে আস্তে সবকিছু ফিকে হয়ে যাবে ভেবে
আমি সযত্নে তোমাকে নিয়ে খেলব
আমার আনন্দ তখন বাদাম ভাজা চিবোবে একা।
বহু পুরনো তৃষ্ণার্ত ঘোড়ার মতো আমি
রেসকোর্সের স্মৃতি গুছিয়ে রাখি।
ফালতু বাবা
বিরাট শূন্যতায় জমে উঠছে আমাদের সংসার
চমক ধরানো কোনো স্মৃতিচিহ্ন নেই
সব ফাঁকা মাঠ।
থাকবে কী করে? আমি যে বাংলায় অনার্স
আমি যে শুধুই কবিতা লিখি লিটিল ম্যাগে, ফেসবুকে
আর নিচের ক্লাসের দু'তিনটে টিউশনি করে
সংসার চালাই। সংসার কি আর চলে?
আমি কি মোড়ের দোকান থেকে তোমাদের জন্য আনতে পারি চাউমিন, বিরিয়ানি, চিকেন রোল?
গুলশানে গ্লোরিয়া জিনসএ নিয়ে গিয়ে কী
খাওয়াতে পারি ব্রেকফাস্ট?
কবিতায় কাল্পনিক প্রেমিকাকে লিখি দেখে
তোমরা কেমন করে তাকাও
আমি যেন পরকীয়া করি, লম্পট
আমি যেন বল্টু, কানাইয়া... ...
আর একটু ভালো থাকার জন্য আমাদের সবটুকু
গল্প নিয়ে আমি পথ সাজাই---
লিফটে বোতামঘরে সবুজ আলো ছুঁই।
কর্পোরেটের চাপে একজন ফালতু বাবার
এসব কান্ড সহ্য করতে না পেরে
সমস্ত দুপুরটা নিয়ে ভাবো তোমরা। ৃ