আমি চোখের জলে নেভাব নরক
আমি চোখের জলে নেভাবো নরক
হাসিতে উড়াবো স্বর্গ
যদি না পাই রাধারে যদি না পাই গোপীরে //
বিষ্ণুপ্রিয়া লক্ষ্মী রাধা নারায়ণের অংশ
মুকুন্দ মুরারী আমি বধ করিব কংস
রাধে গো তোমার জন্য রাখাল আমি
তোমার জন্য মাঝি, বাসনা বহ্নি বরে
যদি না পাই রাধারে //
আমার বাঁশি ডাকে রাধা কাম বাসনার সুরে
বাঁশির সুরে চতুর্বেদ যে আনন্দে গান করে
রাধে গো তোমার জন্য পাগল আমি
তোমার জন্য বাউল, কামনা বহ্নি বরে
যদি না পাই রাধারে //
আড়াল হয়ে থাকি
যার কান্দনে আকাশ কান্দে,
যার কান্দনে বাতাস কান্দে,
ও দয়াল,,,,,,
তারে কেন কান্দাও,
দয়াল তারে কেন ভাসাও।।
অন্তরে বসাইয়া তোমায়,
হৃদয় দিয়া ডাকি,
লোক লজ্জ্যার ভয়ে আমি,
আড়াল হয়ে থাকি,
ও দয়াল,,,,
আমার কর্ম, আমার মর্ম, তুমি আমার হইয়া,
কোথায় উইড়া বেড়াও।।
সোনার দেহ বানাইয়া,
তুমি রইলা মাঝে,
দুই কূলে ভাসাইয়া নেওয়া,
তোমারে কি সাজে,
ও দয়াল,,,,,,,
আমার জীবন, আমার মরণ, তোমার হাতে লইয়া,
কেন আড়ালে লুকাও।।
আসবে আমার বাড়ি
আসবে আমার বাড়ি
ওরে ও ভুবন মোহন
আসবে আমার বাড়ি,
তোমার জন্য সাজায় রাখছি
ফুল চন্দনে পিঁড়ি
ওরে ও ভুবন মোহন
আসবে আমার বাড়ি ।।
মেয়ে :
দুখ রসের পায়েস আছে
শোক রসেরই পুলি
অন্তর বাজারে আছে
গান শোনাতে ঢুলি
নীল বেদনার চোখের পানি দিয়ে
ধুয়ে দেব সিঁড়ি।
ওরে ও ভুবন মোহন
আসবে আমার বাড়ি
আসবে আমার বাড়ি ।।
ছেলে:
প্রেমের জোলাব পান করাবো
শোক হবে গো শক্তি
হৃদয় খুলে দেখায় দিব
কোথায় আছে সুক্তি
ফুলে ফুলে ফুলেল রথে চড়ে
যাবো তোমার বাড়ি।
ওরে ও ভুবন মোহন
আসবে আমার বাড়ি
আসবে আমার বাড়ি ।।
মেয়ে:
চৈত্র মাসের খা খা রোদে
পুড়ে যাওয়া বুক
লুকায় রাখবো সাত জনমের
অনুতাপ আর শোক,
ইচ্ছে পাখির সুখের আবাস গড়ে
চালাই জীবন গাড়ি,
ওরে ও ভুবন মোহন
আসবে আমার বাড়ি
আসবে আমার বাড়ি।।
ছেলে :
ভালোবাসার বুকে আছে
প্রেমের শীতল ছায়া
বুক ভরিয়া দেব তোমায়
স্বর্গ সুখ আর মায়া
মন পবনের নৌকা চড়ে যাব
আন্তঃনগর ছাড়ি।
ওরে ও ভুবন মোহন
আসবে আমার বাড়ি
আসবে আমার বাড়ি ।।