৫টি কবিতা ।। মাহবুবা ফারুক
৫টি কবিতা ।। মাহবুবা ফারুক
আগুন

 

কেন পোড়ে এমন করে জলের দেহ

জলেও আগুন আছে নেই সন্দেহ।

 


উনুনে বন্ধ কেটলি

 

ফুটন্ত জল আর আগুন যমজ  ভাই,

জল বলে চল বাষ্প  হয়ে উড়ে যাই।

শুনে কেটলি বন্ধ করে তার খোলাপথ প্রাণপণ,

বাষ্পেরা ক্ষোভে  দ্রোহে খুলে  ফেলে   আচ্ছাদন।

 


অসমাপ্ত  উপন্যাস

 

বলেছিলেন অনেক কাজ বাকি আছে,

একসাথে হেঁটে  যেতে কত কথা হলো

হাত ছেড়ে দিয়ে এগিয়ে গেলেন

তারপর মাকেও ডেকে নিলেন

দরজা খুলে দেখি  বাবা নেই মা নেই

একটা  অসমাপ্ত  উপন্যাস পড়ে আছে

সেই ঘটনার ভেতর দিয়ে ছুটছি আমরা

পেছনে আমার ভাইবোন  সন্তান  স্বজন

সবাই লিখে চলেছে আর খুঁজছে শেষ পাতাটা।

 

 


অমাবস্যা

 

পূর্ণিমায় যতটা সুখি ভাবো চাঁদকে

এত জোৎস্না ঝরার বিলাসী রাত

যাকে নিয়ে উজ্জ্বল

ততটাই আঁধারের শূন্যতা তার চারপাশে

ধীরে ধীরে পূর্ণ হয়ে ওঠা

জোৎস্নাকে ঘিরে ধরে নিরবে

চাঁদেরও যেতে হয় অমাবস্যার বাড়ি

ফিরে আসার জন্যে চলে নিরন্তর সংগ্রাম।

 


শিকড়

 

 

গাছ  তার শিকড়কে ভুলে যায় একদিন

সে ভাবে  ফুল পাতার কাছে শুধু তার ঋণ।

মন খারাপের ঘুমে শিকড় হলো অচেতন

গাছের রূপ হারিয়ে গেলো বিপন্ন জীবন।

ঝর ঝর পাতারা ঝরে পড়ে অবিরাম

কেউ ছায়া নিতে আসেনা নেয়না গাছের নাম।

কাঠুরে আসে কেটে নিতে করাত চালায়,

মরা গাছ টুকরো করে হেলায় ফেলায়।

গাছ ভাবে, সুন্দর জীবন কেন এভাবে হায়!

বিনাদোষে এমন করে হারিয়ে যায়।

করাত বলে,একটু যত্ন নাওনি শিকড়ের

জন্ম যে ভুলে যায় বল  বাঁচে সে কি করে?

 


সাবস্ক্রাইব করুন! মেইল দ্বারা নিউজ আপডেট পান