এখন আর মৃত্যু নিয়ে ভাবি না,
ততোটুক হলো জীবন মানে রিক্সার টুংটাং শব্দ।
যেমন ফিরতি পথে রোজ রোজ তোমাকে দেখি
মতিঝিল হয়ে পুরানা পল্টনে...
আমিও কাওরান বাজার ঘুরে আসি চটজলদি
একটা পালংশাকের আঁটি কিনে।
কাঁটাবনের পাখিগুলো রোজ আমাকে দেখে
হাসে
আর বলে, আমারি বংশধর তুমি।
টিএসসির কুকুরগুলো জানে, পথের শেষ রেখা..
কিন্তু আমিতো জানি না শেষ কোথায়!
দাঁড়িয়ে দেখছো আকাশ কোথায়
পাখিরা কোথায় মিলেছে— কোনো নীলিমায়
আমিও রোজ দেখি ক্ষয়ে যাওয়া রিক্সার প্যাডেল
ছেঁড়া চপ্পল কোর্তা
আর তীর্ষক রোদে রোদচশমা তোমার বিহ্বল আঙ্গুল...
বেহুদা গদর্ভ হয়ে রঙিন হই, আজ-কাল-পরশু
দিন যায়, অথচ আমার আমিকে কেউ বোঝেনা
বোঝে শুধু মোড়ের চা ওয়ালা চাচা—
যে আমাকে দেখে;
রেসকোর্স ময়দানে আমার তাকিয়ে থাকা।
জনসভায় রাজনৈতিক বুলিতে ছুঁয়ে যায়—
ছুঁয়ে গেছে মানুষের নতুনত্ব।
অথচ গতকাল তোমাকে নিয়ে কি যেন ভেবেছি!
হ্যাঁ। ভেবে গেছি পুরোনো তোমার তুমিকে।
পথ ও তুমি, তুমি ও রোদচশমা
কেউ কখনও বুঝোনি—
আমি নামক এক পথিকের গতিবিধি।