‘অভিজিৎ সাহসিকতা পুরস্কার’ পেল রূপবান
‘অভিজিৎ সাহসিকতা পুরস্কার’ পেল রূপবান

ফ্রিডম ফ্রম রিলিজিয়ন ফাউন্ডেশন (এফএফআরএফ) এবং মুক্তমনার যৌথ উদ্যোগে ‘অভিজিৎ সাহসিকতা পুরস্কার’ ঘোষণা করা হয়েছে। এ বছর থেকে প্রচলন করা বার্ষিক এই পুরস্কারটি পেয়েছে বাংলাদেশের প্রথম এলজিবিটিকিউ (Lesbian, Gay, Bi-sexual, Transgender, Queer) সাময়িকী ‘রূপবান’।

গত শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিকোতে এই পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নিহত মুক্তমনা লেখক অভিজিৎ রায়ের স্ত্রী বন্যা আহমেদ।

তিনি জানান, এফএফআরএফ এর প্রেসিডেন্ট এনি লরি গেইলর আর ড্যান বার্কার অভিজিৎ রায়ের নামে এই আন্তর্জাতিক পুরস্কার ঘোষণা করেন। কোনো দেশে কোনো প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্যে সাহসিকতার সাথে কাজ করছেন এমন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে প্রতিবছর আন্তর্জাতিক এই সম্মাননা (এর অর্থমূল্য ৫ হাজার আমেরিকান ডলার) দেওয়া হবে।

এ বছর প্রথম পুরস্কারটি দেওয়া হয়েছে সাময়িকী রূপবানকে। এই সাময়িকী প্রকাশের ‘অপরাধে’ ২০১৬ সালে মৌলবাদীদের চাপাতির কোপে নিহত হন রূপবানের সহ-প্রতিষ্ঠাতা জুলহাজ মান্নান ও তাঁর বন্ধু মাহবুব তনয়। এছাড়া বাংলাদেশের সমকামীদের অনেকেই দেশত্যাগ করতে বা নিজের পরিচয় গোপন করতে বাধ্য হয়েছেন। রূপবানের সম্পাদক রাসেল আহমেদও দেশত্যাগে বাধ্য হন। তিনিই শনিবার রূপবানের পক্ষ থেকে এই পুরস্কারটি গ্রহণ করেছেন।

বন্যা আহমেদ জানান, প্রথম অভিজিৎ সাহসিকতা পুরস্কারের জন্যে রূপবানের নাম উঠে এসেছিল স্বাভাবিকভাবেই। অভিজিৎ সবসময়ই পৃথিবীর নানা প্রান্তে ছড়ানো প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রতি গভীর সহমর্মিতা প্রকাশ করতেন। শুধু সমকামি বা নারী অধিকার নিয়েই নয়, তিনি কাশ্মিরের জনতা থেকে শুরু করে ফিলিস্তিনের নিপীড়িত জনগণ বা বাংলাদেশের পাহাড়িরা পর্যন্ত সবাইকে নিয়েই লেখালেখি করেছেন। অভিজিৎ রায়ের লেখা ‘সমকামিতা, একটি বৈজ্ঞানিক এবং সমাজ-মনস্তাত্ত্বিক অনুসন্ধান’ বইটি বাংলাদেশে এলজিবিটিকিউ সম্প্রদায়দের নিয়ে লেখা প্রথম বই।


সাবস্ক্রাইব করুন! মেইল দ্বারা নিউজ আপডেট পান