‘মালীবুড়ো উৎসব’ ও গুণীজন সম্বর্ধনা
‘মালীবুড়ো উৎসব’ ও গুণীজন সম্বর্ধনা

বাবা ছিলেন একজন কথা সাহিত্যিক ও গবেষক। বাবা যুধিষ্ঠির জানার মৃত্যুর পর তাঁর আদর্শকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ছেলে সুস্নাত জানা প্রতি বছর বাবার মৃত্যু বার্ষিকীতে আয়োজন করে শিশু উৎসব, সেমিনার, সাহিত্য সম্মেলন ও গুণীজন সম্বর্ধনা। যার নামকরণ করা হয়েছে ‘মালীবুড়ো উৎসব’।

আসলে মালীবুড়ো নামটি সুস্নাতবাবুর বাবার ছদ্মনাম। সুস্নাতবাবু মেদিনীপুর কলেজের বাংলা বিভাগের একজন অধ্যাপক। তিনি নন্দকুমার থানা এলাকার বারগোদা এলাকার বাসিন্দা। তিনি বলেন, ‘‘বাবার মৃত্যুর পর গত ১৮ বছর ধরে মৃত্যু বার্ষিকীতে আয়োজন করা হয় সেমিনার, সাহিত্য সম্মেলন ও গুণীজন সম্বর্ধনা।’’

বুধবার সকাল থেকে সন্ধ্যে পর্যন্ত নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বাবার মৃত্যু বার্ষিকী পালন করা হয়। এদিন সাহিত্য আড্ডায় রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে কবি, সাহিত্যিক অধ্যাপকরা উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন শিক্ষাবিদ ও সাহিত্যিক হরিপদ মাইতি, কবি অমিত সুদন ভট্টাচার্য, শিক্ষক ও সাহিত্যিক সৌরভ কুমার ভূঁইয়া, শুভঙ্কর দাস, কবি অশোক বাগ সহ অন্যান্যরা। এদিন পুরুলিয়ার কবি ও কথা সাহিত্যিক বিপ্লব গঙ্গোপাধ্যায় ও দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের কবি ও সমাজকর্মী বিশ্বনাথ লাহা নামে দুই গুণীজনকে সম্বর্ধনা জানানো হয়।

সুস্নাতবাবু বলেন, ‘‘বাবা সব সময় সাহিত্য নিয়ে থাকতেন। তাই তাঁর চিন্তা ভাবনায ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য বাবার মৃত্যু বার্ষিকীতে সাহিত্য আড্ডার ব্যবস্থা করা হয়। আগামী দিনেও একই ভাবে বাবার নামাঙ্কিত ‘মালীবুড়োর উৎসব’ চালিয়ে যাব।’’

অন্যদিকে শিক্ষাবিদ ও সাহিত্যিক হরিপদ মাইতি বলেন, ‘‘এই ধরনের একটি অনুষ্ঠান সমাজে দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করে। সাহিত্যের বিকাশ ঘটে। সাহিত্য চিন্তা ভাবনার প্রসার ঘটানোর জন্য এই ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করার প্রয়োজন রয়েছে।’’ পাশাপাশি এদিন ‘সূর্যদেশ’ নামে একটি পত্রিকাও প্রকাশ হয়। যা প্রয়াত যুধিষ্ঠিরবাবু প্রকাশ করে থাকতেন বলে জানা গিয়েছে।


সাবস্ক্রাইব করুন! মেইল দ্বারা নিউজ আপডেট পান