জীবন-মৃত্যু খুব কাছাকাছি হাঁটছে
মৃত্যু অবিসম্ভাবী হয়তোবা খুব কাছেই
জীবনের মূল্যও অনেক
হিসেবের খসড়ায় অদ্ভুত এক ধাঁধা!
প্রাসাদোপম অট্টালিকা এবং সাড়ে তিন হাত মাটি!
যোগসূত্রটাও আশ্চর্যরকম সত্য-
কিছুক্ষণ আগেই এ পাড়ার
পুলিন বেপারীর মৃত্যুর খবর চাউর হলো
আহা!পুলিন বাবু-
টাকার পাল্লায় জীবন মেপে নিতেন!
এইমাত্র চলে গেলেন টালিউডের একজন নায়িকাও
সেও নাকি মাতাল করে দিতো যুবাদের!
একটি ঘর
অগ্নিগোলক
এবং আলোকরেখা,দুটোই জ্বলছে
যেমনটি পৃথিবীর একদিকে রাত অন্যত্র দিন!
জীবন-মৃত্যু খুব কাছাকাছি হাঁটছে!
...
অন্ধকার
আঁধাররের এক রাত! একটিও জোনাক পোকা নেই
কালশী কিংবা সখীপুরের কোনো এক জঙ্গল,
জননী,কাঁদছে!
ভোরের আলো-সীমাহীন দূরে।আলো প্রত্যাশিত নয়।
জননী, অন্ধকারের জন্য-ই প্রার্থনা করছে!
চিরস্থায়ী অন্ধকার,সেখান থেকে দেখবেনা-
নিজ রক্তের পৈশাচিক মনোবৃত্তি,শাল দুধের পচন!
পুনশ্চঃ জননীকে কেউ জঙ্গলে ফেলে যাবেন না!
....
ওলাবিবির রূপ!
এতটা অন্ধকার চোখ মেলে আগে কখনোই দেখিনি
বিষন্ন হাহাকার,শকুনের বির্ধস্ত চাহনী!
সম্মুখে মৃত-প্রাগৈতিহাসিক এক শহর।
মৃত প্রকৃতির বুকে উৎকট গন্ধ ভাসে,
নীল সরাপে-জমে গেছে হিম পাথরের ছায়া।
এশ্রাজের করুণ সুর-/
সীমানা ভেদ করে চলে গেছে আরো দূর।
প্রিয়ার কালো চোখেও নিরাবরণ অন্ধকার!
আকাশ যেনো পুরনো ওলাবিবির রূপ।
......
কাঁথা-১
নকশী বুননে ছেঁড়াখোঁড়া একখানা কাঁথা
আমাকে নিয়ে যাচ্ছে পৌরাণিক স্মৃতির কিনারায়
পাইন-ছায়াঘেরা শান্ত নির্মিলিত নির্জনতা-
নিরবচ্ছিন্ন একখানা ভবন!শানবাঁধানো ঘাট।
বৃক্ষ পতনের মড়মরিয়ে শব্দ-যৌবনপোড়া অসুখ!
২
কাঁথাফোঁড়-আমাকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে শৈশবে।
মা, কাঁথা বুনতেন-স্বপ্ন বুননের মধ্য দিয়ে।
বড় হতেই আমি দেখেছি ক্রমশ সে স্বপ্নের পতন!
বাহিরে বৃষ্টির শব্দ-আবহ সংগীতটা আজ খুব নিবিড়
শীতার্ত হাওয়ার ভেতরে বয়ে যাচ্ছে অতি প্রাচীন শব্দমালা।