আতাউল হাকিম আরিফ এর গুচ্ছকবিতা
   আতাউল হাকিম আরিফ এর গুচ্ছকবিতা

জীবন-মৃত্যু খুব কাছাকাছি হাঁটছে

 

 

মৃত্যু অবিসম্ভাবী হয়তোবা খুব কাছেই

জীবনের মূল্যও অনেক

হিসেবের খসড়ায় অদ্ভুত এক ধাঁধা!

প্রাসাদোপম অট্টালিকা এবং সাড়ে তিন হাত মাটি!

 

যোগসূত্রটাও আশ্চর্যরকম সত্য-

কিছুক্ষণ আগেই পাড়ার

পুলিন বেপারীর মৃত্যুর খবর চাউর হলো

আহা!পুলিন বাবু-

টাকার পাল্লায় জীবন মেপে নিতেন!

 

এইমাত্র চলে গেলেন টালিউডের একজন নায়িকাও

সেও নাকি মাতাল করে দিতো যুবাদের!

 

একটি ঘর

অগ্নিগোলক

এবং আলোকরেখা,দুটোই জ্বলছে

 

যেমনটি পৃথিবীর একদিকে রাত অন্যত্র দিন!

জীবন-মৃত্যু খুব কাছাকাছি হাঁটছে!

...

 

অন্ধকার


 

আঁধাররের এক রাত! একটিও জোনাক পোকা নেই

কালশী কিংবা সখীপুরের কোনো এক জঙ্গল,

জননী,কাঁদছে!

ভোরের আলো-সীমাহীন দূরে।আলো প্রত্যাশিত নয়।

জননী, অন্ধকারের জন্য- প্রার্থনা করছে!

চিরস্থায়ী অন্ধকার,সেখান থেকে দেখবেনা-

নিজ রক্তের পৈশাচিক মনোবৃত্তি,শাল দুধের পচন!

 

পুনশ্চঃ জননীকে কেউ জঙ্গলে ফেলে যাবেন না!

....

 

ওলাবিবির রূপ!


এতটা অন্ধকার চোখ মেলে আগে কখনোই দেখিনি

বিষন্ন হাহাকার,শকুনের বির্ধস্ত চাহনী!

সম্মুখে মৃত-প্রাগৈতিহাসিক এক শহর।

মৃত প্রকৃতির বুকে উৎকট গন্ধ ভাসে,

নীল সরাপে-জমে গেছে হিম পাথরের ছায়া।

এশ্রাজের করুণ সুর-/

সীমানা ভেদ করে চলে গেছে আরো দূর।

প্রিয়ার কালো চোখেও নিরাবরণ অন্ধকার!

আকাশ যেনো পুরনো ওলাবিবির রূপ।

......

 

কাঁথা-


নকশী বুননে ছেঁড়াখোঁড়া একখানা কাঁথা

আমাকে নিয়ে যাচ্ছে পৌরাণিক স্মৃতির কিনারায়

পাইন-ছায়াঘেরা শান্ত নির্মিলিত নির্জনতা-

নিরবচ্ছিন্ন একখানা ভবন!শানবাঁধানো ঘাট।

বৃক্ষ পতনের মড়মরিয়ে শব্দ-যৌবনপোড়া অসুখ!

 


কাঁথাফোঁড়-আমাকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে শৈশবে।

মা, কাঁথা বুনতেন-স্বপ্ন বুননের মধ্য দিয়ে।

বড় হতেই আমি দেখেছি ক্রমশ সে স্বপ্নের পতন!

বাহিরে বৃষ্টির শব্দ-আবহ সংগীতটা আজ খুব নিবিড়

শীতার্ত হাওয়ার ভেতরে বয়ে যাচ্ছে অতি প্রাচীন শব্দমালা।


সাবস্ক্রাইব করুন! মেইল দ্বারা নিউজ আপডেট পান