সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের ৮৫তম জন্মবার্ষিকী আজ রবিবার। তিনি ১৯৩৫ সালের এই দিনে কুড়িগ্রাম জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। এ উপলক্ষে ঢাকায় এবং পৈত্রিক নিবাস কুড়িগ্রামে বিস্তারিত কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে। তার জন্মদিন উপলক্ষে ২৫ ডিসেম্বর মৈত্রী থিয়েটার ও শৌখিন থিয়েটারের যৌথ আয়োজনে ঢাকার লক্ষ্মীবাজার সৈয়দ শামসুল হক স্টুডিও হলে অনুষ্ঠিত হয় নাট্যোৎসব। সৈয়দ শামসুল হকের ৮৫তম জন্মবার্ষিকীতে প্রথমা প্রকাশন, ঢাকা থেকে প্রকাশিত হচ্ছে তার জীবনসঙ্গী কথাশিল্পী আনোয়ারা সৈয়দ হক রচিত বাসিত জীবন : সৈয়দ হকের সঙ্গে শেষ দিনগুলো শীর্ষক স্মৃতিচারণামূলক বই।
এছাড়া প্রকাশনা সংস্থা ঐতিহ্য প্রকাশ করেছে সৈয়দ শামসুল হকের প্রিয় ৫০ প্রেমের কবিতা। চিত্র প্রকাশনী প্রকাশ করছে সৈয়দ শামসুল হকের শিশুতোষ গ্রন্থ ‘ভয় করলেই ভয়’। সৈয়দ শামসুল হকের জন্মভূূমি কুড়িগ্রামেও তার ৮৫তম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নানা কর্মসূচী গৃহীত হয়েছে।
কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে ২৭ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় কুড়িগ্রাম সরকারী কলেজ প্রাঙ্গণে কবির সমাধিতেÑজেলা প্রশাসন, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানসমূহের সম্মিলিত উদ্যোগে পুষ্পস্তবক অর্পণ, র্যালি, দোয়া মাহফিল। এছাড়া জেলা কালেক্টরেট কার্যালয়ের স্বপ্নকুড়ি মিলনায়তনের স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে শিশু-কিশোর প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। সৈয়দ শামসুল হকের ৮৫তম জন্মবার্ষিকীতে তার সমাধিতে এপিটাফ-সংবলিত সমাধিফলক উন্মোচন করা হবে।
তিনি ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর চলে যান না-ফেরার দেশে। সাহিত্যের সবক্ষেত্রে সদর্প বিচরণকারী সৈয়দ হক বেঁচেছিলেন ৮১ বছর। এ দীর্ঘ সময়ে দু’হাত ভরে কবিতা, গল্প, উপন্যাস, নাটক, প্রবন্ধ ও গান লিখে বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছেন। তিনি তার ক্ষুরধার লেখনীর মাধ্যমে আমৃত্যু মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখিয়েছেন। তার বাবা সৈয়দ সিদ্দিক হুসাইন ছিলেন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক। মা হালিমা খাতুন ছিলেন গৃহিনী। ষাট, সত্তর ও আশির দশকে অনেক চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্যের পাশাপাশি চলচ্চিত্রের জন্য গানও লিখেছেন সৈয়দ শামসুল হক। বাংলা সাহিত্যে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, আদমজী সাহিত্য পুরস্কারসহ বহু পুরস্কার পেয়েছেন সব্যসাচী এ লেখক।