মেঘ শিরীষের পাতাগুলোও নেমে আসে
ঝরাপাতা গুলো হেমন্তের বাতাসে
প্রজাপতির মতো সাঁতার কাটতে কাটতে
নেমে আসে মাটিতে।
মেঘ শিরীষের পাতা গুলোও
বাতাসে পাক খেতে খেতে নেমে আসে,
আসতেই থাকে।
হেমন্তের বাতাস যেন ওই পাতার
ফাঁকে শীতল ফু দিয়ে
অলৌকিক এক খেলায় মাতে।
হেমন্তের হাওয়া আসে রাতের শিশির নামাতে,
পরিযায়ী বুনোহাঁস আকাশ জোড়া
ঝাঁক ডানায় দুরাগত বৃষ্টির শব্দ তুলে
হেমন্তের গান গায়।
আমিও হাসতে জানি
হাসবো আমি,আমিও প্রান খুলে হাসতে জানি
জগত ভোলাবো দেখে নিও খুশীর ঝলকানি।
ছিড়েছিলে একটা একটা করে সুখের পালক
দেখে নিও গড়বো স্বর্গ,দেখবে সুখ স্বপ্নের ঝলক।
গোলাপের বাগানটা হাসবে এ আমার বিশ্বাস
হিংসায় মাড়িয়েছো,দিয়ে আমায় নোংরা আশ্বাস।
জানি আমি সুখের মন্ত্র খানি
জানি আমিও প্রান খুলে হাসতে জানি।
নিন্দুক করুক টেঁরাচোখে কানাকানি
ভালোবাসার ফুল ফোঁটাবো,বিলীন হবে হানাহানি।
সান্ত্বনা
স্বপ্ন গুলোকে কৌটায় ভরে সযতনে রেখেছি বুকের ভাঁজে
সে বহুকাল আগে
থাকবে আরো শতকাল
বের করবো না কারণ
আকাশ ছোঁয়ার সাধ্য নেই স্বপ্ন গুলোর।
থরে থরে সেজে থাকুক ওরা বুকের সাজিতে।
জং ধরুক,রং ফিকে হোক তবু তো বুকে জেকে বসে আছে
তবু তো বুক টা খালি হবেনা,
হু হু করে কাঁদবেনা,
শুন্যতাকে সুযোগ দিবেনা।
পূরণ হোক বা না হোক বুক জুড়ে আছে স্বপ্ন
এই তো সান্তনা
সান্ত্বনাই তো জীবনের উড়াল পাখী।
এক বিশুদ্ধ প্রেমিক
বিশুদ্ধ ভোরের রিমঝিম বৃষ্টিতে
তুমিও আজ বিশুদ্ধ প্রেমিক
হয়ে উঠলে অবলীলায়।
উচাটন অস্থির মনটা
যেচে দিলে আমাকে।
সাথে দিলে প্রিয় জানলাটা,
জানলার পাশে নিত্য আসা চড়ুইজোড়া,
আবার খাচায় বন্দী দুটো কোয়েল,
সজ্ঞানে দিচ্ছো-
তোমার সেই প্রিয় মগটা
যেখানে আমার ছবি আকিঁয়ে রেখেছো
যেখানে প্রতিদিন আট দশবার
অনেক যত্নে চুমাতে তুমি।
বিশুদ্ধ প্রেম দিলে
বিনিময় চাইতো বেখেয়াল হওনি
ঠিক চেয়ে নিলে
প্রিয় জানলায়,প্রিয় মগে
পাশাপাশি বসে এক মগেই
লেবু দেয়া রং চা খাবে
সাথে থাকবে বিন্নি চালের ভাজা।
চাঁদের ক্ষয়বেলায় এইটুকুই হোক
চঞ্চলা মধুর আবেশে জড়ানো সময়গুলো মনের আয়নায় ধরে রাখা যায়না
রেখো মনে মনের ছায়া যদিও চোখে চোখ রাখা হলোনা
পথ ভুলে যেও তাতে কি!
সৌরভ ডেকেডেকে তোমার ছোট কুঠির চেনাবে
গোধুলীর আলোছাঁয়ায় ছন্দবিহীন সংবেদনারা রঙ ছড়াবে।
আজ তবে এইটুকুই হোক চাঁদের ক্ষয়বেলায়
ঝাপসা আকাশে চাঁদ আজ অন্য আশার শপথ পড়ায়।