আকাশ
ভরতি বৃষ্টিসম্ভবা মেঘ। তারই একটা ছোট্ট ফুটো দিয়ে নামছে তেরছা রোদ,
অ্যানালগ সিনেমা হলের মতো! নিশ্চয়ই ওই দিগন্তে প্রদর্শিত হচ্ছে তুমি বিষয়ক
চলচ্চিত্র; কারণ তোমার চেয়ে বেশি ক্লাইমেক্সের চিত্রনাট্য এই তল্লাটের আর
কারোর নেই।
অথচ, আমার কানে এখনো ধীরলয়ে বেজে চলেছে সানাই
আমি এখনো রাতের নির্জনতায় তোমার ঘ্রাণ পেয়ে যাই
তুমি-২
দলে গেছ যে ঘাসগুলো, ওরা মুখ তুলেছে আবার
সূর্য ওদের দিয়েছে আলো আর মেঘ দিয়েছে জল
সেই উঠতি সবুজের প্রশ্রয়ে অন্যআলোর কোলাহল
তাতে জমছে জীবন-আনন্দমুখর মুখটি তোমার
আমাকে ফের পা বাড়াতেই হলো!
করুণকাল
আজ সকালে হঠাৎ আমার পকেটে
আস্ত একটি মাঠ ঢুকে পড়ল;
তাতে, সবুজ ঘাস আছে
কচি ধানখেত আছে
আলপথে ঘুরছে শালিক
গাছতলায় জমছে স্নেহছায়া—
আর কৃষকের ভাতঘুম!
মাঠের একপ্রান্ত ডুবে আছে শারদ জলে
তাতে, এক পা ডুবিয়ে আছে ধ্যানী বক
উড়ছে জলে মুখ দেখে মুগ্ধ পাখি
নামছে হঠাৎ, নিজেকেই দিতে চুমু—
আর ফিরছে ছোট্ট মাছ উপহার নিয়ে!
অথচ আমার পকেটে আমি হাত দিলে
মিলছে আলো হারানো একটি চাঁদ!
সারাদিনমান উপোস কাটানো হতভাগ্য-
আমিটা ওতে একটি রুটি পাবো ভাবলেও
দোকানি ফিরিয়ে দিয়ে বলেছে,
আধুলি এখন আর চলে না মশাই।
মা মাটি মাতৃভূমি
তোমার ভূলুণ্ঠিত আঁচলে
ওদের নির্বিকার হুটোপুটি চলছে!
তোমার দুচোখে জল থৈথৈ দুটো নদী,
তাতে ওরা অবলীলায় ঝাঁপিয়ে পড়ছে মা!
জলের খেলায় পাপচিহ্নগুলো মুছে ফেলবার এই ছল,
আমি টের পাই।
কেবল তোমার ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টি
উপেক্ষা করে ঠেঙাতে যাওয়া হয় না!
কিন্তু কবি বলেই কি এ বেদনা সইবার ভার একা আমার, মা?