মিশুকের আলাপ
ওরা আত্মবিশ্বাস আর সৃষ্টির উল্লাসে মগ্ন থাক। অসীমের
নেশা কতো প্রান্তর সকল অন্তর ছুঁয়ে যায় কখনও দিগন্ত পারে সূর্যের পথ ধরে
সারাদিন হাঁটা বেলাশেষে ঘরে ফিরে মন কখনও ফিরেনা নিজেকে হারিয়ে ফেলে
মানুষের ভীড়ে।বৃষ্টির রাত সৃষ্টির সুখ মুছে ফেলে সকল দু:খো অবিরাম চলা
মনেমনে কথা বলা। চিন্তনে সাজানো গুচ্ছ গুচ্ছ ভালোবাসা। কত কলহ শত কোলাহল
পেরিয়ে তাঁরা চলেছে বহুদূরে কোথায় কে থামাতে পারে?
ভোরের গল্প
ঘুম ভেঙ্গে দেখি রিমঝিম রিমঝিম বৃষ্টি ঝরছে
সচ্ছ মন বিশুদ্ধ গাছপাতা পথ মাত্র স্নান সেরে
শান্ত সবুজ হয়ে আছে। আমাদের মন যদি বৃষ্টি
হয়ে যেতো। শুচি করে দিতো আমাদের সকল উদ্দেশ্য।
সুচিন্তা চেতনার পরতে পরতে সুখ সৃষ্টির
শুভকাজে আমরা যখন উচ্ছল হই প্রাণে সুখ লাগে
সে সুখ যদি পৃথিবীকে কিছু অংশ দেই
পৃথিবী আমাদের নিয়ে ঈশ্বরের কাছে গৌরব করতে
শুনেছি।অবিরাম পৃথিবী আর ঈশ্বরের কথোপকথন।
অনামিকা মেয়ে
তোমাকে লেখা দশশত পাতা ছিড়ে ফেলেছি
তোমার পাঠানো একপাতা কবিতা কেবল মনে আছে
মেয়েটির অনামিকাতে আংটি পরা
তার হাতের ইশারা কবিতা হয়ে যায়
তাঁর কল্পনা থেকে নীলাভ জলরাশী ঝরে
নদীর জলে দু’পা ডুবায়ে বেগুনীফুলের
কবিতা পড়ে মেয়ে
পায়ের কাছে ভাটিয়ালী ঢেউ খেলে যায়
বৃষ্টির সাথে ও তার এলোকেশের খেলা
এই একপাতা কবিতাই কেবল মনে আছে।