ইকবাল বাহার সুহেলের কবিতাগুচ্ছ
ইকবাল বাহার সুহেলের কবিতাগুচ্ছ
আমার পৃথিবী

🧷
সম্ভবত কাঁদছে ..
হাতের উল্টোপিঠ গালে ঠেকাচ্ছে।
একা এসেছে হয়তো কাঁদতেই ! সম্ভবত কাঁদছে !

কেমন যেনও এক নীরবতা চারিদিকে
সামান্য অন্ধকার হয়ে এলে চারপাশের সমস্ত কিছু
আরও বেশি অর্থহীন হয়ে উঠে।
নড়েচড়ে, সিঁড়ি ভেঙে ভেঙে প্রত্যেকে যেন
একই ধূসর পরিণতির দিকে এগোচ্ছে।

সম্ভবত কাঁদছে ..
হাতের উল্টোপিঠ গালে ঠেকাচ্ছে।
একা এসেছে হয়তো কাঁদতেই ! সম্ভবত কাঁদছে !

ইলা

〰️
ইলা “ বলে দাড়িতে মানায় ভালো
কবি দ্যুতিময় পঙ্ক্তির মত জেগে উঠো ..
তুমি পঙ্ক্তিমালাকে আশ্রয় করে প্রতিবাদী হও
চাইলেই রংতুলির সহায়তায় এঁকে নিতে পারো মনের দেয়ালে !
খুব বড় করে নয়, বরং মজার মজার ছোট কিছু আঁকিবুঁকি মনের মতো !
অবহেলার জায়গাগুলোতেই আঁকতে পারো একরঙা আর দেখবে তখন একঘেয়ে সাদামাটা জায়গায় চলে আসবে আনকোরা বৈচিত্র্য ভালোবাসা তত !

কান্নার বিলাপ
ও ইন্দ্রজাল


মোহিনী সে তো মায়া !
বিড়ালের কান্না সবাই শুনেছো ..
অমঙ্গলের চিন্তা করলে ভুল করবে তুমি .. !

মানুষও কান্দে .. নদী ! তারও নাকি কান্নার স্বাদ জাগে !

কান্না একটি সার্বজনীন ভাষা ? মমতাময়ী কুহক !
নিজেকে মানুষ হওয়ার অনুমতি দাও। কাঁদতে আর অসুবিধা হবে না !

নীরব প্রকৃতি তারও নাকি কাঁদতে ইচ্ছে হয় !
নারীও কান্দে ! নরও সুন্দর তারো যন্ত্রণা হয় .. সেও কান্দে !

কান্না এক সম্পূর্ণ মানবীয় ব্যাপার। কান্না তোমাকে সুস্থ করে। কান্না সহানুভূতি ও মমত্বকে আকর্ষণ করে। অশ্রু মমত্ব বাড়ায়। আর মমতাই মানুষকে মানুষ করে !

প্রেমিক বলে আকাশও নাকি কান্দে !
বোকা কবির ভাষায় .. কবিতার ছন্দে ছন্দে নাকি শব্দ গুলোও কান্দে !

চারিদিকে কেমন নিস্তব্ধতা নিঃসঙ্গতা .. কালো বিড়ালের পদচিহ্ন .. এমনই সেই মায়াজাল ! আজ এই অন্ধকারে কারো যেন কান্নার সুর শুনতে পাওয়া যায় !

মা আমার

🔗
মা তোমার জন্য আজ একটি কবিতা লিখবো
তবে কি ভাবে .. এতো কষ্ট তোমার !
কেন বুঝি না আমি .. তোমার বুকটা জ্বলে যাচ্ছে জানি !
তবুও মুখে সেই হাসি .. সেই ভালোবাসা ! প্রকৃতির মত নিষ্পাপ তোমার মুখ খানি !
ক্ষমা করে দিও ..
বুঝতে পারিনা মা ! কেন জানি শব্দের ছন্দ গুলো মিলছে না ! আজ
কেউ দাওনা আমাকে 〰️ আমার চোঁখে একফোঁটো পানি ! কাঁদতে চাই কেন জানি !


সাবস্ক্রাইব করুন! মেইল দ্বারা নিউজ আপডেট পান