ইকবাল হোসাইন । কবিতা গুচ্ছ
বিরহী বেদনা
কালে কালে সুখে থাকা মানুষ গুলো
যখন বিরহের গভীরে হারিয়ে যায়,
তখন ব্যথায় বুকের মধ্যখানে
টনটন করে ওঠে দারুন নোনা বিষের যাতনা।
আহারে কত বেদনা আহারে আকুলতা
তুমি কেন সুখ বিরহী বিবাগী হও বারং-বার
তুমি কেন কেঁদে কেঁদে ফিরে যাও অনতিদূরে বার বার।
অনুপ্রেরণা
ভয় পেয়োনা তো!!
জোর কদমে দু'পা এগিয়ে যাও-না!!
ভয়কে ভয় নয়, অর্জনকে করো জয়।
এমন বলার মতন কাওকে পেয়েগেলে বুঝবে,
তোমার হাতধরে টেনে তোলার একজন মানুষ আছে।
যে তোমার বাঁচা-মরার বন্ধু হতে চায়।
প্রতিবাদী যোদ্ধা
তুমি না সমাজ কর্মী....
তুমি না চরম প্রতিবাদী মানুষ ছিলে....
তো হতবাক কেন হে যুবক!!
ঘাড় টানটান করে উঠে দাঁড়াও।
এবার হৃদমাস্তুল কঠিন করে
শত্রু মোকাবেলায় নিজেকে তৈরী করো,
চিৎকারে চিৎকারে ওদেরকে সাবধাণ করে দাও।
ও যোদ্ধা, যুদ্ধের তান্ডবের প্রপাগান্ডায়
ওদের বুকেরছিনা চিরে চৌচির করে
বের করে আনো নষ্ট কলবের শির।
ক্লেশকর
কিছু কিছু কষ্টের দগ্ধতা হৃদয়ের গভীরে
নোনাজলের বৃষ্টিতে ছুঁয়ে যায়।
অল্প কিছু রিষ্টের ক্ষত আবেগে বেদনাবিধুর হয়ে
হৃদয়ের করুন তারে যাতনার সুর বাজায়।
কেউ কেউ করুন ক্রন্দনের কান্দন
দু'চোখে আড়াল করে
বিষণ্ণ ঠোঁটে ক্লিষ্ট হাসির সুবাস বিলায়।
হারানো সুর
একদিন আচমকা হারিয়ে যাবো আমিও।
আধারের কালো ভেদকরে অন্তর্হিত হবো
আরো- আরো অনেক দূরের কোনো নগরীতে।
যেখানে আকাশের নীল অার সবুজের প্রগাঢ়তা থাকবেনা--
মানুষে মানুষে বিভেদের দ্বন্দ্ব থাকবেনা--
অর্থের বিদ্বেষপূর্ণ প্রোপাগান্ডা থাকবেনা,
উঁচুনিচু জাতভেদাভেদের মতোপার্থক্য থাকবেনা, সেখানে।
উদ্বেলীত মাটির গন্ধ ছুঁয়ে যাবে আমাকে
একাকিত্বের শেষ যাত্রার নিঃসঙ্গতায় মিশে যাবো প্রকৃতির তিরোধানে
শুধু পেছনে পড়ে রবে
আমি হীন একটি বিরাগ পৃথিবী আর
কিছু কিছু বিছিন্ন স্মৃতি।
অমূলক
কিছু কিছু চাওয়া পাওয়া
ভালোবাসার অালোতে বেঁচে থাকুক
কচি ঘাসের ডগায় ডগায়।
বিকশিত স্বপ্নের নিদ্রিত কল্পগুলো
আবেগের উদ্বেগে জেগে উঠুক
অমূলক প্রেমের লতায় পাতায়।
না পাওয়া গুচ্ছ গুচ্ছ ইচ্ছে গুলো
উচ্ছ্বাসের জলসায় উদ্বেলিত হোক
রৌদ্র-বৃষ্টি জোসনায়।