আজকের এ কবিতা আমার দূঃখ,
এ আমার ক্ষোভ
অভিমান,
রক্ত দেয়ার যে অধিকার তা ছিল
আমার একান্তই নিজস্ব,
সে অধিকারেই যুদ্ধে যাওয়া, যুদ্ধ করা
আমার শরীরের অধিকার আমারই নিজের।
আমার লাশের উপর পতাকা দেয়ার অধিকার তুলে নিলাম। যাকে স্বীকৃতি দিতে পারনি তাকে কি অধিকার দেবে?
আমার অধিকার আমিই তুলে নিলাম নিজের কাছে।
বছরের পর বছর চলে গেছে নিঃশব্দে
জাতীয় পতাকায় শব্দহীনতায় বাতাস খেলা করে
কথা কয় বিজয়ের দিনের
ভাইদের কবরে ফুলেদের দীর্ঘশ্বাস আজও
মনে করায় বহু আগের জৌলুশের দিনের কথা।
সে দিন ছিল রক্তের উন্মাদনার দিন
যে রক্তে ছিল বিদ্রোহের বীজ
স্বাধীনতার প্রসূতি ঘরে এক বীরের জন্ম
এক দেশের মাথা উঁচু করে ওঠার গর্জন।
ভালবাসি বলেই আজ এ ক্ষোভ, এ কান্না আমার সুদুর বিদেশে থেকেও
তবুও প্রত্যাশা থেকেই যায় কিছু বদলে যাওয়া দিনের
কিছু রদ বদলের।
হিজল তমালের পাতার শব্দ আমাকে আজও পেছনে ডাকে,
ডাকে বাঁশ পাতার শর শর শব্দ
ডাকে দেশের কান্না।
আমি তো আজও বাংলার।