ওয়াহিদ জালাল এর কয়েকটি কবিতা
ওয়াহিদ জালাল এর কয়েকটি কবিতা
বৈশাখের প্রথম দিনে

তোমাকে ছুঁয়ে আসা বাতাসের কঙ্কাল
ক্ষুধার্ত দূরত্বেও আমার নিঃশ্বাস ভিজিয়ে রাখে,
আবার নতুন করে মাটির রেশমে স্বপ্ন বুনি

ডুবে যাবার পূর্বে

সর্বনাশের সীমায় কোন ভুলে
তোমার আসরে এসে বসলাম
জমিনে পুড়তে পুড়তে আমি
ঐ আকাশকে ভালবাসলাম।
এধারে ওধারে আধাঁর নামে
নিজের হাতে নিভাই ঘরের বাতি
তাই ভালো তোমার স্মৃতির আগুনে
পুড়বো সারা রাতই।
যদি আন্দাজ করো মুখের ভাষা ইশারা করছে
চলে যাও বলে
তুমি আমার চোখ দুইটি আপন করে পড়ে নিও
আর যেওনা চলে।

বঙ্গবন্ধু

তোমার নামটি
ভোর দুপুর গোধূলির রঙিন বাতাসে দোল খায়
তোমার নামটি
জিওল করে রেখেছি বাংলাদেশের স্বাধীন পতাকায়।
তোমার নামটি
বাংলার মাটি বাঙালিরা বিশ্বাস করেছিলো অশেষ
তোমার নামটি
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তুমি একটি বাংলাদেশ।
তোমার নামটি চিরদিন চিরকাল অমলিন
মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শুভ জন্মদিন।

অসংখ্য আঘাত মধুর

ভোর থেকেই বাইরে বের হয়েছি
বুকের ভিতরে ঘরের বসবাস,
সন্ধ্যা বেলা ঠিকানায় ফিরে পিঠের উপর
প্রচন্ড ব্যাথা অনুভব করছি!
সমস্ত দিনে বুকের উপরতো বহন করছি
প্রিয়জনদের,পিঠে ওঠা কিসের ব্যাথা?
ভাবতে লাগলাম,আন্দাজ করতে চাইলাম,
যদি পিছন থেকে কেউ আঘাত করেও থাকে
তবে ওরা কারা?
চোখ বন্ধ করে যখন অনুভব করছি,
প্রতিটি আঘাত আমাকে ডেকে বলছে
কোনটি কোন আপনজনের হাত ছিলো
আমার পিঠে,
অথচ কী অদ্ভুত আচরণ একখন্ভ বাতাসের!
অচেনারা বুকে এসে আঘাত করলেও
আপনেরা চিরকাল আঘাত করে পিঠে।
দুয়ার ভেঙে গেলে গভীর আধাঁরে ভয় হীন
ঘুমিয়ে যেও ওয়াহিদ
হাড়ের চিপায় নিজস্ব এক নিখুঁত অন্ধকার
চিরকালের প্রশান্তি নিদ।


সাবস্ক্রাইব করুন! মেইল দ্বারা নিউজ আপডেট পান