বায়ান্ন দেখিনি আমি,
ছেষট্টি বুঝার মতো বয়স হয়নি তখোন,
তবে
আটষট্টি এবং পরবর্তী আগুনে পোড়েই
একাত্তরে পৌঁছেছিলাম।
যখোন শত-শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ বাঙালি সন্তান
লিখেছিলেন এক শতাব্দী-শ্রেষ্ঠ অনন্য উপাখ্যান।
বিভীষণ মীরজাফর প্লতেরো যেমন
তাদের প্রজন্ম প্রেতাত্মারা এখনো
অবিকল সেই একই চক্রান্ত কুটিল আগ্রাসনে
খাবলে ধরেছে আবারো প্রিয় মানচিত্র।
তবে- আবারো বদলাবে সময় জানি,
বদলায় যেমন সব হীনমন্য বিরূপ প্রকৃতি,
নতুবা, আরেকটি একাত্তর আবারো অবশ্যম্ভাবী।
মার্চ থেকে ডিসেম্বরে পৌছা এখোন জানে বাঙ্গালী।
নিভিয়ে দিয়ে ঝাড়বাতি সব আলো-
সম্মোহনী মোহন সাঁজ
মোমের আলোয় প্রণয় ভোজন যেমন,
এক ভাবনা বিলাস-
ভাবাবেগের চোখ থাকেনা কোনো,
তুমি পথ হারাতে পারো,
পথ হারালেই অনুভবের চোরাবালি,
পা বাড়ালেই উচ্চকিত নদী,
যদিও শুধুই উজান বৈঠা বাও,
তবু স্রোতের টানে
ভাটির দিকেই পিছিয়ে পড়ো কেবল,
যেমন লাগাম বিহীন ঘোড়ায় যদি
সোয়ার হয়েছে কেউ-
তবে পথ বিপাকে ঘোড় সোয়ারি,
লক্ষ্যহীন এক যাওয়া কেবল,
যেমন ঘোড়ার খেয়াল,
তবে গন্তব্যটাই পাল্টে যেতে পারে-
যখোন পথের দিশা লুটিয়ে ঘোড়ার পায়।