১.
একটি বৈশাখের কবিতা..
অথচ
সময় ছুটছে দূরন্ত ট্রেনের মতো।
বৈশাখী রোদ বিরহীর মতো একা!
দুপুরের খাঁ খাঁ বারান্দায় সচিত্র পরিচয়পত্র।
অনেকটা পথ হাঁটতে হাঁটতে খসখসে স্মৃতি সান্ত্বনা।
পৃথিবী বদলায়,মানুষ বদলায়, বদলায় সম্পর্কের হাঁস।
অথচ
রবীন্দ্রসংগীত বেজে চলে...
২)
ভুল স্বর্গ.....
ভালোবাসা ভেবে এতো কাল যা কিছু আঁকড়ে ধরেছি
সময়ের রিংটোন জানিয়ে গিয়েছে সবই ভুল!
ভুলভুলাইয়ার এক একটি চোরাগলি হেঁটে পৌঁছে গেছি সাহারায়
বুকের ভেতর নদী
বাঁদিকে চিনচিন, ডান দিকে একটা সূর্য
পৃথিবী আঁকতে বসেছি হাতে নিয়ে জলপাই রঙ..
যা কিছু রোদ্দুর বলে জেনেছি এতো কাল
সেটা আসলে সূর্য নিভে যাওয়ার লাল রঙ....
.......
পূর্বাভাষ
স্নায়ুকোষে কোকিল ডেকে যায়
এক একটি সিঁড়ি ভাঙতে ভাঙতে বাজপড়া নারকেল গাছটির দিকে এগোতে থাকি
মায়াবী আলোয় নিজের সাথে দেখা হয়,..
......
ফসিল...
যে কবিতাটি লিখবো বলে আজ পর্যন্ত লিখতে পারিনি। কলম ধরেছি বহুবার। কলমের কালি বেয়ে নেমে এসেছে হসন্ত, বিসর্গ, সেমিকোলন, কিছু ডট ডট ডট....
যুক্তাক্ষরের উঠোনে হেসেছো রোদ। বাবুইয়ের ঘর থেকে শব্দ ঝরেছে অকাল বর্ষণে। মানচিত্র বদলেছে। দুপুরের ডাকবাক্সে দাঁড়কাক.. .
সন্ধের টেলিভিশনে ভাষ্যকার " তুমি"। তুমিহীন তুমি থেকে এপারে জেগেছি " আমি"..
জুরাসিক সেতু ধরে বেজে চলেছে জীবনের ধারা বিবরণী...
.....
৫.
মা...
আলমারি ভর্তি গন্ধরাজ শাড়ি---
পারিনি সেদিন চন্দনের প্রলেপ লাগাতে।
পারিনি ফুলের সাজে সাজিয়ে দিতে।
তোমার স্নেহের মূল্য চুকিয়ে দিতে পারি নি মা!
এখনো হ্যাঙ্গারে ঝুলন্ত অনুযোগগুলো
বুকে আঁকড়ে ধরি....