কবি: কোহিনুর আকতার
নিজকে এখন খুঁজি!
কে রাখে কার খোঁজ?
কে কতোটা ভালো আছে;
কে কতোটা মন্দ?
কারও মনে দ্বন্দ্ব আবার
কারও মনে ছন্দ!
এখানে কেউ কষ্টে বাঁচে
দাপিয়ে বেড়ায় কেউ
জীবন-নদীর রঙিন জলে
কেউ তুলে যায় ঢেউ!
কারও হৃদয় রঙ-বেরঙের
খোলস দিয়ে মোড়া
কারও আবার সস্তা আবেগ
রেসের বাতিল ঘোড়া।
মন উচাটন- এই হারালো
সোনালি ক্ষণ বুঝি,
ব্যাকুল মনে নিজের ভেতর
নিজকে এখন খুঁজি!
ক্ষমা করো অন্তর্যামী
আচমকা কেঁপে ওঠে ভীরুবুক!
প্রতিটি মৃত্যু বলে যায়--
মরণের সিঁড়ি বেয়ে যাপিত জীবন।
বৃত্তের বিন্দু হবে এ পৃথিবীর সব আয়োজন।
ভুলত্রুটির ঊর্ধ্বে নই জগতের কেহ;
জানি না নিথর হবে;
কখন এই দেহ!
হে প্রভু! হে অন্তর্যামী!
ক্ষমা করো তুমি!
শুদ্ধ করো এ দেহ;
শুদ্ধ করো মনভূমি!
সবার ভালো সবাই কি চায়?
পুড়ছো তুমি দহনজ্বালায়
এমনতর জ্বলছো কেনো
ফুরিয়ে যাবার কামনায়
সবার ভালো সবাই কি চায়?
নাকি সবাই দেখতে পারে!
আলোর ভিড়ের আশেপাশে
অন্ধকারও নীরব বাঁচে
তোমার নাহয় বেশি আলো
ওই আলোই জ্বালিয়ে চলো।
ওই আভাতে আঁধার বাঁচি
রাখো তোমার কাছাকাছি।
জীবন হোক ভালোবাসাময়
শব্দহীন বেদনার আর্তনাদ বুকে
এতটুকু চাওয়া--
সন্মুখে হাঁটতে যাওয়া
অনন্ত ভালোলাগায় জীবন হবে ভালোবাসাময়!
ছুঁতেই হবে খ্যাতির চুড়ো এমনতো নয়।
যে সব বেদনা ছেঁড়া-মেঘ হয়ে
কেবল উসকে দেয় বেদনার রঙ
উপেক্ষাতেই তা করে ফেলি ক্ষয়।
তাতে কি ব্যঞ্জনা খোঁজে ফিরো আর?
এসো বিশুদ্ধ হাওয়ায়;
সৃষ্টির বাসনা বুকে ফিরুক আবার।
আমি গড়তে চাই
বেঁচে থাকার আকূল আগ্রহে
নতুন এক আমি হয়ে বেঁচে উঠি রোজ।
ভালোবেসে যাই--
আরও ভালো থাকবো বলে।
আমার সকালগুলো হেসে ওঠে
ঝলমল আলোতে আলোতে;
ভেসে থাকি অনাবিল আলোক ধারায়।
যেজন ভেঙেছে আমার অন্ধকারাবৃত দুয়ার
কী করে হারাই তাকে দৃষ্টিসীমার আড়ালে?
সময় যাচ্ছে বয়ে জলের স্রোতে
যতই দূরে থাক বেড়ে চলে মায়া
চাই সরিয়ে দিতে-
সম্পর্কের আলপথে
শুয়ে থাকা অপচ্ছায়া যত।
প্রতিদিনে, প্রতিক্ষণে আমি গড়তে চাই।
যেন আরও বেশি ভালোবাসা পাই,
যেন আরও বেশি ভালোবেসে যাই।