একঘাটের তেষ্টাবান
কাকরুপি কবির কলম দিয়ে বেরোয় দুর্গন্দের বিষ্ঠা
বলদ ছাত্রের মতো অগণন লিখে চলে গরুর রচনা
দুই দু'গুনে পাঁচ লেখে
তিন দু'গুনে নয় ;
পাঠ্য বই পড়ছে কভূ
কবিতা কিসে হয় !
বুদ্ধির ঢেঁকির মতো অকস্মাৎ খুলে বসেন কুতর্কের দোকান
ভাবখানা তার ' সব জানা ' জানছেনা কোনো পশুর গু-মুত্র
কাকরুপি কবির কবিতা ছাপেন নমিনেট কোন গদারাম গাঁধা
ছাঁই উড়ান হাটে-ঘাটে
ফন্দি আঁটেন চাঁন্দে ;
বিষ্ঠা মুখে বলছে কথা
কেবল খালি কান্দে !
বানান বিভ্রাট জটে কাকরুপি কবি লিখেন পাগল প্রলাপ
নমিনেট গদারাম গাঁধা ভাবেন পাইছি ' একেই বলে কবিতা '
দু'জনই প্রবল ধান্দাবাজ, শুকর-ছুঁচোর মতো জলখান একঘাটে !
ফেলি পা, সিঁড়িটার উপরে
কিছুটা পথ হাঁটতেই উপরে ওটার সিঁড়ি
ধাঁপে ধাঁপে পা, দৃষ্টি রাখি দৃশ্যত উপরে
সিঁড়িটা উপরে ওঠার
প্রথম পদক্ষেপ চোখ
লক্ষ্য ধাঁপে ধাঁপে পা রাখা
পা রাখছি সিঁড়ির উপর
এই যে পথ, দুপুরে হাঁটছি লোকালয় পথ
কতোটা পা ফেললে পৌঁছা যাবে উপরেই
এক একে = দুই
দুই দু'য়ে = চার
পথ না চিনে পা ফেললে
রোদেলা পথ তবুও আঁধার!
দুইটা সরু তক্তা, খাঁচ করে ধাঁপ কাটা সিঁড়ি
মেপে মেপে কাঁঠ মিস্ত্রি সুনিপুন সিঁড়ি বানান
পা ফেলতে ছন্দ জানা চাই পায়ে পায়ে পথ
এক পা ধাঁপে রাখতেই দৃষ্টিময় চোখ উপরে
দৃষ্টিভ্রম হলে পা পিছলে পড়ে যাওয়ার ভয়
উপরে উঠতে দৃশ্যত চোখ রাখা চাই সিঁড়িতে।