কবি : গুলশান আরা রুবী
জ্যোৎস্নার আলো
কত রঙ্গে ঝরিয়াছে ফুল
একি আমার ভুল
সাজিয়ে ফুলের বিছানায়
মাটির ঘরের কাটখানা।
চারিদিকে সবুজের বাগিচায়
দুলছে বাতাসে তাদের কেশ,
শেষ বিকেলের সূর্যের আলোতে
লাগছে আরো বেশ।
যখন সন্ধ্যা আসবে এ ভুবনে
যখন সন্ধ্যা মালতী হাসনা হেনা ফুটিবে আঁধারে,
ফুলের সুবাসে বাতাস বহিবে সমীরণে
অম্বরে যখন জ্যোৎস্না ছড়িয়ে পড়বে
নিশি আঁধার তখন কাঁদবে।
আমি দূর থেকে চেয়ে চেয়ে দেখবো তাদের খেলা দেখব তাদের মেলা,
যখন গভীর ঘুম আসবে দু'নয়নে
চলে যাবো ঘুমের ঘরে স্বপ্ন শয়নে।
মৃদু মৃদু বাতাস বহিবে বাতায়নে
কি যে এক অনুভূতি শিহরণে ছোঁয়ায়
লাগবে এ প্রাণে অবিরাম সুখের ছায়ায়,
প্রতিশ্রুতি জাগরিত রবে মধুর কুঞ্জে
পারদর্শী হয়ে স্বপ্নের রাজ্যে।
হিমেল হাওয়ায় শীতল ছোঁয়ায়
অক্ষি মেলে দেখিবো ভোরের কিরণ,
এসে পরেছে আমার আঙ্গিনায়
আকাশের রংধনু পরশে
এক সুনীল দৃশ্যের মনোরম।
সকালের নীরবতায় নীল সাজে
আমার দৃষ্টিতে মায়া ভরা লাজে,
সোনার অঙ্গ যায় সে নেচে নেচে
নীল পরশে মিষ্টি সুরে কে ডাকে?
বেদনা ভরা চাঁদের আলো
নীল আকাশে জ্যোৎস্না ঢালো,
কে সেই মায়াবী পরশী
শুধু থাকে আড়ালে মধুময় এ ভুবনে
কুঞ্জন সাজাই ফুলে ফুলে দেখা নাহি মিলে,
দুর করে সকল কালো যদি কাছে আসো
দূর করে সব বেদনা যদি পাশে থাকো।
বিজয় দিবস
১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস অমর হোক ,
বাঁধ ভেঙ্গে এসেছি আবারো মাগো
বিজয়ের পতাকা নিয়ে তোমারি গান গেয়ে ,
তুমি কেঁদোনা মাগো ছেলে হারা বেদনা নিয়ে
আমরা আছি ঐ জান্নাতের বাগানে ।
দেখা হবে মাগো দেখা হবে রোজ হাশরে
মুছে ফেল চোখের জল দেখো মাগো
তোমার ছেলেরা এসেছি বিজয়ের গান গেয়ে
উড়ে বেড়াই মুক্ত মনে খোলা হাওয়ায়
নীল আকাশের নিচে ।
আজ এসেছি প্রসূতির খোল ধন্য করিতে
হাজার ও ফুলে স্বতঃস্ফূর্ত নিয়ে ,
মাগো দেখো চেয়ে লক্ষ লক্ষ জনতা
করেছে যে সম্মান
তুমি ধন্য মাগো ধন্য আমাদের জন্য ।