গোলাম কিবরিয়া পিনু’র কবিতা
গোলাম কিবরিয়া পিনু’র কবিতা

গোলাম কিবরিয়া পিনু , মূলত কবি। প্রবন্ধ, ছড়া ও অন্যান্য লেখাও লিখে থাকেন। গবেষণামূলক কাজেও যুক্ত। গোলাম কিবরিয়া পিনু-এর জন্ম ১৬ চৈত্র ১৩৬২ : ৩০মার্চ ১৯৫৬ গাইবান্ধায়। গাইবান্ধা শহরে মূলত শৈশব-কৈশোর কেটেছে। পড়েছেন গাইবান্ধা শহরের মধ্যপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে, এর পর মাধ্যমিক-গাইবান্ধা সরকারি উচ্চ বালক বিদ্যালয়ে, এর পর গাইবান্ধা সরকারি কলেজ হয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাগত যোগ্যতা : স্নাতক সম্মান (বাংলা ভাষা ও সাহিত্য) এবং স্নাতকোত্তর; পিএইচ.ডি. ।

১৯৮৩ থেকে ধারাবাহিকভাবে ঢাকায় বসবাস করেন। লিখছেন তিন দশকের অধিককাল। এর মধ্যে কবিতা-ছড়া-প্রবন্ধ ও গবেষণা মিলে ২৬টি গ্রন্থ বের হয়েছে-বাংলা একাডেমি, বাংলাদেশ শিশু একাডেমিসহ বিভিন্ন প্রকাশনী থেকে। কবিতা ছাপা হয়েছে অনেক। ছাপা হয়েছে সকল উল্লেখযোগ্য পত্রিকা-সাময়িকীতে এবং উল্লেখযোগ্য সম্পাদকের হাত দিয়েই। অনেক উল্লেখযোগ্য সংকলনেও তাঁর কবিতা গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বহু ধরনের কবিতা লিখেছেন এবং সেগুলো বিভিন্ন নিরীক্ষাপ্রবণতায় সংশ্লিষ্ট। তাঁর কবিতায় জীবন আছে, সমাজ আছে, প্রকৃতি আছে, মানুষ আছে, দেশ-সময়কাল আছে এবং আছে প্রতীকের ব্যঞ্জনাও, আছে রূপক, আছে ছন্দের বিভিন্নমুখী ব্যবহার, অনুপ্রাসের নতুনমাত্রা, মিলবিন্যাসের নীরিক্ষা ও অন্যান্য সূক্ষ কারুকাজ। একেক কাব্যগ্রন্থ একেক বৈশিষ্ট্য নিয়ে উজ্জ্বল ।

বিশিষ্ট কবি, প্রাবন্ধিক, গবেষক ও ছান্দসিক উত্তম দাশ ‘স্বদেশ ও সময় চেতনা’র কবি বলে গোলাম কিবরিয়া পিনুকে চিহ্নিত করে আরও বলেছেন-‘আশির দশকের আত্মমুখী কবিতার মধ্যে খুব সূক্ষ্ণভাবে কখনও কখনও কাজ করে যায় স্বদেশচেতনা। খুব সূক্ষ্ণভাবে বললাম একারণে যে, তাঁদের চেতনায় কণ্ঠস্বরের কোনো তীব্রতা থাকে না, নিজ দেশকাল সময়কে নিজের ভেতরে তাঁরা অনুভব করেন যে উদ্দীপনা যেখানে শ্লোগান নেই, গল্প নেই। মিথের একটা সূক্ষপুনর্বয়ন আছে। রূপক-প্রতীক আর রূপকল্পে এই কবিদের কবিচিত্ত ভিন্নতর ভাষা পায়। গোলাম কিবরিয়া পিনু এ ধারার বিশিষ্ট কবি।

’ –বিশ্ববাংলা কবিতা, উত্তম দাশ, মহাদিগন্ত, কলকাতা, ২০১৩, পৃষ্ঠা-১৪৩ কবিতার বই ছাড়াও তাঁর ছড়ার ক’টি বই আছে। আছে বাংলা নারীলেখকদের নিয়ে গবেষণা গ্রন্থ, যা বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত হয়েছে। এই গ্রন্থে নারীর আত্মপ্রতিষ্ঠা থেকে নারী লেখকদের সৃজনশীলতা ও বাংলা সাহিত্যে তাঁদের অবদান বিশেষভাবে এসেছে। নারী লেখকদের সাহিত্য-ভূমিকা, সৃজনশীলতা, জীবনচেতনা, আত্মপ্রতিষ্ঠার সংগ্রাম ও ভূমিকার বিবর্তন তাৎপর্যপূর্ণভাবে এই গ্রন্থে ধরা পড়েছে ।

এছাড়া অন্যান্য বিষয়ে প্রবন্ধের বইও রয়েছে। শিশু-কিশোর সংগঠন খেলাঘর-সহ ছাত্র ও রাজনৈতিক সংগঠনের সাথে যুক্ত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধেও তাঁর রয়েছে ভূমিকা। পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পরবর্তী প্রতিবাদ-কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে গাইবান্ধায় অনুষ্ঠিত প্রথম ছাত্র মিছিলে নেতৃত্ব দান, ১৯৭৫-৭৭ পর্যন্ত হুলিয়া ও গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন। সে-সময়ে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে কবিতা লেখা ও তা ‘সাপ্তাহিক মুক্তিবাণী’সহ অন্যান্য সংকলনে ছাপা। নব্বইয়ের স্বৈরাচার বিরোধী ও ধর্মান্ধ-মৌলবাদ বিরোধী আন্দোলনে ধারাবাহিক ভূমিকা পালন করেছেন। বর্তমানে বাংলা একাডেমির জীবনসদস্য ও এশিয়াটিক সোসাইটি অফ বাংলাদেশ-এর সদস্য। এখনো ক’টি সংগঠনের সাথে যুক্ত আছেন। জাতীয় কবিতা পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। বর্তমানে বাংলাদেশ প্রগতি লেখক সংঘের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। দেশ ও দেশের বাইরের বিভিন্ন সংগঠন থেকে পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন। পেশাগত প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য প্রয়োজনে ভারত, নেপাল, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, আমেরিকা, বলিভিয়া, নেদারল্যান্ডসসহ কয়েকটি দেশ ভ্রমণ করেছেন।

ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ পর্যন্ত একটি আর্ন্তজাতিক মিডিয়া বিষয়ক সংস্থা ‘ফ্রি প্রেস আনলিমিটেড’-এর সাথে যুক্ত হয়ে কাজ করেছেন। এর আগে এফপিএবিতে উপপরিচালক (এডভোকেসি), ফোকাল পয়েন্ট ও বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এছাড়া এফপিএবি থেকে প্রকাশিত মাসিক ‘সুখী পরিবার’-এর সম্পাদক হিসেবে ১৯৮৩ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। বিসিসিপি ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানেও যুক্ত ছিলেন।

পেশাগতভাবে বিভিন্ন সময়ে সাংবাদিকতা, কলামলেখা, সম্পাদনা ও এডভোকেসি বিষয়ক কর্মকা-েও যুক্ত থেকেছেন। প্রকাশিত গ্রন্থ ১. এখন সাইরেন বাজানোর সময় (কবিতা), ১৯৮৪ ২. খাজনা দিলাম রক্তপাতে (ছড়া), ১৯৮৬ ৩. সোনামুখ স্বাধীনতা (কবিতা), ১৯৮৯ ৪. পোট্রেট কবিতা (কবিতা), ১৯৯০ ৫. ঝুমঝুমি (ছড়া), ১৯৯৪ ৬. সূর্য পুড়ে গেল (কবিতা), ১৯৯৫ ৭. জামাতের মসজিদ টার্গেট ও বাউরী বাতাস (প্রবন্ধ), ১৯৯৫ ৮. কে কাকে পৌঁছে দেবে দিনাজপুরে (কবিতা), ১৯৯৭ ৯. এক কান থেকে পাঁচকান (ছড়া), ১৯৯৮ ১০. দৌলতননেছা খাতুন (প্রবন্ধ), ১৯৯৯ ১১. আমরা জোংরাখোটা (কবিতা), ২০০১ ১২. সুধাসমুদ্র (কবিতা), ২০০৮ ১৩. আমি আমার পতাকাবাহী (কবিতা), ২০০৯ ১৪. মুক্তিযুদ্ধের ছড়া ও কবিতা (ছড়া ও কবিতা), ২০১০ ১৫. বাংলা কথাসাহিত্য : নির্বাচিত মুসলিম নারী লেখক ও অন্যান্য প্রসঙ্গ (গবেষণা), ২০১০ ১৬. ও বৃষ্টিধারা ও বারিপাত (কবিতা), ২০১১ ১৭. ফসিলফুয়েল হয়ে জ্বলি (কবিতা), ২০১১ ১৮. মুক্তিযুদ্ধের কবিতা (কবিতা), ২০১২ ১৯. ফুসলানো অন্ধকার (কবিতা), ২০১৪ ২০. উদরপূর্তিতে নদীও মরে যাচ্ছে (কবিতা), ২০১৪ ২১. নিরঙ্কুশ ভালোবাসা বলে কিছু নেই (কবিতা), ২০১৫ ২২. ছুঁ মন্তর ছুঁ (ছড়া), ২০১৬ ২৩. কবন্ধ পুতুল নাচে (কবিতা), ২০১৬ ২৪. ঝুলনপূর্ণিমা থেকে নেমে এলো (কবিতা), ২০১৮ ২৫. সমকালীন কবিতা ও বোধের দিগন্ত (প্রবন্ধ), ২০১৮ ২৬. উনিশ-বিশ মতকের নারী লেখক ও আত্মশক্তির বিকাশ (প্রবন্ধ), ২০১৯

সম্পাদনা ১.সাইয়িদ আতীকুল্লাহ-এর কবিতা সংগ্রহ (সংগ্রহ, সম্পাদনা ও ভূমিকা), প্রকাশক : সুবর্ণ, পৃষ্ঠা : ৫৪০, প্রকাশকাল : ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ২. এফপিএবি সুবর্ণ জয়ন্তী স্মারক গ্রন্থ ৩. বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ষাট বছর পূর্তি স্মারকগ্রন্থ বিভিন্ন সময়ে সূর্যকণা, মোহনা, বায়ান্নের রক্তঝরা পথ, তর্জন গর্জন, বুকের প্রদাহ, বিক্ষুব্ধ স্বদেশ নামক সাহিত্য সংকলন/পত্রিকা সম্পাদনা।

সম্মাননা/পুরস্কার : • রংপুর তথ্য কেন্দ্র পুরস্কার (প্রবন্ধ, ১৯৭৪) • বাংলাদেশ পরিষদ-রাজশাহী বিভাগীয় পুরস্কার (বক্তৃতা, ১৯৭৪) • গাইবান্ধা কলেজ ছাত্র সংসদ পুরস্কার ( প্রবন্ধ, গল্প, কবিতা, ১৯৭৪) • আমরা ক’জনা বিদ্রোহী সূর্যকণা পুরস্কার (১৯৭৫) • গাইবান্ধা তথ্যকেন্দ্র পুরস্কার (প্রবন্ধ, ১৯৭৬ ও ১৯৭৭) • জাতীয় শিল্প, সাহিত্য, সাংস্কৃতিক উৎসব-গাইবান্ধা পুরস্কার (কবিতা ও অন্যান্য ১৯৭৭) • বিতর্ক অঙ্গন-রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পুরস্কার (১৯৭৮) • মাদার বখশ ছাত্রাবাস-রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পুরস্কার (প্রবন্ধ,১৯৮১) • বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন সম্মাননা-কবিতা, ১৯৮৫ • বাংলা কবিতা উৎসব সম্মাননা কোলকাতা, হলদিয়া, ভারত, ১৯৮৮ • ‘বাংলার মুখ’ সাহিত্য-সাংস্কৃতিক উৎসব সম্মাননা, বালুরঘাট, পশ্চিমবঙ্গ, ১৯৯৭ • সৌহার্দ্য’৭০ সম্মাননা, কোলকাতা, ২০০৩ • অনিরুদ্ধ’৮০ সম্মাননা, কোলকাতা, ২০০৩ • বিন্দুবিসর্গ সম্মাননা, ২০০৩ • দীপালোক বিজয় দিবস সম্মাননা পদক,কবিতা-২০০৬ • লোকসখা ওয়েলফেয়ার সোসাইটি, কোলকাতা কর্তৃক লোকসখা সম্মাননা ২০০৮ • উইমেন ডেলিভার আমেরিকা-এর ফেলোশিপ অর্জন ২০১০ • বন্ধু পরিষদ গাইবান্ধা সম্মাননা ২০১০ • এম নুরুল কাদের শিশুসাহিত্য পুরস্কার ২০১০ • বগুড়া লেখক চক্র সম্মাননা ২০১৬ • কবি বিষ্ণু দে পুরস্কার (ভারত) ২০১৬ • এবং মানুষ সম্মাননা ২০১৮ • চাড়ু–নীড়ম ইনস্টিটিউট পুরস্কার ২০১৯ • সাতক্ষীরা কবিতা পরিষদ পুরস্কার ২০১৯

 

রেলগাড়িটা

 

হুইসিল শুনলেই চঞ্চল হইও না!

রেলগাড়িটা কোথায় পৌঁছাতে পারবে?

 

রেলগাড়িটা পৌঁছে যায়--

              সেইসব পুরনো স্টেশনে!

নতুন নতুন স্থানে পৌঁছাতে পারে না--

সেই কবে হয়েছে যমুনা সেতু

তার ওপর সে চাকা রেখে নদী পার হয়!

 

সে নতুন লাইন না পেলে

নতুন জায়গায় যেতে পারে না কখনো!

রেলগাড়িটা সেই পুরনো স্টেশন ছুঁয়ে ছুঁয়ে যায়--

সপ্তাহের সাতদিন-- বছরের বারোমাস!

 

নতুন জায়গায় যাওয়ার কোনো শক্তি নেই--

চাকা লাইন দু’টোই নিবিড়ভাবে শৃঙ্খলিত!

 

রেলগাড়িটা যতই ঐতিহ্যে ঐশ্বর্যশালী

ততটাই তার সীমাবদ্ধ চলাচল,

সে হয়তো দ্রু কিম্বা ধীরে চলতে পারে--

কিন্তু কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণীর চোখ নিয়ে

বনবাদাড়, গিরিখাত, পাহাড় পেরিয়ে--

বিস্ময়ব্যঞ্জক যাত্রাপথকে আলিঙ্গন করতে পারে না!

 

 

প্রকৃতিও বাষ্পাকুল

 

আমি এমন নারী

একা বাড়িতে যেতে পারি না কেন?

কোথায় গিয়ে দাঁড়াই?

          কার সকাশে হাত বাড়াই!

 

ইচ্ছেমত দাঁড়াবো কিবা বসবো

         তা তাদের পছন্দ হয় না কেন?

একা কোথাও যেতে পারবো না?      

তাহলে ঘরে বস্তাবন্দী করে রাখ!

         ঘরে পরিবারে রাখিস কেন?

আমাকে হত্যা কর!

আমাকে হত্যা কর!

 

দুপা মেললে একা হাঁটলে

বাসে উঠলে

          ট্রেনে উঠলে

আঁকচাআঁকচি নখের আঁচড়!

পরিবহন মানে কি ভয়?

    বাসচালক  মানে কি ভয়?

       গাড়িচালক  মানে কি ভয়?

ভয়ভীতিতে বিহবলতা!

প্রেত, পিশাচ, ঘাতক

প্রাণবায়ুও বের করিস-

প্রতি মুহূর্তে তুই বিশ্বাসঘাতক!

 

আমাকে নিয়ে জন্মের অমা দূর করলি

পৃথিবীতেও আসলি

               মা- ডাকলি

                  বোন ডাকলি

প্রিয়া বলেও ভালোবাসলি,

তারপরও আমাকে নিয়ে টানাহেঁচড়া!

লাগামছাড়া স্বেচ্ছাচার!

হৃদয়ভেদী অনাচার!

       একোন্ মানুষের আকার?

 

না, এমন হলে-

আমাকে হত্যা কর!

          আমাকে হত্যা কর!

             হত্যা কর আমার প্রকৃতি!

প্রকৃতিও কষ্টে প্রকৃতিও বাষ্পাকুল

মানবতা হারায় একূল-ওকূল!

 

 

 

অন্তর্দৃষ্টি

 

পরাজয়, দারিদ্র্য, অসুস্থতা মৃত্যুকে দূরে রেখে

লোকালয় থেকে পাহাড়ের নিভৃত খোপে একা থাকলে

সন্যাস-জীবন হতে পারে, কিন্তু তা কতটুকু মানানসই?

এই বিপদের দিনে! সাংসারিক চাহিদা, উদ্বেগ

উৎকণ্ঠার মধ্যে গভীরভাবে নিমজ্জিত থেকে ধ্যানমগ্ন

হলেই কি মনুষ্যজীবনের সার্থকতা খুঁজে পাবে?

অদৃষ্টের অনুগত হলেই কি প্লাবনের জলে ভেসে যাবে

না? বিনাশ ধ্বংস থেকে যতটুকু বাঁচাবে নিজেকে

অপরকে-- ততটুকু তোমার ক্ষমতা, সাহস অন্তর্দৃষ্টি;

বৃষ্টিতে ভিজতে পারো, নাও পারো, তা তোমার ইচ্ছে।

 

 

 

অধরসুধা

 

অধরসুধায় লোহিতকণিকা নাচে

মানবমানবী ভালোবাসা নিয়ে বাঁচে।

 

কেউ কি সুধায়? এমন সুধায় নাচবে না কেউ?

পিছে  লেগে থাকে যদিও একটা ফেউ!

তবুও শিরদাঁড়ায় সোজা হয়ে দাঁড়ায় না কেউ?

ক্ষুধায় ক্ষুধায় অধরসুধায় তোমার মধ্যে কি নেই ঢেউ?

 

আগুনের আঁচে

পুরবাসিও নাচে।

 

 

সুধাসমুদ্র

 

কাড়া নাকাড়া বাজিয়ে

            পুরিয়াধানশ্রী শুনে

সদরদরোজা পার হয়ে যাই

            সরোবরে--

            কাঁপা-জ্বরে,

তবুও বাজেনা তারযন্ত্র!

মন্ত্র দিয়ে চৈতলিপি লেখা হলো নাকি?

চোখও চড়কগাছ--

খেলা করে সুধাসমুদ্রে অন্য কোনও মাছ!

 


সাবস্ক্রাইব করুন! মেইল দ্বারা নিউজ আপডেট পান