আনন্দ সকাল
কিছু কি লেখা যায় সকালের আরক্তিম আলোয়?
হৃদয়ের গভীরে বেজে উঠছে যে সুর তাকে বলি
বাইরে নিষিদ্ধ পৃথিবী , অস্পৃশ্য প্রাণের সাথে
খেলতে পারিস মরণের খেলা।
সীমাবদ্ধ জীবনের গণ্ডি আরও সংকুচিত হচ্ছে
দিন দিন ,একে কি জীবন বলে? তবুও মানুষ
স্বপ্ন দেখে।কোথাও দূরে তার উজ্জয়িনীপুরে আছে স্বপ্নের ঠিকানা।
কালরাত্রি কেটে গেলে আসবে স্বপ্নের বাসর।
তারই অপেক্ষায় সাজাতে থাকি বেনারসী মন।
হয়তো প্রদীপ নিভে যাবে বারবার, হয়তো স্বপ্নের
পাখিরা মেলবে না ডানা।
তবুও জানি শুরু হলে শেষ আছে।অনাগত কালের
উত্তরসূরী দেখবে চেয়ে তার অদেখা পূর্বসূরী রেখে গেছে স্বপ্নের চাবি একটা নতুন পৃথিবীর বদ্ধ দরজার।
সে দ্বার খুলে দেখবে নতুন পৃথিবীর আনন্দ সকাল।
করোনা চিত্র
ঘরবন্দি মানুষ, বাইরে মৃত্যুর থাবা
ওঁত পেতে আছে-শিকারী চোখে।
কার জীবন ছিনিয়ে নেবে কখন?
শত্রুর কোন জাত নেই। তুমি, আমি
হরিপদ কেরানি আর বাদশাহ আকবর
সমান সমান এখন।
খাঁ খাঁ নগরীর বুকে এখন করোনার
পদধ্বনি। গাছের পাতাও থমকে গেছে
ঝরা কান্নার গান গাইতে গাইতে।
বন্ধু বাড়ায় না হাত ভালোবাসার
করমর্দনে,ওখানে মৃত্যুর পরোয়ানা
লেখা আছে বিষাক্ত কালিতে।
স্রষ্টার প্রতি
বৈরী হাওয়ায় বদলে গেছে দেশ
সুখ পাখিটা হারালো তার সুর,
শান্ত জলে উথালপাথাল ঢেউ
চেনা স্বদেশ যেন অচিনপুর।
এ কোন সকাল , রাতের চেয়ে কালো
মৃত্যুপুরীর নিথর সে এক ছবি
জগৎ জুড়ে হাসছে মহাকাল
থেমে গেছে যা ভালো আজ সবই।
পথিকহারা ধূ ধূ পথের বুকে
ক্লান্ত প্রহর মরছে ধুঁকে ধুঁকে,
ঘরের শান্তি মোমের মতো জ্বলে
মানুষ যেন পাথর অধিক দুঃখে।
ধানের চারা শুকায় ধানের মাঠে
কোথায় তারা কাস্তে হাতে চাষী?
খৈয়ের গন্ধে আর মাতেনা পাড়া
আসছে ছুটে মৃত্যু সর্বনাশী।
থেমে গেছে মাঝে দরিয়ার গান
বৈঠা হাতে গায়না যে গান মাঝি
পুড়ছে তাহার সাধের নৌকাখানি
অচেনা এক জগৎ যেন আছি।
স্বপ্ন তবু জ্বালিয়ে রাখে মানুষ
ফিরবে আবার আগের মত দিন
মানুষ যদি নাই থাকে পৃথিবীতে
স্রষ্টা তুমি জানবো অর্বাচীন।
সাম্প্রতিক
ভাবনা আমার কোথায় মেলবে ডানা
সময়ের করালপাকে বেঁধে আছে
বিশ্বসংসার।
নিজের কণ্ঠ নিজেই শুনছি বেসুরো।
জায়নামাজে হাত তুলেই আছে
মা।
বর্ষার রিমঝিম শব্দে দেখিনা জীবনের
জলছবি। কোন দামে ফিরে পাবো
চেনা পৃথিবী??
অভিনয়
হাজার কষ্ট নিয়ে পথ হাঁটি
ধূসর পৃথিবীর লোনা স্বাদে।
বিকেলের ফ্রেমে ধরে আছি
নকল অভিধান---
যদি বাঁচা যায়!!!