কবি ও চলচ্চিত্র নির্মাতা জহির খান
ঝিনুকের নাও
প্রেম প্রেমে পড়ে গেল
জলে ভিজে, আগুনে পুড়ে
একেবারে যেন যা ইচ্ছে তাই
এক বিকেল মাতাল সময় ধরে...
আর
দারুণ সব সময়
তুমি আমাকে নিয়ে চলো
সুদূর পরাহত বনে জঙ্গলে
যেখানে স্বেচ্ছায় আমি কখনো কখনো
নরকবাসও করতে পারি
কখনো কখনো মহুয়ার গান
আবার হয়তো শাল নৃত্য...
অতঃপর
পাঠ ঠাকুর অননুমোদিত
প্রত্যেকেই এই বেশ ঠুকে আগুন জলে
এখন খোঁজে অনেক ঝিনুকের নাও
বেশ হয় তবে তাহাদের গান...
বালু নদীর কথা
কি সব কথা তোমার সাথে কতোকাল আগে
পাড়ে ওপাড়ে অসংখ্য পরিবার পরিকল্পনা...
জলে সুরে সুখ শরীর দোলে
ভেসে আসে এক ছবি নদীর নাও
ভালোবাসায় পাশে ছিলো শালবন
খুব নিরবে নিভৃতে
তখন
স্পর্শ তোমার বহু শ্রমিকের ঘাম ঝরানো সুখ
ট্রেনের বগি গুলোও চেয়ে থাকতো
এক অপলক দৃষ্টি নিয়ে তোমার দিকেই...
আর এভাবেই চলে মাঝি-মল্লাদের পারাপার
প্রতিদিন
তবু কত-শত প্রেমিক ঠায় নেয় তোমার বুকে
ভালোবাসায় ডুবন্ত সেই ভুল বুঝেছি আজ
অতঃপর
যৌবনে খুঁজে পাওয়া বালু জলে প্রেম-প্রণয়
তোমাকে কেটে টুকরো টুকরো করে নেয়
একদল হায়েনারা
গড়ে উঠে রাজ্যের সব দালান কোঠা
দখল প্রতিযোগিতা
নাকে তেল দিয়ে
সাধারণ মহোদয়
চলে শ্রমিক আন্দোলন
বালু তুমি মহান
কিছু সাদা ভাত
উঠে আসো আমাদের পেটে
আত্রাই
নদী তোমার ঢেউ স্রোতে ভাসে দারুণ সব জল
তুমি বন্ধু আমার আত্রাই
কেবল যেন জারুল মায়ায় জড়িয়ে থাকো...
আত্মার অস্তিত্বে
এখন
এই সব জলের খুব গহিনে প্রেম
পথিক ঝোলা কাঁধে ঝুলিয়ে
এমন সব গন্তব্যে
তবু এই বেশ সাঁতারে গোল্লায় যাক জল
গুড় দুধ মধুর প্রতারনা জেনে
আহ্ কি প্রেম
পকেট ভর্তি জলে ভেসে আসে এক অদ্ভুত নদী
কেটে নেয় মানুষের বয়স কাটে প্রেমরোগ...
বন্ধু
গেল তার সাথে কোন কাল সময়
কথা বলবো বলো তুমি
কি কথার স্রোতে ভেসে
যায় হে অতীত
এখন কই বন্ধু আমার?
বন্ধু
দারুণ সব সময় তোমার জন্য
অপেক্ষা...
প্লিজ একটু বসো পাশে বসো
শুনো
দেখো
কেউ দেখে কেউ সবে পড়ে থাকে
কেবল তার অতীতে...
এখন খুব করে কাটে দাগ
কোমল দেহের ভাঁজে
আর
এই সব লুকিয়ে একদিন কেউ
চিৎকার করে বলে উঠে
ভালোবাসি ভালোবাসি ভালোবাসি
কুয়াশা বয়ান
কুয়াশা কাটতে না কাটতেই
বাফা পিঠায় মননিবেশ করে শৈশব আমার
কুয়াশা কাটতে না কাটতেই
ঠাসাঠাসি মাসি-পিসিদের স্লান
কুয়াশা কাটতে না কাটতেই
খুব দূরে দাড়িয়ে এক মুঠো রোদ কার অপেক্ষা ?