মেঘ ছুয়ে ঝিনুক কুড়িয়ে রাখি
সজ্জিত প্রকৃতির ভীড়েই আঁকি।
জোনাকির প্রজ্জল সন্ধ্যার শব্দ
আসন্ন গপ্পোতে হাজারো আরম্ভ
চাঁদের মুখোমুখি চোখ দুটির আবৃত্তি
ফুটে থাকা শিউলির অনাবিল প্রীতি।
আমিও বসন্তের রাত্রে নক্ষত্রদের আনতে চেয়েছি মৃত্তিকায়
হলো না মহল রাঙা ষড় ঋতুর মতন শত নান্দুনিকতায়!
ভালোবাসা মেলেই রাখলাম কত কত অষ্টপ্রহর চোখ ভরে।
পাখিদের ঘুম ভাঙাতে গিয়াছিলাম বিনা শর্তে
পাহাড়িকার সবকটা গাছে, তাদের চোখ ছুঁতে!
অপূর্ণতাই গড়িয়ে গেলো উপবাসীর আশা'তে।
রোদের মতন কখনো এত চকচক ছিলাম না
কুয়াশার মত কখনো এত স্থাপত্যও ছিলো না
ছিলো না নীলের মত এত আহ্লাদে ভরা সর্বত্র।
শুধু গিয়েছিলাম আমি, প্রেমিক হবার ইচ্ছেয়!
শূন্যতায় দশদিকেই বার বার বিয়োগ হলাম।
তবুও প্রেমই চাই, নীলাকে চিরকুট পাঠাচ্ছিই
হয়তো তার পান্ডুলিপিতে আমার অস্তিত্বই নেই!
তাই শব্দহীন কাগজ পেয়েই,
চন্দ্রবিন্দুহীন অন্ধকারেই সমর্পিত হই।
কবি হেলাল হাফিজের মতন
আমারো কষ্টের
বিবিধ রঙ জমেছে বুকে।
ফেরিওয়ালার বেশে আমিও বেরোবো সবখানে
নগরের গলিতে, বাড়ির উঠানে,দুয়ারে।