তাপস চক্রবর্তীর কবিতা
একদন্ত গণপতির আশীর্বাদ
সকল রসদ ফুরিয়ে যায়
বেদনার বালুচরে
বোকা ঈশ্বর ফর্দ খুলে...
দেশ নিশ্চুপ— রাষ্ট্র ফুলেফেঁপে উঠে
মাং শাল শরীরে
মানুষের বত্রিশ দাঁত খসে পড়ে
একদন্ত গণপতির আশীর্বাদে।
বিষ্ণু যশায়— শ্মশানের নীরবতা
দুপুরের ভাতঘুম কেড়ে নেয়
সয়াবিন
পিঁয়াজ রসুন সম্পর্কের টানাপোড়েন।
নিশাচরী ব্রহ্মার নব সম্ভাষণ
মাংসেরঢিপি
এ যেন অনন্য উদাহরণ।
৯০° সমকোণে রেখে দেওয়া স্মৃতি
জুমার মুসল্লীর ভীড়ে আরও একটা
শুক্রবার...
মক্তবের লাজুক নসিমন
আমপারা স্বরলিপির অদৃশ্য ছায়াবৃত্ত।
মমতাজের শরীর শুকিয়ে আসে
কেরোলিনের বারো হাতি লজ্জায়।
৩৩০ সিরাজুদ্দৌলার রোড হয়ে
স্টপিজ আন্দরকিল্লা
এল টার্ণ হয়ে গেছে ওয়ারীর জমিন।
পথ ঘেঁষে জেগে ওঠা—
লজ্জাবতী পাতা
নুইয়ে পরা সংসারে কলমিলতা।
অথচ বৃক্ষের কাছে ফেলে দেওয়া কম্পাস
বিবিধ জীবন
যেমন ৯০° সমকোণে রেখে দেওয়া স্মৃতি।
জর্দার কৌটায় যেন ওষুধের কারসাজি
পথের মোড়ে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে
নসিমন মমতাজ।
ঠোঁটে জড়িয়ে নেওয়া উৎসুক দৃষ্টি
নিঃশ্বাসে—
ফুলেফেঁপে ওঠা পলিথিন ব্যাগ।
জন্মান্ধ
ভালোবাসা হলো,
নদী ও ফুলের মতো জন্মান্ধ।
ভালোবাসা হলো...
যদিও
চাঁদের আলোয় ভাসে যুগলবন্দী স্রোত।
হায় প্রেম!
আরেকবার ঘুম ভেঙে জেগে ওঠো
আদম হাওয়া হয়ে কৃষ্ণ রাধার গণ্ডুসে
দেখো রক্তের রেখা জাগে বিষণ্নতার পথে পথে...
চড়ুই পাখির পাখা ঝাপটানো
সমুদ্রমন্থনে
একদিন
তোলপাড় করেছিলো বিশ্বব্রহ্মাণ্ড।
অথচ মানুষের বুকের কাপড় সরালেই দেখি,
বুকের পাঁজর
হৃদপিণ্ড— ধুকধাক ট্রেনের শব্দ।
জীবন ভেলায় পাখি ও মানুষের মৃত্যু
সমাগত।
অতএব ক্রমশঃ ক্ষয়ে যাচ্ছে গাছেদের আয়ু।
তবুও আজ কেউ কেউ বলেন,
আয়ুস্মান ভব...
কি বিচিত্র শব্দায়ণ,
এসো,
চল এগিয়ে যাই পৃথিবীর আরও কিছুটা পথ।
এসো স্থিতি হই
চল জাগি আজ পুরোনো ব্যথায়।
আমিও ডুবে যাচ্ছি
ডুবে যাচ্ছো— আমিও ডুবে যাচ্ছি সরল কৃ তে
কর্ষনে কর্ষনে এবার হবে
এপাশে ওপাশে টুকটাক শব্দ হিল্লোল।
পারতো দেখে নিও বিশ্বমিত্রের ৯০৯ ক্যানভাস
যেন আরোপিত মুখাবয়বের স্বরলিপি।
বি+মে= শকুন্তলা।
অরোগ্যের ত্রিকোণমিতির পথ পেরিয়ে...
সাম্যের সেতু নির্ণয় হোক চেতনার উদ্গারিত
মুক্তির ফসল।
এসো স্নান সেরে নিই— রাতে ভোরে ফিরে এসো
হোক হিম স্নাত শরীর
১০০° আগুন গোলার্ধে জাগুক রক্তের কল্লোল
ওটা ক্রোধে নয়!
দেখো— ওপারে নেমে আসছে উবর্সী।
প্রিয়তমা যদিও ধৃ ধাতু—
ধারণে নারী
নার ও নারকীয় নারকেলের প্রতিচ্ছবি।
দেখো আমিও আজকাল ডুবে যাচ্ছি—
তোমাতে...
তুমিও ইদানিং ডুবছো আমার আমিতে
তপস্যার কোলেপিটে।