দুইটি কবিতা । নজরুল জাহান
দুইটি কবিতা । নজরুল জাহান
বঙ্গবন্ধুর তাজা রক্তের কিছু উক্তি

 

" উঠেছি তাহাজ্জুতে

প্রভূর টাণ মনে বুকে

কে জানতো হিংস্র খুনিরা

রয়েছে প্রাণের 'পরে ঝুঁকে!

"ওরা তো আমায় মারতে পারে না

প্রাণেরবাঙালি,

কেমনে বুঝি? ঘরে ভীবিষণ !

খেয়ে বেড়েছে আঁধারে

বুকের ওপর চড়ে

কদাকার চিৎকার হায়েনার

ভীতিকর কামান গোলার আওয়াজ, কলরব তবুও আমি কোরআন জেল তুলে রেখে সসম্মানে শুধালাম " তোরা কী চাস রে চেঁচাচ্ছিস কেন ?

 

কি আর বলবো ওদের থামাতে

আমিই থেমে গেলাম,

নীরব হলাম, বর্ষায় ভেসে উঠলাম, রেঙে উঠলাম, তেতে উঠলাম শোকের আগুনে।

আগুন ছড়ালাম না

সেআগুন গিলেনিলাম

আমার ভিতরেই জ্বলছে

বাহিরে জ্বলছে

আজো জ্বলছে  দে- না

আমার প্রেমের বাইরে জ্বলছে

সোনার বাংলা আমি দেখতে পাচ্ছি।" 

এই যে বাংলাদেশে শোকের জায়নামাজে


 

এই যে বাংলাদেশে শোকের জায়নামাজে বসে

দরখাস্ত করি আল্লাহর কাছে শোকাপ্লুত বেশে

বংগবন্ধু শেখ মুজিব আর তাঁর আত্মীয়বর্গ এসে রক্ত বয়ে ঘুরতেছে আজও বাংলাদেশে।

 

আল্লাহ তুমি এই খুনের বিচার আগে করো বিচার কার্যে বসে, আমাদের তো আর শোক মানে না অন্তরে আর কালো পাথর বেঁধে থাকতে পারি না তো আল্লাহ কি কেঁদে কি হেসে।

 

আমরা চলছি প্রতিরাত প্রতিদিন অশ্রুপাতে

আমরা চাই গো আল্লাহ সকল শহিদদের আত্মা জান্নাতে থাক জান্নাতুল ফেরদৌসে সদাই হেসে,

আল্লাহ যারা পাপ করেছে হত্যা রাহাজানি করে

পনেরোই আগষ্টে, তাঁদের বিচার তুমি করো আল্লাহ একনেক বৈঠকে প্রতি ইঞ্চিকেশে।

 

আল্লাহ তুমি সত্যি আছো সব মানুষের অন্তরে

বিচার আনো আল্লাহ বিচার আনো পনেরো আগষ্টের হত্যার তরে,

যারা মানুষ মেরে বেঁচে বেড়ায় আজও তোমার ধরণীর 'পরে

তাদের জবাবদিহি চাও আল্লাহ প্রতি দ্বারে দ্বারে।


সাবস্ক্রাইব করুন! মেইল দ্বারা নিউজ আপডেট পান