"এতো লাফাস কেনরে তোরা/ এতো লাফাস কেন
যদি লাফাইয়া খোদারে পাইতো / আগে পাইতো ব্যাঙ"!
ইদানিং আমার মনে গানের কথাটি প্রায়শই উঁকি দেয়। আর আমার মনের অব্যক্ত কথাগুলো আমর সাথে সারসংক্ষেপ আলোচনা বসে। প্রতিবারই আফসোস মাধ্যমে শেষ হয়। হায়রে ধোঁকা দেওয়ার মানসিকতা নিয়ে এমন কাজ যুগ-যুগান্তর ধরে করে আসলেও বর্তমান প্রেক্ষাপটে ভিন্ন। মানুষ সচেতন ভবন সৃষ্টি করতে পারেন। কে সঠিক আর কে ভণ্ড ধার্মিক তাদের খোলস উন্মোচন করার স্বার্থকতা মানুষ অর্জন করেছে, গানের কথাই যার প্রমাণ।
আসলে যাদের মুখোশ খোলার জন্য গানটি লেখা এবং গাওয়া হয়েছে আমি মূলত তাদের উদ্দেশ্যে কিছু বলার জন্য গানের উদ্ধৃতি টানিনি। বরং তারচেয়ে অধিক অবাক হই ; শুধু অবাক নয়, হতাশও বটে! যখন দেখি তাদের মতো বাংলা সাহিত্যেও আছেন কিছু।
যারা প্রতিনিয়ত উৎকট ভাবে নিজের কৃতিত্ব জাহিরে ব্যস্ত সারস্বত সমাজের মঞ্চে লাফালাফি করতে দেখা মানুযের সংখ্যা কম নয়। আরও পীড়াদায়ক বিন্দুমাত্র প্রতিক্রিয়া হীন, অযাচিতভাবে বেড়েই চলছে! এহেন অবস্থা যখন আমাদের শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতি অঙ্গনের। তখনতো গুণীদের কদর কমছে/ কমবেই! নবীনদের প্রারম্ভিক এবং তাদের প্রতিভা ব্যাখানের জন্য থাকবেনা খিল জমি!
আমি- আমি এবং আমি'র দখলদারত্বের তোপে প্রত্যান্ত অঞ্চলের প্রশংসনীয় প্রতিভাবান নবীন লেখক, লিটলম্যাগ সম্পাদক, সংগঠক অঙ্কুরেই ঝরে যাচ্ছে!
দুই.
তখন সম্ভবত ২০১২/১৪ অথবা তার কিছুদিন আগেপাছে হতে পারে, সেটা বিষয় নয়। বিষয় হচ্ছে স্থান কাল পাত্র জ্ঞানে শিক্ষিত জ্ঞানী হওয়া জরুরি ।
তখন ২০০৯ খৃষ্টাব্দ,
কবি সম্পাদক অনিকেত শামীম সহ আমরা দেশের প্রায় অধিকাংশ জেলা শহরের লিটল ম্যাগাজিন সম্পাদকগণ শিল্পচার্য জয়নুল আবেদীন মিউজিয়াম সংলগ্ন ব্রাহ্মপুত্র নদের তীরে ঘেষে বাংলাদেশ টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে সবাই
কবি ইয়াজদানী কোরাইশি, কবি শামসুল ফয়েজ ভাই , বন্ধু কবি স্বাধীন চৌধরী, বন্ধু কবি মোস্তফা মিনন্টু প্রমুখ জাতীয় লিটল ম্যাগাজিন মেলা ২০০৯ ময়মনসিংহে জাতীয় লিটল ম্যাগাজিন মেলা ২০০৯ এর মূল আয়োজক ছিলেন।
উদ্বোধনী দিনটি বেশ মনোমুগ্ধকর এক পরিবেশ সৃষ্টি হয়। যা কি না বৃহত্তর ময়মনসিংহবাসী আমার অগ্রজ অনুজ সমসাময়িক বন্ধু স্বজন। স্বজনের উ
আমি সেই মেলা মঞ্চ থেকে সদর্পে বৃহত্তর ময়মনসিংহ কে বাংলাদেশের শিল্প সাহিত্যের রাজধানী ঘোষণা করেছিলাম । বৃহত্তর ময়মনসিংহ কে রাজধানী বলেছিলাম নিশ্চয় ময়মনসিংহের যথাযথ মর্যাদার রয়েছে। আর বলেই আমার মতো নিমিত্ত শব্দচাষীর কথায়
মঞ্চ থেকে অডিয়েন্স করতালিতে মুখরিত করে তুলতেন না। এখনে সেই কথা লিখলাম অতি দুঃখে।
তিন.
অতি সংক্ষেপে দুঃখের কথাটি উল্লেখ করছি, বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের তরণ কবি আরিফুল ইসলাম 'রচয়িতা' শিরোনামে একটি লিটলম্যাগ সম্পাদনা করার মনস্থির করেছে। 'রচয়িতা' নামটি শুনেই আমার খুব ভালো লাগলো। নাম শুনেই বুঝতে পারছি নিশ্চয় সম্পাদকের ইচ্ছে রচয়িতার মাধ্যমে বাজারি পত্রিকার বিরুদ্ধে দাড়ানো। সুবিধা- বঞ্চিত অজপাড়াগাঁয়ের প্রতিভাবান নবীণ লেখকদের লেখা প্রকাশ, বিভিন্ন সভা সেনিনা'রে লেখাপাঠের সুযোগ করে দেয়া সহ উৎসাহ প্রদানের মাধ্যমে লেখক তৈরি করার ব্রতে।
এমন সব বিষয়ে মিলিয়ে আমার মনে যে ভালো লাগলো, তা বুঝতে পারলাম ।
অতঃপর কবি আরিফুল ইসলাম কাজ এগিয়ে নিচ্ছে। প্রায় প্রতিদিন আমাদের দুজনের আলাপ হতো। আদান-প্রদান হতো রচয়িতা কিভাবে, কতোটা এগুলো। এর মধ্যে অনেকটা এগিয়েছে রচয়িতার প্রাথমিক অবস্থা।
আরিফুল ইসলাম একদিন প্রস্তাব করলো, প্রস্তাব বল্লে ভুল হবে। রীতিমতো তাদের সিদ্ধান্ত জানায় আমাকে রচয়িতা'র উপদেষ্টা করা হয়েছে। আমার হাজারো মানায় তাকে থামাতে পারলাম না। অবশেষে কবি আরিফুল ইসলাম সহ অন্যসকলের মতামতে উপদেষ্টা হিসেবে মানতে হলো।
সেদিন রাতে আমার এই উপদেষ্টা নিয়ে ভাবতেই আমার মাথায় বাঁধ ভেঙে পড়লো।
চার.
একটি সাহিত্যের ছোট কাগজ নিয়মিত প্রকাশ করা যে কতোটা কষ্টসাধ্য ব্যাপার- সেটা তো আমার সোনা বউ আর শ্রদ্ধেয় মাহমুদ ভাই, অর্থাৎ দেশবরেণ্য কবি আল মাহমুদ- ই ভালো জানেন। অনেকে প্রশ্ন কবেতে হয়তো,
কেন আমার স্ত্রী এবং কবি আল মাহমুদ ভালো জানবে! তাদের উদ্দেশ্যে বলছি,
আমি যখন লিটল ম্যাগাজিন মুক্তির গান- প্রকাশ করার পরিকল্পনা করি , তখন সর্বপ্রথম নারায়ণগঞ্জ নবীন প্রবীন লেখকদের সাথে পরবর্তী ঢাকায় সবার আগে কবি আল মাহমুদ - ভাই অতঃপর নবীন প্রবীণ অনেকের সঙ্গে আলোচনা করে আমাদের সকলের প্রিয় মধ্যমনী দেশবরেণ্য কবি আল মাহমুদ ভাই প্রধান উপদেষ্টা করি। মনে তখন আনন্দের তুফান উঠে।
দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক সমকাল, দৈনিক নওরোজ সহ দেশের ৪/৫ টি জাতীয় দৈনিক এবং নারায়ণগঞ্জ জেলার সবকটি দৈনিকে মুক্তির গান এর উদ্বোধনী সংখ্যার লেখা আহবান এর বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হলে সারাদেশ থেকে লেখা আসে। এর মধ্যে আমার মনের আনন্দ এতোটাই বেগবান যে অতিউৎ সাহে উদ্বোধনী সংখ্যা গ্রন্থাকারে প্রকাশ করি এবং প্রজাশাসনা উ ৎসবে উপস্থিত প্রায় দু'শর অধিক কবি সাহিত্যিক কন্ঠশিল্পী সমস্বরে গেয়ে উঠেন মুক্তির গান-
পাঁচ.
আমি যখন উপদেষ্টা তখনতো কোন সহযোগিতাই করতে পারবোনা। যদিও আরিফুল ইসলাম নিজস্ব দর্পে বেশ কয়েকটি সংখ্যা প্রকাশ করে। আমার সঙ্গে প্রতি সংখ্যাতেই আলোচনা করে। আমি যতোটুকু বুদ্ধি পরামর্শ দেয়ার চেষ্টা করি। একটা সময় পত্রিকাটি দুই বাংলায় হাটাহাটি করতে শুরু করে।
আমি অবাক হয়েছি কেউ খোঁজ নেয়নি একটি সন্তান ভূমিষ্ঠ হবার সময় থেকে হাঁটা শেখানো পর্যন্ত কতোকি প্রয়োজন। এসবের যোগান দিতে গিয়ে কবি আরিফুল ইসলাম কে পারিবারিক ভাবে কি পরিমাণ হেনস্তা হতে হয়েছে?
একটি অজপাড়াগাঁ থেকে সহযোগিতার হাত না পাওয়া গেলে, দীর্ঘদিন ধারাবাহিকতা বজায় রাখা সম্ভব হয়না।
তাছাড়া আমার দীর্ঘদিনের একটি বিষয় বেশ ভালো ভাবে পরিলক্ষিত হয়েছে ভালো কাজে সহযোগিতা করতে চায়না কেউ।
অথচ সমাজের বিত্তশালীরা চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, টেণ্ডারবাজ, রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদেরকে টাকা দিতেছে দিব্যি!
আমার মুক্তির গান- এর মতো একটা সময় এসে আরিফুল ইসলামের রচয়িতা প্রকাশেও যোগ হলো অনিয়মিতভাবে আলোর মুখ দেখা।
ছয়.
লিটল ম্যাগাজিন সম্পাদকদেরও মুখে শ্রী বর্ধন হয়। যেমন রচয়িতার সমসাময়িক বা তার কিছুদিন পরের কয়েকজনকে দেখেছি লিটল ম্যাগাজিন সম্পাদনা করে নিজের অবস্থান তৈরি করেছেন। তারা সেই অবস্থান তৈরি পর্যন্ত লিটল ম্যাগাজিন করেছে তবে প্রকৃত লিটল ম্যাগাজিনের নিয়মের মধ্যে থেকে নয়। তাদের অবস্থান হয়েছে বানিজ্য করণের মাধ্যমে, তারা লিটল ম্যাগাজিন আন্দোলনকে ভণ্ডুল করেছে অবলীলায়।
আমার লিটল ম্যাগাজিন এর সম্পৃক্ততায় ভাঁটা পড়ে রচয়িতা বন্ধের পরপরই। যদি ও কবি ভোলা দেবনাথ সম্পাদিত ময়ূখ পত্রিকাটির উদ্বোধনী সংখ্যা থেকে এখনো অবধি আমার খোঁজে কবি ভোলাদেব নাথের ময়ূখ পত্রিকাটি প্রকাশ হয়। যখনই তিনি সংখ্যা করার চিন্তা করেন আলোচনা করেন। তবুও একটা সময় সারাদেশের লিটল ম্যাগাজিন তথা লিটলম্যাগ সম্পাদকদের সঙ্গে নিত্যকার যোগসূত্রতা থাকা আর বর্তমান আমার মধ্যে দীর্ঘদিনের একটি যোগাযোগ শুণ্যতা এ কথা অস্বীকার করার মতো স্কুপ নেই।
আশার কথা হলো লিটলম্যাজিন হলো আমার নেশা, ভালোবাসা। আর নেশা -ভালোবাসায় বিরতি দেয়া যায় কিন্তু চির প্রস্থান নেয়া যায়না আমৃত্যু। কারণ নেশা আর ভালোবাসা উভয়ের চরিত্র এক ; কষ্ট দেয়া। মানুষ এই উত্তাল কষ্ট সাগরে প্রায় জেনেই ঝাপ দেয়! আমিও জেনে শুনে বিষপান করার তিন যুগের অভিজ্ঞতায় পরেও আশ্চর্য হলো, এখনো ফিরতে পারেনি। প্রকৃত লিটল ম্যাগাজিন আন্দোলনের সৈনিক সম্পাদক কেউ ফিরে না। ওরা ফিরতে জানেনা।
সাত.
আমার মাথায় কয়েকদিন ধরে আবার সংখ্যা করার ভূত ঘুরপাক খাচ্ছে। এর প্রমাণ পেলাম, চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত মাহমুদ নোমান সম্পাদিত দেয়াঙ- এর স্বইচ্ছায় প্রচারণা চালাতে গিয়ে।
দেয়াঙ নাম করণ নিয়ে যদিও আমার সঙ্গে সম্পাদকের কাছ থেকে জানা হয়নি। দেয়াঙ কেন পত্রিকার নাম। তবে আমার মনে হয় সম্পাদক যেহেতু চট্টগ্রামের সন্তান তাহলে আর অন্যকিছু হতে পারে না। একটা বিষয়ই নির্দেশ করে সেটি হচ্ছে "দেয়াঙ পাহাড়ের নামানুসারে পত্রিকার নামকরণ করা হয়েছে দেয়াঙ। এই নামটিও আমার মন পূর্তি হয়েছে। চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তীরে অবস্থিত বিখ্যাত সেই পাহাড়টির নাম দেয়াঙ।
দেশের ঐতিহ্যবাহী একটি পাহাড়ের নামানুসারে যে কবি তার সম্পাদিত লিটল ম্যাগাজিনের নামকরণ দেয়াঙ- করতে পারে। তার স্বপ্নের পরিধি সুদুরপ্রসারি নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। পূর্বেও বলেছি, আমার দেশে তো বিত্তবান শ্রেণির মানুষরা " ভালো কাজে সহযোগিতা করে না কেউ"! এ-ই অবস্থায় কতো সৃষ্টিশীল ব্যক্তিত্ব সাহিত্য চর্চা থেকে অব্যাহতি নিতে বাধ্য হয়েছে। এখনো হচ্ছে। ভবিষৎ কি হবে তার জ্বলন্ত উদাহরণ দেয়াঙ সম্পাদক মাহমুদ নোমান।
আমি দেয়াঙ এর দুটো সংখ্যার খোজ খবর নেয়ার চেষ্টা করেছি। একটি ধান সংখ্যা আর অপরটি মাছ সংখ্যা। এই দুটি সংখ্যা করতে গিয়ে তরুণ কবি সম্পাদক মাহমুদ নোমানকে কি পরিমাণ হেনস্তার স্বীকার হতে হয়েছে; যা আমাকে ২০/২২ বছরের পুরনো স্মৃতিতে সাঁতার কাটিয়েছে। তবে আমি এ-তো দূরাবস্থা বা এতোটা নষ্ট মনের মানুষের সঙ্গলাভ হয়নি।
আমি রীতিমতো অবাক এই ভেবে যে, সূদুর চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা ছুটে আসে। ছুটে আসছে নয় ; এমনিতেই নয়, ডাক পেয়ে ছুটে আসে প্রিয় ভাই আমার । আর ডেকেছেন বা বিজ্ঞাপনদাতার কাছ থেকে দিন তারিখ জেনে সেই মোতাবেক আসছে। সম্পাদককে প্রতিশ্রুতি দায়ক কতৃপক্ষের সঙ্গে সময় ঠিকঠাক মিলেনা সাক্ষাৎ হয়না।।
একজন তারুণ্যদীপ্ত সাদা মনের মানুষ মাহমুদ নোমান আনন্দচিত্তে বিজ্ঞাপনের জন্য রাজধানীতে এসে, বিভিন্ন অফিসে ঘুরে প্রায় তিন/ চারদিন হোটেলে থেকে রেস্তোরাঁয় খেয়ে। যখন তাদের কাছে ফিরতি তারিখ নিয়ে। বিজ্ঞাপন না পেয়ে হতাশাগ্রস্ত হয়ে শূন্যহাতে চট্টগ্রাম ফিরতে হয়! তখন কেমনটা হয় সেই স্বপ্নভান যুবকের মনে!?
তরণ সম্পাদক বাড়িতে গিয়ে পত্রিকার কাজ করে আর পকেটে আবার কিছু টাকার জোগাড় করতে করতে। বিজ্ঞাপন দেয়ার জন্য ঢাকার অফিস যেই তারিখে আসতে বলেছে। সম্পাদক সেই তারিখে আবার ঢাকা আসে। কষ্টের ব্যাপার হচ্ছে এবারেও আশানুরূপ সাফল্য আসলো না।
একবার ভাবুন বর্তমান প্রেক্ষাপটে আমাদের সমাজে মাহমুদ নোমান এর মতো অসংখ্য তরুণ বিপথে দুনিয়াযাপন করছে। আপনারা সবাই বিপথের নানা ধরণ সম্পর্কে অবগত। তাই বর্ণনায় যাচ্ছি না। যে সকল অফিসার বা মালিক পক্ষ সেই সময়ে মাহমুদ নোমান এর মতো একটি শিক্ষিত সৃষ্টিশীল তরুণ কে ঘোরাঘুরি করিয়ে মানষিক, শারীরিক, আর্থিক এবং সময় অপচয়ের মতো কাজগুলো করছেন। তখন এই বিজ্ঞাপনদাতা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারীদের কি করা দরকার!? আপনাদের নিকট সেই প্রশ্ন রেখে। প্রিয় অনুজ প্রতিম কবি মাহমুদ নোমানের মাত্র একটি সমস্যা আমি তুলে ধরেছি। এমন বেশ কিছু সমস্যাকে উৎরিয়ে দেশের প্রতিটি লিটল ম্যাগাজিন সম্পাদকের একেকটি সংখ্যাকে আলোর মুখ দেখাতে হয়। তবুও আমরা লিটলম্যাগ করছি, করবো। আমাদের আন্দোলন চলছে চলবে। তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
