লুৎফুল হোসেনের কবিতা
লুৎফুল হোসেনের কবিতা
ক্যামেরা রোলিং 

[ সাতাশির ঢাকা ও সকল কবি ও রাজনৈতিক সখ্যকে ]

 

গেটের কাছে পরিত্যাক্ত বসতির মতো অনাদরে

মধ্যবয়সের সীমানায় পৌঁছে যাওয়া গাছটায়

ফুটতো বেশ টকটকে রক্তজবা,

কারো খোঁপায় গুঁজে দেবার বদলে

একদিন গুঁজে দিলাম তাকে

লম্বা নল কাঠের বাটে ক্লিন্ট ইস্টউড মার্কা

পয়েন্ট থ্রি এইট রিভলভারে

 

তখনো হল দখলের ছদ্মনামে

রাজনীতির সর্ষে-ইলিশ বাঁচাতে

নিষেধাজ্ঞা আরোপ হয়নি জাটকা নিধনে,

মিছিলে গুলির মতো সেলিব্রেশন কেক কাটায়

জান্তা মসনদ উৎসবমুখর শিরোপা জয়ের খেয়ালে,

ক্লাসে লাইব্রেরিতে কোমরে কাটা রাইফেল

গুঁজে রাখে কেউ কেউ নিরাপত্তা শব্দের আড়ালে

 

মিছিলে যাবার পথ আগলে দীর্ঘকেশ নারী

এসে দাঁড়ায় কোনোদিন

অনুযোগের তেলরঙ এঁকে মুখের দেয়ালে,

অন্যদিন অন্য কেউ নিপাট শাড়ি সামলে

মিছিলের সামনে সার বাঁধে

শ্লোগানের সুরসপ্তক নোটেশনে,

সেই সন্ধ্যায় ভাড়াটে অস্ত্রে আধ ডজন ছিনতাই

কোরাস চিকায় লেখা হয়

ক্যাম্পাস সীমানা জুড়ে ছড়ানো দেয়ালে দেয়ালে,

সেভেন এইট সিক্স বুলেটের প্রান্তখাঁজে

আমি গুনা প্যাঁচাই স্বপ্নের বিকল্প খেয়ালে

 

তখনো মাঠে চত্ত্বরে সড়কদ্বীপে

মাইক্রোফোনে কবিতা পড়া হয় শামিয়ানার নিচে

চায়ের কাপের উছিলায় সিঙারায় চুমু খায়

প্রেম ও বিপ্লব এক যুগল সন্ধিতে

দূরে কোথাও মোড়ে মোড়ে টায়ারে আগুন জ্বলে

কবি রাজনীতিক ও প্রেমিকের উদ্ভিন্ন কোরকে

 

ক্যাম্পাস জুড়ে অগণিত কৃষ্ণচূড়া

ঋতুদরোজা খুলে রাখে

রাজনীতির ফয়েল বন্দি মোড়কে ফুল তোলে

নিজস্ব ঘরানার মগ্ন একতারাতে,

জলপাই রঙ বৈরিতা বেপরোয়া পেখম মেলে

তারুণ্যের পিঠে ছুঁড়ে দেয় হাত মকশের তপ্ত সিসা

 

মানুষ কখনো বুঝে ওঠে না

সাংঘর্ষিক ব্যস্ত দিনের পর রাত নামলে

পক্ষ-প্রতিপক্ষ কেমন করে গ্লাস ঠোকাঠুকি করে

সোনালী অনলের মদির মৌতাতে

 

তখনো সভায় প্রাজ্ঞ প্রৌঢ় ছাত্রনেতা

উদাত্তকণ্ঠ চিৎকারে পাঠ করছে ভাষণ–

ষোলোগুটি খেলা ঠিক কতোটা সহজ

কিংবা মিথ্যা মামলা তুলে নেয়ার দাবি

তুখোড় দেয়াল লিখন হয়ে

কতোখানি দীপ্যমান করতে পারে

একখানা নষ্ট জীবন

 

ওরকম একটা সন্ধ্যায় আঙুল পুড়ছে যখন

গোল হয়ে বসে থাকা একদল ঘনসখ্য তরুণের

শব– মিছিলের কাঁধে তুলে নিয়ে অগুন্তি এপিটাফ

ঘরে ফিরতে চাইছে রাজনীতি,

গায়ে তার লেপ্টে আছে রক্তাক্ত সম্প্রীতি 

কানে জোর অদৃশ্য ইয়ারফোনে বাজছে

গান, 'আবার এলো যে সন্ধ্যা';

 

স্ট্রিটলাইটের নিচে বসে পড়েছে ক্লান্ত অবসন্ন

মারিজুয়ানায় শিথিল জীবন,

পরিচালক পালিয়েছে বলে এইটিন এম এম ফিতায়

ক্যামেরা ঘুরছে অবিরাম

কেউ এসে কখনো বলতে ভুলে গেছে

ইউনিট প্যাক আপ।

 

মে ২০১৯


পুঁজিকারবারি

 

তেলের বাজার নিয়ন্ত্রণের নামে

তোমার অস্ত্র বিক্রির বাহানা বানাতে

ভাইকে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছ ভাইয়ের মুখোমুখি

বোনের সম্ভ্রম তুলছো ডাকে—নির্লজ্জ নিলামে

 

আমার মন খারাপের দামে তোমার

আকাশ ভর্তি ফানুস ওড়ার ফুর্তি জাগে

আমার এখানে কাফনের অভাব হলে

তোমার বানিজ্যে জোর হাওয়া লাগে

 

যুদ্ধের তাবিজ-কবচ মাদুলি প্রসাদ

ছদ্মবেশী মানব দরদী ইচ্ছের দাপটে

আমি অস্ত্র কিনছি তোমার অনুকম্পায়

নিজ অর্থে নিজেরই নিরাপত্তার নামে

 

পুঁজির বাজারে আমি পণ্য তুমি বেপারি

আমার কান্না নেহায়েত শব্দদূষণের বাড়াবাড়ি

অভাবের দাঙ্গায় আমার ঘর মৃত্যুর মহামারী

তুমি যেন ঈশ্বর আমি নগন্য আনাড়ি

 

তুমি স্থায়ী মৃত্যুঞ্জয়ী—পৃথিবীটা তোমার

একান্তই তোমার নিজস্ব সম্পত্তি

পরম্পরার দখল—পৈতৃক ভিটে বাটি

আমি নিরীহ মুসাফির এক—সামান্য পথচারী

 

অক্টোবর ২০২৩

 

 

 

বৈদিক 

 

ডানায় আটকে আছে রহিত-উড়াল

বাতাসের বৈভবে উদ্বাস্তু খেয়াল

নদীকেও সংসারী হতে বলে

খেয়ালি মানুষ

অথচ ভিটের আঙিনা থেকে

গুনগুন শব্দ তার

অন্তর্গত সুরে ভাজে

যাযাবর মন্তাজ

গুণ টানা দিনের মতো ক্লান্ত প্রহর

রোদের তেরচা শরীরে খোঁজে

খর-দৌপর

 

সন্তানের দোহাই গুনে

পালকে পালকে

অলৌকিকে নেশাতুর পাখি মন

খেয়ালের ছাঁচে

ইচ্ছের খোয়াব আঁকে

খামখেয়ালের কুরুশে গাঁথা

গন্ধর্ব রোয়াকে

সেইখানে সুরঙ্গ করে

বসত বাটে

সাত রাজ্যের বেপরোয়া সব

গোখরো-কেউটে

 

মে ২০২৩


টোটকা 

বন্ধ জানালায় টোকা দিয়ে

দরোজায় দাঁড়িয়ে থাকে অভিমান

অপেক্ষার ফাতনায় জুড়ে দিয়ে

আবেগের বড়শি

দ্রাঘিমার বিস্তার জুড়ে ওঁৎ পেতে থাকে

অবিন্যস্ত সময়

ইমারতের মতো সময় আর ধৈর্যের

অসংখ্য বুনন

নির্মাণ অন্তরালে

খুন হলে যখন তখন

ভেঙে পড়ে সম্পর্কের দরদালান

আলতো ঘর

যেমন ঝড়ো বাতাসের পর

অগণিত শুকনো পাতা

নিপতিত মর্মর

অঙ্কুরের কাছে রোদের ফিসফিস

কানে কানে বলে

বৃক্ষ-গন্তব্যই তোমার দুর্লঙ্ঘ অপরাধ

যা কিছু ইচ্ছের বশ

আরাধ্য প্রহর

স্পর্শ বিভ্রমের প্রপাত

পতনোন্মুখ জলের সঙ্গে

অক্ষৌহিণী বুদ্বুদ

স্রোতস্বিনী হলে শুধু

প্রবাহ মত্ত জলের শ্লোগান

রোগাক্রান্তের যেমন ধন্বন্তরি ওষুধ

 

এপ্রিল ২০২৩

ডাকমাশুল

 

খামে ভরা সুগন্ধি কাগজের গায়ে

সামান্য কয়েকটি শব্দে

যা কিছু লেখা

লোকে তার নাম দিয়েছে মৃত্যু পরোয়ানা

শব্দের মুখোশে জীবন

যেভাবে হয়ে ওঠে যাপনের মুনশিয়ানা

 

মুঠো খুললেই উড়ে যায় প্রজাপতি

চোখের আয়নায় পিছলে যায় স্ফটিক রোদ

নাইজেলা রেসিপির মতো

মশলার অংকে মিশে থাকে

আন্দোলিত কামনার ঢেউ

শীতাতপ ডিঙিয়ে ভেসে ওঠা স্বেদ

তারো চেয়ে প্রখর তার অপাঠ্য মিষ্টি গন্ধ

চুম্বনের নামে জীবনের উৎসব রোজ

যেই ত্বকে আছড়ে পড়ে লহমায় অন্ধ

 

বাটার নাইফে লেগে থাকে জিভ ও অধরের ছবি

ওষ্ঠে মুক্তোদানার মতো জেগে ওঠা রক্তপ্রবাল

অনুসন্ধিৎসায় তৃষিত আঙুল

চলিষ্ণু গন্তব্যে হাতড়ে বেড়ায়

নির্ভরযোগ্য প্যাথলজির ঠিকানা

ডিএনএতে ঠাঁই খোঁজে

দুর্বোধ্য সম্পর্কের বাহানা

সমুদ্রের মতো নোনা আর আছড়ে পড়া ঢেউ

নিরক্ষর বুকের ভিতর ভাঙতে থাকে কেউ

 

অস্থির নিয়নের সাথে পাল্লা দিয়ে

দ্রুতগামী হয় ব্যাকলাইটের লাল রেখা

যেন অগণিত রক্তপাতের স্মৃতিচিহ্ন এঁকে

অদৃষ্টে ছুটে চলেছে গন্তব্য

অক্ষাংশে দ্রাঘিমাংশে

ছোঁয়াচে প্লেগের মতো ছড়িয়ে গেছে প্রেম

যেভাবে তারুণ্যের পেয়ালা উপচে

ভালোবাসা ভাসিয়ে দিয়েছে বয়সের নদী

সংশয় পিছু পিছু

প্রশ্ন চিহ্নের মতো যতিহীন

বন্ধ খামের কাছে থেমে থাকা

কাঁপা কাঁপা দশটি আঙুল নিরবধি

ধ্যানমগ্ন পড়ুয়ার নিবিষ্টতায় জপতে থাকে

শুরু থেকে শেষ অব্দি

সবটুকু শুধুই ভুল

 

সেপ্টেম্বর ২০২২


অশেষ অবশেষ

 

দাহ্য তো সকলি

তুমি-আমি

সম্পর্কের সুনামি

 

দাহ্যত ভস্মগামী

পৃথিবীজোড়া নামী

ও নেহায়েত বেনামি

 

ফুল জল মাছ কিংবা পাখি

কোলাহলস্নাত ভূমি

লোকালয় অরণ্য ও নদী

 

পোড়ে সবই নিরবধি

হৃদয় পোড়ালে জোনাকি

বুকভর্তি ছাই আগলে রাখি

 

জানুয়ারি ২০২৪


সংবেদ

 

একবার শুকায়ে যাবার পর

নদীও মনে রাখে না

বহতা জলের অতীত

চলিষ্ণু মেঘের মতো

বৃষ্টিও ফিরে যায় অন্য সীমানায়

ভরা জলে নৌকাডুবির ভীতি

দুষ্প্রাপ্য হতে হতে

হারিয়ে যায় নাগরিক সন্ধ্যায়

জোনাকি স্মৃতির মতো

 

নদী মরে গেলে জনপদও

হয়ে ওঠে অশ্লীল স্বার্থপর

মাটি ভরাটের খেলা

মানুষের রক্তে রক্তে

লোভ-লালসার নিমজ্জনে

বাজায় যে সুর

লোকে তাকে রাগ পঞ্চমী

বলে কী বলে না

সেইসব উহ্য থাকে

সংবাদের সকল প্রহর

বিদায় ভেঁপু গুনে গুনে

বাজবার পরে তবু

লোকে ওটাকেই বলে ওঠে

সূচনা সংগীত

 

ডিসেম্বর ২০২১

রোদরঙা শাড়ি সবুজ পত্রালি

 

ভেবেছো আমি বুঝি রোদ

আর সূর্যরঙ শাড়িতে বেশ

সকাল সকাল বাজবে সরোদ

অথচ চারপাশ ঘিরে সবুজে

সখ্যতার তেষ্টা মাপতে মাপতে

পাতায় পাতায় বৃক্ষের কথা ছিলো

মগ্ন নৈকট্যে গোপনে ফিসফিসিয়ে

তাদের জন্যে বুঝি রোদ মাখিয়ে

পরেছিলে তুমি এক টুকরো অরণ্য

বিটোভেন আর বাঁশির যুগল মূর্ছনা

সেতার-সানতুর উত্থিত অপূর্ব লহরী

সাক্সোফোন সব হয়ে উঠছিলো নগন্য

 

আঁচল জুড়ে গোলাপরঙা ফুলগুলো

সেই অরণ্যে ছড়িয়ে থেকে শুনলো

বুকের ধুকপুকানো খোল করতাল

তোমার–আর আমার শুধু মনে হলো

এমন একটা মিষ্টি রোদের সকাল জুড়ে

জীবন বুঝি কিচ্ছুটি নয় সাধের অপার

স্রেফ ত্রস্তে বাজা চঞ্চল এক পারকাশান

বুকের ভিতর মোচড় দেয়া তুমুল তুফান

 

ডিসেম্বর ২০১৭


ঈশ্বরেচ্ছার কয়েক ফোঁটায় 

 

ঈশ্বর ইচ্ছেতেই চোখের পাতায় চুমুর তৃষ্ণা

ঈশ্বর ইচ্ছেতেই গ্রীবার ঢালে

স্পর্শ অপেক্ষায়

এক সমুদ্র জল গড়ায়

নিষিদ্ধ ভ্রমণ কাঙ্ক্ষায়

জমিন কাঁপে ফসলের কান্নায়

চোখেরা তড়পায়

বিষপাত্র হয়ে ওঠা

চুম্বন নকশায়

নীলাভ তিল কাঁপে তিরতির

মরমী মাৎস্যন্যায়

অপেক্ষায় অপেক্ষায়

মৃত্যু সেঁধিয়ে যায়

এক বুক গহন তৃষ্ণায়

মানুষ ভুলে যায়

শূন্য থালায় শাদা ভাত

ওম খুঁজতে—

বৃষ্টি অলক্ষে

ঈশ্বরেচ্ছার কয়েক ফোঁটায়

উদরভর্তি ক্ষুধা নিয়ে

কেউ কেউ

দরোজা-দহলিজ ভাঙে

অনন্যোপায় মৃত্যুর আঙিনায়

ক্ষুধা ভুলে উদ্ভিন্ন বৃন্তের

সম্মোহনী রহস্যপুকুরে

বিহ্বল সময় গড়ায়

প্রহর চাকায় অনন্যোপায়

মুঠো মুঠো দিন

মৃগ-গন্ধী স্নানের অরণ্যে হারায়

তোরঙ্গ ভর্তি সময়

পরিত্যক্ত ফল ও ফসলের গায়ে

অনবধান

বীজ-পত্র ভাসায়

 

ঈশ্বর এভাবেই

ভালোবেসে

অদৃষ্টে অনপনেয়

কারো কারো

মৃত্যুর কথা লিখে রেখে যায়

 

ডিসেম্বর ২০২৩


গাজা ২০২৩

 

সন্তানের গায়ে পায়ে—

কোথাও লিখে রাখো

নাম তার

লাশের ভীড়ে তাকে

খুঁজে পেতে যেন

কষ্ট না হয় আর

 

ম্যাগডোনালসের বার্গার হাতে

নাইকি এডিডাস লোগোতে সাজিয়ে

তোমার উৎকীর্ণ বক্ষ কিংবা

পরিব্রাজক পা

তুমি মদত জোগাও

অর্থে ও সাহসে

যেন আরো ভালো কিছু মিসাইল

অথবা বোমারু বিমান

কেনা যায় বাড়তি আয়ের উছিলায়

আরো দ্রুত ফিলিস্তিনের গায়ে

সভ্যতার পরাজয় লিখে

তাকে নিশ্চিহ্ন করা যায়

 

জাতিসংঘ ফোরামে

মানবতার নামে

পাইকারি দরে

জুতসই কায়দায়

মানুষ মারতে

নির্বিচার গণহত্যার

সহজ নিঃশর্ত

মওকা জোটানো যায়

 

নভেম্বর ২০২৩


সাইটনোট

 

চুমুগুলি সব ফেরত দিও

ফেরত দিও দীর্ঘশ্বাস

আলিঙ্গনের তৃষ্ণা ডোবা

কাঁধের সাথে গ্রীবার জখম

ভীষণ রকম মিশে যাবার

পেখম প্রহর সবগুলোই

গুনেগেঁথে ফেরত দিও

ফেরত দিও অযুত প্রহর

প্রতীক্ষা আর ডুব-ভাবনার

ফেরত দিও গ্লাসের গায়ে

স্পর্শ মাখা আঙুলপরশ

ফেরত দিও চোখের ভিতর

নিত্য আমার গভীর মরণ

ফেরত দিও একলা প্রহর

ভাবনাকাশে মেঘের মেলায়

তোমার প্রবল জবরদখল

মাতাল বাতাস ফেরত দিও

ফেরত দিও প্রতীক্ষা মোম

বুকের ভিতর জ্বলন্ত হোম

গরম কফির ধোঁয়ার পাড়ে

নিষ্পলক দৃষ্টিবাণে

মৃত্যুগুলো ফেরত দিও

ফেরত দিও বুকের ব্যাথা

উপশমের শোলকগাথা

কথার মালা মুখর বুনন

ভুরুর নাচন তেরচা চোখে

কাতর মরণ ফেরত দিও

ফেরত দিও প্রখর রোদে

ঘামের স্রোতে আলতো হাতে

সব উপশম ফেরত দিও

ফেরত দিও রাত দুপুরে

অপেক্ষাতুর প্রহর জুড়ে

নিষ্পলক ঘুম জড়ানো

ফাতনা নড়ার এলার্মগুলো

ফেরত দিও, ফেরত দিও,

ফেরত দিও, ফেরত দিও,

লাশের কাছে মান-অভিমান

অব্যক্ত সব কথার ঝাঁপি

ফেরত দিও স্মৃতির ফলক

সমাধি জুড়ে নীলপাপড়ি

অপরাজিতা ফেরত দিও

 

মার্চ ২০২০

 

 



 


সাবস্ক্রাইব করুন! মেইল দ্বারা নিউজ আপডেট পান