আমি তো লো কালচার
উৎসর্গ : লুই ফার্দিনান্দ সিলিন
আমি তো লো কালচার, একটা বরফকাঠি ছ’জন মিলে
চুষে খেতুম ; রিকশ-টায়ার কঞ্চি মেরে নিয়ে যেতুম
গলির শেষে ; নালির গুয়ে লাট্টু পড়লে কাঠির খোঁচায় তুলে
ধুয়ে নিতুম রাস্তার টিউকলে ; আমি তো লো কালচার
সরস্বতীর বুকদুটো লক্ষ্মীর চেয়ে ছোট্ট কেন হলো
জানতে চাইলে পুরুতমশায় চরণামৃত ঢেলে দিতেন মাথায়
বৃষ্টি হলে চুলের ওপর বই আর খাতা চাপা দিয়ে যেতুম ইশকুলে
আমি তো লো কালচার, ঢিল লাথিয়ে রফা করতুম জুতো--
এখনও সেই একইরকম চলছে ফোকলা দাঁতে, একটা পিৎজা কিনে
বুড়ির সঙ্গে তিনচার দিন খাই, আমি তো লো কালচার
লোকের সামনে পাদি আর ঢেঁকুর তুলি ইউরোপেতে গিয়ে
বুড়ি বলে ‘ভাগ্যিস তুমি ভদ্দরলোক নও, নয়তো জীবন
কি আর যাপন হতো, এই বয়সে নোংরা কাজ তো নেই
নোংরা নোংরা লো কালচার কথাবার্তায় দিনগুলো বেশ কাটে’
মায়া
উৎসর্গ : যোগেন চৌধুরী
স্তনে এতো মায়া তুমি কোথা থেকে আনো হে কৌশিক সরকার ?
কুচ জাগার আগে-পরে বা যখন তা মিষ্টির ফোয়ারা দুধের
আফ্রিকার কুচকুচে কালো বা জার্মানির ঢাউস গোলাপি
চিনা-ভিয়েতনামি-বার্মিজ-ক্যামবোডিয়া-থাইল্যাণ্ড পীতাভ
মার্কিনি রোদে পোড়া রক্তিমভ বা তামাটে ব্রাজিলি কিংবা
ভারতের নানান মাপের আর নানান ত্বকের স্তনে মায়া ভরো
রুবেন রসেটি বত্তিচেলি ইনগ্রেস রাফায়েল রবি ভর্মার আঁকা
মোলায়েম স্তনে যেরকম বেহেশতের জ্যোতিচ্ছটার প্রতিভাস
নারীর স্তনের চেয়ে মায়াময় আশ্রয় আর কোথাও নেই, তা সে
তুষারাচ্ছন্ন বা মরুবালুকার দেশ হোক, এতো মায়া এতো ?
স্তনে এতো মায়া তোমরা কোথা থেকে আনো হে কৌশিক সরকার !