কবিতা: ওঝা
আমার শরীরটা ভালো নেই ওঝা!
শরীরের মধ্য দিয়ে
একটা নদী বয়ে যায়
তোমার মেঘ উঠানে
জীবন কবিতাদের গর্জণ বজ্রপাত!
লাদাখ সীমান্তে হরপ্পার চাঁদ
বাঁকা হয়ে ওঠে!
নিশ্চুপ
উইলোবন পামীরের শীতলবুক!
তুষার পাত হচ্ছে সায়বেরিয়ার পরিযায়ী পাখীরা ডানা মেলে ফিরবে
চন্দ্রভাগা বিপাশার সিন্ধু উপত্যকায়
বৃক্ষ
বৃক্ষ লাগিয়েছি
বৃক্ষরা হাসে
বৃক্ষরা কাঁদে
বৃক্ষরা ভেজে
বৃক্ষেরা পুড়ে
বৃক্ষ লাগিয়েছি
ছয় ঋতুর ছয় গাছ
ফুল ফল
ঘন ছায়া তল বৃক্ষ!
পাখিদের আড্ডা হবে
হবে
কবিদের সুর ছন্দের
নতুন দিনের গান
বাজবে একতারা
বাঁচ বাঁচাও বিশ্ব বাঁচাও
সেভ দা ওয়ার্ল্ড!
বটমূলে তুমি এসো কবিতা নিয়ে
তোমাকে অনেকদিন বটমূল দেখছিনা
বৃক্ষে পাখিদের কাইকিচির নেই
সব যেন কেমন
কাশ বনেও হাশি -হিল্লোল নেই
ঝিনাই নদীবুকে
বালি হাসের ওড়াওড়ি নেই
সব যেন কেমন
এখন তো করোনার কাল সময়
আকাশ নীলিমায়
শরৎ গোধূলী মেঘেদের
বৈদিক খেলা দেখি
নীরব নিটালে দ্যঁড়িয়ে
প্রতিক্ষণ ভাবি কবে ফিরব মুক্ত ছোঁয়াছুঁয়ির হ্দয় ভূবনে!
সব যেন কেমন!
তবুও
কবিতা থাকবে বিজয়ের স্বপ্ননিয়ে!
একদিন কবিতার হবে জয়!নিশ্চয়!