নজরুল জাহান । তিনটি কবিতা
নজরুল জাহান । তিনটি কবিতা
চিঠি আর পাঠাইও না

তুমি ছাড়া হয় না বেলা
তুমি ছাড়া হয় না খেলা
আর পাঠাইও না
আমার চিঠি খানা
আকাশে বাতাসে
বাতাস পাইলে উড়াইয়া নেয়
বাতাস পাইলে মেঘের গায়
আটক পইড়া যায়।
তোমার চিঠি আর পাবো না
আর শুনবো না গান
মানুষ বলে থাকে না রে
মনের সুখের বাণ।

তুমি যখন ভুলে যাও

তুমি যখন আমাকে ভুলে যাও
মনে করি তখন তুমি আমাকে পেয়ে গেছো,
আমি আর ও মুখো হই না
শুন্যতাও বই না
তুমি পেয়ে গেছো বলে তোমার প্রতি চাই না।
তোমার পাওয়া আমার থেকে
তোমাকে মুখাপেক্ষীহীন করে
আমার থেকে তোমাকে নিয়ে যায় কেউ,
ফিরে চাই না তার থেকে।
আমি জানি অরণ্যের আওয়াজ অরণ্যে লেগে থাকে
তাকে শুন্য সময় পর পাওয়া যায় না।

মনে হয় যেনো ইতোমধ্যে

মনে হয় যেনো ইতোমধ্যে কোটি
বছর কাটিয়ে দিয়েছি
মনে হয় যেনো অনেক কিছু দেখে ফেলেছি
ধরে ফেলেছি ছুঁয়ে ফেলেছি
যাতে দু'টি মার্বেলের পরস্পর সংঘর্ষে টুশব্দটি
হয়েছে মাত্র।
অংগীভুক্ত সব কাজ নিজেকেই করতে হয়
তুমি জানো নিজ ছাড়া পিছ দিয়ে কোনো কাজ হয় না।
মানূষ সব সময় পৃষ্ঠার এ ফোঁড় ও ফোঁড় করে
তবু তার এফোঁড় ওফোঁড় করার কজ শেষ হয় না,
হবে না, কখনো হবে না।
হাত গুটিয়ে রাখার অভ্যেস কোনো কালেই ছিল না
যদি এমন হতো তবে পরস্পর কাজের সম্পর্ক এমন থাকতো না।
সব ফুড়িয়ে গেলে পৃথিবীর কাজ কে করবে?
কাজ প্রাকৃতিক ফলিত রশুন
একের অংগ থেকে আরেক অংগের সূচনা হয়
সে সুঁইয়ের গোড়ার সুঁতো
তুমি সেলাই করতে থাকো সুঁতা বেড়িয়ে আসবে রশুনের কোয়া থেকে।
তুমি নিশ্চিত হও রশুনের গোড়ায় তুমি নেই
তোমার পরের পার্শ্ববর্তী আলীকুলি করে যাবে,
তোমার অপেক্ষার ধার কে শোধবে?
কেউ না কেউ পালটে দিবে।


সাবস্ক্রাইব করুন! মেইল দ্বারা নিউজ আপডেট পান