নজির আহমেদ এর কবিতা
নিশ্চিন্তপুর
একটা সময় যখন হাঁটতাম তখন অন্যরা দৌড়তো,
তবুও ওরা আমার পেছনেই পড়ে থাকতো।
তখন ক্লান্ত হতে ভুলে যেতাম,
গড়িয়ে পড়ার আগেই শুকিয়ে যেতো ঘাম।
পথের বাঁকে বাঁকে অশ্বত্থ গাছ
ছায়া দানের নিমিত্তে প্রতীক্ষায় রজনী করতো প্রহর।
এখন সাধ্য'র সবটুকু দিয়ে দৌড়ছি,
কারও কারও শ্লথগতির হাঁটার সঙ্গে পেরে উঠছি না।
অবশ্য কাউকে পেছনে ফেলে
সামনে যাওয়া অপরিহার্য নয়,গন্তব্য নিশ্চিন্তপুর;
যেতে পারলেই হয়।
প্রখর রৌদ্র তাপে বৃষ্টির মতন ঘাম ঝরছে,
ত্বকের প্রভায় ফুল ঝরা বৃক্ষ
ক্লান্তি জড়ায় পায়ে পায়ে,এ গাঁয়ে আমি ভীষণ একা,
কোথাও কেউ নেই, কোন অশ্বত্থ গাছ নেই।
নিজে লিখে নিজে গাই নিজেই দিচ্ছি সুর,
নিশ্চিন্তপুর আর কতদূর আর কতদূর.........।