রবীন্দ্রনাথের মুখোমুখি
কাকে বলি আকাঙ্ক্ষা-কে পূর্ণ করে তৃষিত উৎসব?
প্রার্থনার থালা হাতে গেলে গোলাম বানায়-বলাৎকার করে
পোস্টমর্টেমে ধর্ষণ লিখে মানববন্ধন করে ঢেকে দেয় গোরে;
প্রার্থনার মতো চাইলে অধিকার থাকে না আমার
ভোটাধিকার ছিনিয়ে নেয় পোষা দুর্বৃত্ত-বাহিনি
কখনো বা ট্রাক তোলে মিছিলের গায়ে
তপ্তজলে পোড়ে কাঁদায় কাঁদুনেগ্যাসে, বুলেট-ক্রসফায়ার!
রবিবাবু তোমার অমর গান অকার্যকর কি তবে?
কেনো এবারও "এসো হে বৈশাখ" সমস্বরে গাবো
প্রার্থনায় কালবৈশাখী ছাড়া আর কিছু দিশা পাবো?
এতোসব অভিমান শুনে মৃদু হেসে বলেন রবীন্দ্রনাথ-
যদি নিজেকে মানুষ ভাবো, জয় করে নাও নিজের সীমাবদ্ধতা
তাপস-নিঃশ্বাস হও মুমূর্ষুরে ওড়ায়ে নিঃশ্বাসে
অধিকার কেড়ে নাও জীর্ণ-পুরাতন সরাও যৌবন নিজে!
যদি আমি জীর্ণ-জ্বরা হই যদি বর্জ্য হই মুছে ফেলো আমাকেও
শুধু বাঙালির শৌর্য-বীর্য শিষ্ট-সুরুচিকে হারাতে দিও না কেউ!