বাগান বিলাস
যেন সে স্পর্শমাত্র জ্বলে যাবে
চিহ্নহীন জ্বলে যাবে
উত্তর মেরুতে ছিলো, দক্ষিণে যাবে ...
বাগানে গোলাপ ছিলো
প্রথম প্রেমের চুমু: ওষ্ঠের তাপ
দিয়েছিলো গোলাপের ঠোঁটে
বাগান বিলাসী যুবা
গোলাপের সাথে কথা ছিলো, একদিন তারা
হাতধরে বাগানে বেড়াবে, চুমু খাবে
তারপর, দুরদেশে বিলাসী ভ্রমণ .......
গোলাপের নামে যতো ঘৃণা, অবহেলা
তার বুকের পকেটে স্তুপীকৃত ছিলো
তার সহস্রকোটির একভাগ যদি
রমণীর প্রতি থাকে;
রমণীও জেনো বাগানের ফুল, হাস্নাহেনার মতো
সুঘ্রাণ তার
এতোটুকু ঘৃণা পেলে জ্বলে যাবে, চিহ্নহীন জ্বলে যাবে
তুমি শুধু একবার ঘৃণা, উপেক্ষা দেখাও ...
মাজেদা আক্তার
নিজস্ব নিয়মে বেড়ে ওঠো
প্রতিবাদহীন বিনম্র আচরণে, মুগ্ধ-সংগীতে, প্রার্থনায়, উৎসবে
গৃহবাসী আমের মুকুল বেড়ে ওঠো একান্ত ভঙ্গীতে।
সোনালী অর্কিড ফুটে আছো ছাদে, দূর কার্নিশে
অগ্নুৎসবের মুগ্ধ প্রতিমার মতো ফুটে আছো গ্রীনরোডে
অঙ্গের উচ্ছা্সে, উদ্ধত চোখে সমগ্র বাংলাদেশ জুড়ে
ফুটে আছো লাবণ্যের বিবিধ উপমা নিয়ে।
এরকম একক সম্পন্নতা শুধু তোমাকে মানায়
আমাদের কথাগুলো, গানগুলো, ফিরে আসে অবেলায়
অযত্বে পড়ে থাকে গার্ডেনে, কাঁচা দুর্বায়-ঘাসে, পথের বিস্তারে
ধরারও বাহিরে তুমি, ছোঁয়ারও বাহিরে তুমি
ফলভারে নূয়ে থাকা বৃক্ষ জীবন
তুমি কি শুধুই ভোরের বকুল, ঘাসের আড়ালে বসে হাসবে!