লেখকের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি :
ডাকিনীবিদ্যা
১.
জ্ঞানডাকিনীর অসাড়তা কোন ভুলেতে নেমেছে
চোখের কোণের ভয়,
সামনে যেসব সাম্প্রতিক
লোলচর্ম বুড়ির জাদুকরী শব্দবাক্যব্যয়! মন্ত্রসিদ্ধা?
না, না হতেই পারে না।
বিষমর্দনঢিবি। নিগু-মা।
ময়ুরপঙ্খী নৌকায় চড়ে আসেন যে রাজাকার
আদর-শালায় ঘুমিয়ে আছে; মায়ার অভিসার!
২.
বল্লমধারী, রাজকুমারী কবিতা লেখে বাংলায়
নাঢ়'পা আর নাঢ়ের স্ত্রী, শরীরভূত চর্যাকায়
এক নৌকা ডোবে, এক নৌকা হাসে
চৌষট্টি ছায়ার রূপ
পোশাকের শামানবাদ ভিত্তিতে
অলৌকিক তুরুপ!
নেড়ানেড়ির যেমন উৎস, অদৃশ্য আদ্যোপান্ত
বজ্রগীতি, চিত্তকোষ সরহ'পা-এর সঙ্গীতগ্রন্থ
৩.
করতোয়া নদী। মোহিনী প্রতীক। আঙুলের টাচ্
ভীষণের মতো আরও গভীরতা
সে ডাকিনীবিদ্যা...
অতীশ দীপঙ্করের পাদাচার্য গুরুও স্ত্রীসহ
জেনেছে বিদ্যার ফায়দাটাকে;
অবিদ্যার মহলেই!
শুনেছে আজকাল বড়ই হ্যাঙ্গামার কথা
প্রত্নশায়া,
পরে বেরিয়েছে অনেকেই; লিখেছে অস্ত্রোপচার!
৪.
অনেকে বলেছে আসুন বিদ্যার নুনটুকু নিন
নারীর দেহের বশের আলোয়
ছুঁয়ে যান আপনি!
ডোমনি রমনী সে যে, জাদুকেই গিলে খায় খুব
দ্ব্যর্থ আঁশ?
দেশে দেশে ছড়িয়েছে বিষাক্ত নিশ্বাস...
ভেসেছে দুকূলে শব, ভৌতিক জীবন লজ্জাভরে
দিয়েছে যৌবন ঝাঁপ; চুমুতে চুমুতে অভিশাপ!
৫.
ভেবেছ অখন্ড চুনের কালিতে ঘেরাটোপ এই
মুখ?
পুরাণ নিয়েছে শতক দশকে মিথ-পোঁকা
জ্ঞানের পরী,
কোথাও নেই শরীরের তরকারি
খুলেছে কেবল মুহূর্তের ঘর, আচমকা সবের
জ্যোৎস্না যেমন শিরদাঁড়ায়,
দোষ দেবে কি আমায়? ব্যক্তিগত ঈর্ষা যত হাসে
করি সমাপন ডাকের শাস্ত্র মিষ্টি মধুর লাশে!