মানিক বৈরাগীর চারটি কবিতা
মন চেয়েছিল বলি, দাঁড়াও যেও না, ডাক দিতে কোথাও বাঁধলো,
তাই ডাকিনি, ভয় পেয়েছি তোমার কোকিলা চোখ
তুমিও হন হন করে গিয়েছ চলে, পাশ ফেরোনি
জানি জানি খুব জানি, তোমার সাজানো শোভাঘরে
খুব চিল্লাচিল্লি হয়, আশপাশ পাড়ায় চায়ের দোকান আর সেলুনে
যুবাদের আড্ডায় কথা আর গল্প ফুরিয়ে গেলে তোমরাই বিষয়
পাড়ার বখাটেরা টিটকারি মারে, তুমি খুব নীরবে অফিসে যাও
আমি ঠিক ঠিক সেই লাল চোখ ভদকা দোচুয়ানি টেনে মিষ্টি জর্দায়
শাহীন বাসায় লেবুর শরবত গ্লাসে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখে
তেঁতুল অথবা জলাপাই আচার টেবিলে রেখে রাত দশটায় ঘুমিয়ে পড়ে
মন চাইলে ভাত সবজি নয়তো একটুকরো মাছ আচারসমেত খাই
সে ভোরে জেগে প্রথমে টেবিলে রাখা নোটপ্যাডে খুঁজে তাজা কবিতা
আমি তার জন্যে প্রতিদিন কবিতা না হয় কিছু লিখে রাখি
আমাকে জাগায় বাজায় অসিফ যাওয়ার আগে , আমরা এক সঙ্গে কবিতা পান করি
তারপর সিগারেট ধোঁয়া ছেড়ে দেই আকাশে
হাসানের সূর্যোদয় খুব মনে পড়ে, সুরাইয়া কেমন আছে জানি না।
মাথার ভিতর শব্দেরা গিজ গিজ করছে
কত রংবেরঙের শব্দ
কলমের ফনায় কিলবিল করছে
কিন্তু টুপটুপ করে ঝরছে না
আমার শুধু অচেনা দীর্ঘশ্বাস ঝরে
আমার শুধু অনাহুত বেদনা ঝরে
আমার শুধু আপেল সদৃশ কষ্ট ঝরে
কতদিন এই ঠোঁট শ্রাবণের জলে ভিজে না
কতদিন বাদাম চিবুতে চিবুতে ঘাস ছিঁড়ি না
কতজন কত কী ছাপায় পত্রিকার পাতায়
আমি শুধু শ্রাবণের মেঘাচ্ছন্ন জ্যোৎস্নায় একা
তোমাকে দেখতে চেয়েছি ভিজতে চেয়েছিলাম
সাদা কাগজ পড়ে আছে উইও আসে না
কেউ আসে না
তবু জানালার কার্নিশে ফুটিয়েছি গোলাপ
উঠোনে ছাতিম ফুলের সৌরভ শ্রাবণ জ্যোৎস্নায়
তবু আমি কদম রোপণ করি
তবু প্যাপিরাস ফুলের মন্ড সাজাই
বাকলগুলো ফেটে শুকিয়ে যাচ্ছে ক্রেতা নাই
নিষিদ্ধ গন্দমের মতো আমিও যেন পপি ফল
সে এলো না শব্দগুলো ছন্নছাড়া এলোমেলো
পপির মধু সহজে ঝরে না সবখানে সব পাত্রে।
এক প্যাগ ওয়াইন
এক মগ লেবুচা
সাথে পুদিনা পাতা
কাচা আদার কুচি
তারপর করো দ্রবণ
প্যাকেট বেনসন সুইস
স্লোমোশন ভলিউমে রবি ঠাকুর
ধীরে ধীরে করো পান
বৈঠকি শেষে খোলাছাদে দাঁড়াও,দেখো আকাশ
সলতে আলোয় নোটপ্যাড সাথে রাখো
ঝিমধরা মাথাটি আস্তে আস্তে খোলে যাবে
আসবে সরস্বতীর আর্শীবাণী
লিখে লিখে রাখো যা পাও তাও
এবার অর্ধমিলিগ্রাম অফিয়াম মিশ্রিত গঞ্জিকা ভরো কল্কিতে
অগ্নি ফুল্কি না উড়ে মতো টানো সল্প জোরে
তিন সিলিম হয়ে গেলে রেখে দাও
বরফকুচি রাখা কোকের ছিপি খোলো
একটি নোনতা বিস্কুট চিবুও
চুমুক দাও সোড়া জলে
গুছিয়ে নাও খাতা কলম
ঘুমাও
দেখবে ঝর ঝর করছে দেহ
তণুমন ফুরফুরা রৌদ্রকরোজ্জল সকাল।
ন্যায়ের পক্ষাবলম্বন রক্তজাত
তাই আমি বেদনা বিধৌত মানুষ
ক্ষুধার্থ সর্পকেও খাবার দেয়া স্বভাব
আহত নেকড়ে কে দেই আশ্রয় সেবা
ক্লান্ত শিংউছা বিরিষ কে দেই তৃষ্ণায় জল তাড়াখাওয়া শিকারি কুকুর পেয়েছে আশ্রয়
ওরা করেনি প্রতারণা, করেনি আঘাত
সর্প দিয়ে গেছে মণি
নেকড়ে দিয়েগেছে চোখ
বিরিষ দিয়েগেছে সাহস
কুকুর দিয়ে গেছে কৃতজ্ঞতা
মানুষ প্রাণী দিয়েছে আঘাত
মানুষ প্রাণী করেছে প্রতারণা
মানুষ প্রাণীই করেছে সর্বহারা
মানুষ প্রাণীই দিয়েছে মায়াবী যাতনা
কারন আমি মানুষ ভালোবেসেছি।
১১ফেব্রুয়ারি ০১৯
আমি তুমি সে
মন চেয়েছিল বলি, দাঁড়াও যেও না, ডাক দিতে কোথাও বাঁধলো,
তাই ডাকিনি, ভয় পেয়েছি তোমার কোকিলা চোখ
তুমিও হন হন করে গিয়েছ চলে, পাশ ফেরোনি
জানি জানি খুব জানি, তোমার সাজানো শোভাঘরে
খুব চিল্লাচিল্লি হয়, আশপাশ পাড়ায় চায়ের দোকান আর সেলুনে
যুবাদের আড্ডায় কথা আর গল্প ফুরিয়ে গেলে তোমরাই বিষয়
পাড়ার বখাটেরা টিটকারি মারে, তুমি খুব নীরবে অফিসে যাও
আমি ঠিক ঠিক সেই লাল চোখ ভদকা দোচুয়ানি টেনে মিষ্টি জর্দায়
শাহীন বাসায় লেবুর শরবত গ্লাসে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখে
তেঁতুল অথবা জলাপাই আচার টেবিলে রেখে রাত দশটায় ঘুমিয়ে পড়ে
মন চাইলে ভাত সবজি নয়তো একটুকরো মাছ আচারসমেত খাই
সে ভোরে জেগে প্রথমে টেবিলে রাখা নোটপ্যাডে খুঁজে তাজা কবিতা
আমি তার জন্যে প্রতিদিন কবিতা না হয় কিছু লিখে রাখি
আমাকে জাগায় বাজায় অসিফ যাওয়ার আগে , আমরা এক সঙ্গে কবিতা পান করি
তারপর সিগারেট ধোঁয়া ছেড়ে দেই আকাশে
হাসানের সূর্যোদয় খুব মনে পড়ে, সুরাইয়া কেমন আছে জানি না।
শব্দ ও ফুলেরা
মাথার ভিতর শব্দেরা গিজ গিজ করছে
কত রংবেরঙের শব্দ
কলমের ফনায় কিলবিল করছে
কিন্তু টুপটুপ করে ঝরছে না
আমার শুধু অচেনা দীর্ঘশ্বাস ঝরে
আমার শুধু অনাহুত বেদনা ঝরে
আমার শুধু আপেল সদৃশ কষ্ট ঝরে
কতদিন এই ঠোঁট শ্রাবণের জলে ভিজে না
কতদিন বাদাম চিবুতে চিবুতে ঘাস ছিঁড়ি না
কতজন কত কী ছাপায় পত্রিকার পাতায়
আমি শুধু শ্রাবণের মেঘাচ্ছন্ন জ্যোৎস্নায় একা
তোমাকে দেখতে চেয়েছি ভিজতে চেয়েছিলাম
সাদা কাগজ পড়ে আছে উইও আসে না
কেউ আসে না
তবু জানালার কার্নিশে ফুটিয়েছি গোলাপ
উঠোনে ছাতিম ফুলের সৌরভ শ্রাবণ জ্যোৎস্নায়
তবু আমি কদম রোপণ করি
তবু প্যাপিরাস ফুলের মন্ড সাজাই
বাকলগুলো ফেটে শুকিয়ে যাচ্ছে ক্রেতা নাই
নিষিদ্ধ গন্দমের মতো আমিও যেন পপি ফল
সে এলো না শব্দগুলো ছন্নছাড়া এলোমেলো
পপির মধু সহজে ঝরে না সবখানে সব পাত্রে।
দ্রবণ
এক প্যাগ ওয়াইন
এক মগ লেবুচা
সাথে পুদিনা পাতা
কাচা আদার কুচি
তারপর করো দ্রবণ
প্যাকেট বেনসন সুইস
স্লোমোশন ভলিউমে রবি ঠাকুর
ধীরে ধীরে করো পান
বৈঠকি শেষে খোলাছাদে দাঁড়াও,দেখো আকাশ
সলতে আলোয় নোটপ্যাড সাথে রাখো
ঝিমধরা মাথাটি আস্তে আস্তে খোলে যাবে
আসবে সরস্বতীর আর্শীবাণী
লিখে লিখে রাখো যা পাও তাও
এবার অর্ধমিলিগ্রাম অফিয়াম মিশ্রিত গঞ্জিকা ভরো কল্কিতে
অগ্নি ফুল্কি না উড়ে মতো টানো সল্প জোরে
তিন সিলিম হয়ে গেলে রেখে দাও
বরফকুচি রাখা কোকের ছিপি খোলো
একটি নোনতা বিস্কুট চিবুও
চুমুক দাও সোড়া জলে
গুছিয়ে নাও খাতা কলম
ঘুমাও
দেখবে ঝর ঝর করছে দেহ
তণুমন ফুরফুরা রৌদ্রকরোজ্জল সকাল।
তুল্যমূল্য
ন্যায়ের পক্ষাবলম্বন রক্তজাত
তাই আমি বেদনা বিধৌত মানুষ
ক্ষুধার্থ সর্পকেও খাবার দেয়া স্বভাব
আহত নেকড়ে কে দেই আশ্রয় সেবা
ক্লান্ত শিংউছা বিরিষ কে দেই তৃষ্ণায় জল তাড়াখাওয়া শিকারি কুকুর পেয়েছে আশ্রয়
ওরা করেনি প্রতারণা, করেনি আঘাত
সর্প দিয়ে গেছে মণি
নেকড়ে দিয়েগেছে চোখ
বিরিষ দিয়েগেছে সাহস
কুকুর দিয়ে গেছে কৃতজ্ঞতা
মানুষ প্রাণী দিয়েছে আঘাত
মানুষ প্রাণী করেছে প্রতারণা
মানুষ প্রাণীই করেছে সর্বহারা
মানুষ প্রাণীই দিয়েছে মায়াবী যাতনা
কারন আমি মানুষ ভালোবেসেছি।
১১ফেব্রুয়ারি ০১৯