স্তন্যপান
১. মা, তোমার দু’বুকের দুধ আজ একদম অন্য রকম।
বাঁ বুকের দুধ মনে হচ্ছিলো যেন আমি জ্যোস্নার জল পান করছিলাম।
ডান চোখে দেখছিলাম পাতার মধ্যে চাঁদ, উবুড় করা কলস।
২. আজ দুধ যেন মনে হলো তরল খনিজ।
তোমরা বলো না লোহা, ক্যালসিয়াম, আয়োডিন? ঐ সব।
৩. জানো মা, তোমাকে বলি নি।
কাল দুধের মধ্যে দুঃখ ছিলো। মনে হচ্ছিলো, ঘরের ছাদ থেকে, আলনা থেকে,
পুঁইয়ের মাচা থেকে, বৃক্ষ থেকে, কুলো থেকে কি করুণ
সরু দুঃখের ধারা দুধ হয়ে প্রাবাহিত হচ্ছিলো।
৪. আর একদিন মনে হচ্ছিলো সাহস পান করছি –
শক্তি, বজ্র, ঝড়, পিনাকী আমি সব পান করে যাচ্ছিলাম।
কোন কিছুই আটকাচ্ছিলো না।
জীবনটা সংগ্রামের? তাই না মা?
৫. মা, আজ দুধ দুধই মনে হলো না। মনে হলো হাওয়া – আহা, শুধু
বসন্তের বাতাস আর তার মধ্যে বেলি, টগর, অমৃতবল্লীর মৌ মৌ গন্ধ …
তারপর মেঘ … মেঘ … দুধের পেঁজা তুলোর মতো।
- কি যে বলিস? ঘুমো এবার।
৬. আয়, আয় চাঁদ মামা – টিপ দিয়ে যা।