মেহেদী ইকবাল এর গুচ্ছকবিতা
মেহেদী ইকবাল এর গুচ্ছকবিতা
ঘাস ফড়িং

আমি ঝাঁপ দিয়েছিলাম
যখন পুকুর ছিলো আর জল
আমি স্পর্শ পেয়েছি মাছের
মাছের সাথে আমার আছে সম্পর্ক আত্মীয়তার।
আমি মাছ খুব পছন্দ করি
শুধু বলার জন্য নয়
পার্থক্য গড়েছে পা এবং পাহাড়
পাহাড়ের ঐপাশে আছে একটা বন ঘাসের

যেখানে ফড়িংগুলো আনন্দে লাফিয়ে বেড়ায়!


একটা চাবী নিয়ে

একটা চাবী নিয়ে বোকার মতো দাঁড়িয়ে আছি
কোন্ দরোজাটা খুলতে হবে আজও জানি না
সব দরোজায় তালা থাকে না
খোলা থাকে কিংবা ভেজানো
ভেতরে কেউ থাকে না!
আর তালা থাকে যেসব দরোজায়
সেখানে কি থাকতে পারে কেউ?
কী অদ্ভুত! খোলা থাকলে যেমন
বন্ধ থাকলেও!

একটা চাবী নিয়ে বোকার মতো দাঁড়িয়ে আছি
কোন্ দরোজাটা খুলতে হবে আজও জানি না!


যখন সকাল খোশ মেজাজে থাকে

যখন সকাল খোশ মেজাজে থাকে
তখন শালিকেরা আনন্দে হেঁটে বেড়ায়
কখনও বক্ বক্ জুড়ে দেয় আড্ডা
চা খেতে পারে না বলে ব্যক্ত করে হতাশা!
শালিক দেখতে ভালো লাগে
মাকড়শা জালের কথা তখন আর মনে থাকে না।
যখন সকাল খোশ মেজাজে থাকে
তখন বিশেষ কিছু স্মৃতির কথা মনে পড়ে যায়
একান্ত ব্যক্তিগত কিছু

যা কেবল গচ্ছিত থাকে নিজের কাছে!


দারিদ্র্যসীমা

সভ্যতার মূল সূচক হলো রেসিপি
আগুন গুরুত্বপূর্ণ বটে! তবে অধিক গুরুত্বপূর্ণ রন্ধন ক্রিয়া
লাকড়ি থেকে গ্যাস
ঝাল খুব কম কিংবা বেশি
মশলা নিয়ে যুগে যুগে হয়েছে লড়াই!

সভ্যতার মূল সূচক হলো রেসিপি
উন্নত রাষ্ট্র মানে খাদ্য আর পুষ্টিমান 
সব জায়গায় রান্না চলছে
যারা গোবর দিয়ে আজও ঘুঁটে বানায়

তারা এখনও নীচে আছে দারিদ্র্যসীমার!

ছাই

ব্যাটারী চালিত ঘড়ি
থেমে গেছে হঠাৎ
তাই বলে থামবে না চলমান তারিখ!
আমি দাঁড়িয়েছি একটা সেতুর উপর
নীচে ঘাসেরা অপেক্ষায় আছে জোয়ারের
কয়েকটি হাঁস যাচ্ছে হেঁটে ডোবার মতো আটকে থাকা জলে।
ভাবছি করুণ মূহুর্তগুলোর কথা
অপহৃত আনন্দগুলো আর হাসি
অন্যায় অপদস্থ হওয়া কত না বেদনার!
সবুজ হাতে শুভেচ্ছা জানাচ্ছে ধানগাছগুলো
একটা অচেনা পাখি শিস্ দিয়ে ডাকছে আমাকে, হ্যালো!
আমার ছেঁড়া ঘুমগুলো দেখতে পাচ্ছি
অদূরে দেখা যাচ্ছে ধোঁয়া
পুড়ছে তবে জঞ্জালগুলো!
আমি তবে অপেক্ষায় থাকি
খানিক বাদেই জানি

আসবে উড়ে ছাই!


সাবস্ক্রাইব করুন! মেইল দ্বারা নিউজ আপডেট পান