অপারগতার অঘ্রান
যখন হৃদয় স্বপ্নের দ্বারে দ্বারে ঘুরে
অর্জনের ঝুলিতে জমলো কেবল আমারই
স্যান্ডেলের নিচে হাফসোল-
তখনই চোখ ঝলসে দিয়ে সময় নিয়ে এলো
এক অন্য রকম নতুন ধাঁধাঁ।
এ যেনো এক প্রকট হওয়া যাতনাময় বায়োষ্কোপ’
আশ্বিনের আকাশ যখন নীলে নীলে একাকার ,
ক্ষুধার্ত বৃদ্ধের পাঁজরের এক একটা হাঁড় যখন
গননা করার মতো স্পস্টতর,
তুমি ‘অঘ্রান’ ছিলে সেই দুর্ভিক্ষে আশার আলো।
যেখানে তোমার অজানাই ছিলো -
আগের মৌসুমের বীজধানটুকু ও চাল করে
অভুক্তের অন্নের যোগান দিয়েছে
কোন এক ক্রান্তিকায় সন্ধ্যা...
এবেলা-ওবেলা,এভাবে-ওভাবে কেটেছে কোনমেেত
এরপর অঘ্রান মানেই স্বপ্ন।
নতুন ধানের গন্ধ,নতুন জীবনের স্বপ্ন।
কিন্তু যে স্বপ্ন ঝাপসা থেকে আরো ঝাপসা
আর ততােধিক সংকীর্ন ও বটে...
এভাবেই কেন অস্পস্ট কাতরতায় স্পষ্ট হলো
যন্ত্রনাকাতর অপারগ অঘ্রানের সকাল ?
টুপটাপ শিশির যেন এখানে ক্ষুধার্ত পৃথিবীর অন্তরীক্ষে
অফুরন্ত নিষ্প্রভ ক্রন্দন।
সময় যেন অবেলায় এসেও চরম দুর্বিসহ,
আমার রুগ্ন-ভঙ্গুর পাঁজরে যেন
শিরশিরানি দিয়ে যাচ্ছে অপারগতার ঘুনপোকা